পুলিশের অতিরিক্ত ১২০০ ফোর্স মাঠে, আছে এপিসি-জলকামান

রাজধানীতে কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে জনদুর্ভোগ ঠেকাতে এবং যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশের অতিরিক্ত ফোর্স মাঠে নামানো হয়েছে। এরইমধ্যে থানা পুলিশের পাশাপাশি অতিরিক্ত ১২০০ ফোর্স মাঠে আছে। এছাড়া পাঁচটি আর্মার্ড পার্সোনেল ক্যারিয়ার (এপিসি) এবং ছয়টি জলকামান মাঠে রাখা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ডিএমপি সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
সূত্র বলছে, কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে জনদুর্ভোগ ঠেকাতে থানা পুলিশের সব সদস্যকে মাঠে রাখা হয়েছে। গোয়েন্দা পুলিশের পাশাপাশি রিজার্ভ ফোর্সের ১২০০ শতাধিক সদস্যকে মাঠে নামানো হয়েছে। যারা গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে মোড়ে অবস্থান নিয়েছে।
এদিকে বিকাল পাঁচটার দিকে কোটা সংস্কারের দাবিতে শাহবাগ মোড়ে জড়ো হন শিক্ষার্থীরা। পরে পুলিশি ব্যারিকেড ভেঙে তারা রাস্তায় অবস্থান নেন। পরে পুলিশের গাড়ির ওপর (এপিসি) ওঠে তারা বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। পরে পুলিশ কিছুটা দূরত্বে অবস্থান নেয়।
গেল কয়েকদিন চলা কোটা সংস্কার আন্দোলনের কারণে সড়কে তীব্র যানজট তৈরি হয়। বুধবারও সারাদিন রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক অবরোধ করে রাখেন শিক্ষার্থীরা। এতে দুর্ভোগে পড়তে হয় রাজধানীবাসীকে। এতদিন তাদের দমনে কোনো ধরনের পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি পুলিশকে। তবে এবার এ ধরনের দুর্ভোগ ঠেকাতে মাঠে নামে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলন নিয়ে জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালও কথা বলেছেন।
জনপ্রশাসনমন্ত্রী বলেছেন, কোটার বিষয়টি এখন আদালতের বিষয়। তাই আদালতেই এর সমাধান হোক। তবে এ সমাধানের পরও যদি আলোচনা করতে হয়, তা সব সময় করা যাবে। দেশের কল্যাণে, শিক্ষার্থীদের কল্যাণে যা করার তা-ই করা হবে।
আর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, জানমাল অনিশ্চয়তায় পড়লে পুলিশ বসে থাকবে না। যারা আন্দোলন করছে তারা শিক্ষিত, মেধাবী। তারা কেন রাষ্ট্রের বিপক্ষে যাবে? তারা নিশ্চয়ই সবকিছু পর্যবেক্ষণ করে ফিরে যাবে।
বিকাল চারটার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা দল বেঁধে কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে অবস্থান নিতে থাকেন। সেসময় মধুর ক্যান্টিনের সামনে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরাও ছিলেন অবস্থানে।
ঢাকাটাইমস/১১জুলাই/এসএস/ইএস

মন্তব্য করুন