ভেনিসে মসজিদ বন্ধের প্রতিবাদে পার্কে জুমার নামাজ আদায়

ভেনিসের ভিয়া পিয়াভেস্থ মসজিদুল ইত্তিহাদে নামাজসহ সব ধরনে ধর্মীয় কার্যক্রম বন্ধের প্রতিবাদে দ্বিতীয়বারের মতো স্থানীয় একটি পার্কের খোলা চত্ত্বরে জুমার নামাজ আদায় করেছেন মুসল্লিরা।

শুক্রবার ভেনিসের মেসত্রেস্থ পিরাগেত্তো পার্কে আয়োজিত জুমার নামাজে প্রায় এক হাজার মুসল্লি অংশ গ্রহণ করেন। এর আগে গত ৫ জুলাই একই জায়গায় জুমার নামাজ পড়েছিল স্থানীয় মুসল্লিরা।

নামাজের খুৎবায় মাওলানা আরিফ মাহমুদ বলেন, ‘আজ মসজিদুল ইত্তিহাদে নামাজ আদায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কাল হয়তো অন্য একটি বন্ধ করা হবে। এভাবে তারা পর্যায়ক্রমে মুসলমানদের সব ইবাদতের স্থান বন্ধ করে দেবে। আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ প্রতিবাদ, প্রতিরোধ গড়ে তুলতে না পারি সেদিন বেশি দূরে নয়; তারা শুধু নামাজের স্থান বন্ধ করেই ক্ষ্যান্ত হবে না, মনফালকোনের মতো পবিত্র কোরআনেও আগুন দেবে। অশ্লীল, কুৎসিত কথা লিখবে পবিত্র কোরআন অবমাননা করবে। মুসলমানের কলিজায় আঘাত করবে।’

ইত্তিহাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, যতো দিন মসজিদে নামাজ আদায়ের অনুমোদন দেওয়া না হবে ততদিন আন্দোলনের অংশ হিসাবে পার্কে নামাজ আদায় করা হবে।

ইমাম আরিফ মাহমুদ বলেন, আমরা জানি নিরিবিলি পার্কে নামাজ আদায় করলে প্রশাসনের টনক নড়বে না। কিন্তু আমারা চেষ্টা করছি এমন কোনো কর্মসূচিতে না যেতে যাতে জনদূর্ভগ সৃষ্টি হয়। শহরের মানুষ কষ্ট পায়। তবে আমাদের বাধ্য করা হলে মেসত্রে থেকে ভেনিসে মেয়রের কার্যালয় পর্যন্ত লংমার্চ, সমাবেশ, ঘেরাওসহ কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করতে বাধ্য হবো।

তিনি ভেনিসের সব মুসলিমকে আগামী জুমআ (১৯ জুলাই) পার্কো পিরাগেত্তোয় আদায় করার অনুরোধ জানান এবং সেখান থেকে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণার কথা উল্লেখ করেন।

এদিকে রবিবার (১৪ জুলাই) বিকাল ৬টায় ভিয়া কোরসো দেল পপলোস্থ ইন্তারস্পারের সামনে পবিত্র কোরআন পোড়ানোর প্রদিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ ডাকা হয়েছে। ধর্মপ্রাণ সব মুসলমানকে সেখানে উপস্থিত হওয়ার আহ্বান জানানো হয় মসজিদুলে ইত্তিহাদের পক্ষ থেকে।

মসজিদুল ইত্তিহাদ কর্তৃপক্ষ জানান, ভেনিসের পাশের শহর মনফালকোনের দুটি নামাজের স্থানে ধর্মীয় কাজ করা স্থানীয় প্রশাসন বন্ধ করে দিলে উচ্চ আদালত তা বাতিল করে নামাজ আদায়ের অনুমতি দেয়। কিন্তু কিছু ইসলাম বিদ্বেষীরা আদালতের রায় অমান্য করে মসজিদের বিরোধীতা অব্যাহত রেখেছে। গত ১০ জুলাই তারা পবিত্র কোরআনের একটি পাতার অংশ বিশেষ পোড়ায় এবং তার নিচে খুব জঘন্য ভাষায় কোরআনকে অসম্মান করে এমন কথা লেখে যা কোনো সভ্য সমাজে উল্লেখ করার মতো নয়।

(ঢাকাটাইমস/১২জুলাই/এসআইএস)