প্রশ্নফাঁস বিতর্কে তাহসান ও তার মায়ের পাশে প্রিন্স মাহমুদ

বিসিএসের প্রশ্নপ্রত্র ফাঁসের ঘটনা নিয়ে সারা দেশ তোলপাড়। এ ঘটনায় বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন- পিএসসির সাবেক চেয়ারম্যানের গাড়িচালক সৈয়দ আবেদ আলীসহ ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছেন জনপ্রিয় অভিনেতা-গায়ক তাহসান ও তার মা।
দুই দিন ধরে সামাজিক মাধ্যম ও সংবাদমাধ্যমে নানা খবর প্রচারের পর এই বিতর্কে তাহসান ও তার মায়ের পাশে দাঁড়ালেন জনপ্রিয় গীতিকার ও সুরকার প্রিন্স মাহমুদ। তাহসান ও তার মা-কে নিয়ে যেসব তথ্য ছড়ানো হচ্ছে, সেগুলোকে ‘মিথ্যা’ দাবি করে তিনি এর প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
বুধবার বিকাল সোয়া তিনটার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক প্রোফাইলে প্রিন্স মাহমুদ লিখেছেন, ‘তাহসানের নামে ছড়ানো খবরটি একেবারেই মিথ্যা, সম্পূর্ন মিথ্যা। নজর অন্যদিকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্যই এসব খবর ছড়ানো হচ্ছে।’
তার দাবি, ‘তাহসানের বাবা-মা দুজনই অত্যন্ত সৎ মানুষ। ছোটবেলা থেকে দেখেছি। সাধারণ সরকারি কর্মকর্তাদের বাচ্চাদের মতো বড় হয়েছে তাহসান। কোনো রকম বিলাসিতা দেখিনি। যা তাহসানের অর্জন সমস্তটা গানের জন্যই। বাই দ্য ওয়ে, প্রকৃত অসৎদেরকে ধামাচাপা দেয়ার জন্য এগুলো ছড়ানো হচ্ছে। তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।’
তাহসানের মায়ের সম্পর্কে প্রিন্স মাহমুদ লিখেছেন, ‘তাহসানের আম্মা জিনাতুন নেসা ২০০২-২০০৭ সাল পর্যন্ত পিএসসির চেয়ারম্যান ছিলেন। আর প্রশ্নফাঁসের ঘটনা ঘটেছে ২০১২ থেকে, মানে গত একযুগ বা ১২ বছর। তার গাড়ি চালাতো বলেই সে অপরাধী, বিষয়টা কিন্তু এমন নয়। তিনি দায়িত্বে থাকার সময় প্রশ্ন ফাঁস হয়েছিল কি না বা প্রশ্নফাঁসের সময় থেকে তিনি কোনো দায়িত্বে ছিলেন কি না বা জড়িত ছিলেন কি না, সেটা আগে জানতে হবে। তারপর আশা করি আমরা তাকে দোষারোপ করব। যদি তিনি অপরাধী হন বা তার কোনো দায় থাকে।’
সামাজিক মাধ্যম ও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ২৪তম বিসিএসের অংশ নিয়েছিলেন বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় গায়ক ও অভিনেতা তাহসান রহমান খান। তখন পিএসসির চেয়ারম্যান ছিলেন তার মা ড. জিনাতুন নেসা তাহমিদা বেগম। সে সময় বিসিএসের প্রশ্নফাঁসের সবচেয়ে বড় ঘটনাটি ঘটে। এছাড়া সে সময় তাহসানের মায়ের ব্যক্তিগত গাড়িচালক ছিলেন বর্তমানে আলোচিত আবেদ আলী।
এমন সব খবরের জেরে কাঁঠগড়ায় ওই সময় তাহসানের বিসিএসে অংশ নেওয়ার বিষয়টি। সে সময় নাকি পররাষ্ট্র ক্যাডারে প্রথম হয়েছিলেন তাহসান। কিন্তু পরে প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় ওই নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল করা হয়। মায়ের বদৌলতে সেই প্রশ্নফাঁসের সুবিধা কি তাহসান নিয়েছিলেন? উঠছে প্রশ্ন।
(ঢাকাটাইমস/১০জুলাই/এজে)

মন্তব্য করুন