টেকসই উন্নয়ন ও নিরাপত্তার জন্য দেশীয় প্রযুক্তির উদ্ভাবন ও ব্যবহার জরুরি
প্রকাশ | ১৩ জুলাই ২০২৪, ১৪:২৮ | আপডেট: ১৩ জুলাই ২০২৪, ২৩:৩২
২০৪১ সালে বাংলাদেশকে একটি উন্নত ও স্মার্ট দেশে পরিণত করার লক্ষ্যে সরকার "রূপকল্প ২০৪১" নামে একটি দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এই পরিকল্পনার একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো দেশীয় প্রযুক্তির উদ্ভাবন ও ব্যবহার। টেকসই উন্নয়ন ও নিরাপত্তা অর্জনে এর ভূমিকা অপরিসীম।
দেশীয় প্রযুক্তির গুরুত্ব:
১) আত্মনির্ভরতা বৃদ্ধি: বিদেশি প্রযুক্তির উপর নির্ভরতা কমিয়ে আত্মনির্ভরশীল জাতি গড়ে তোলা।
২) অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি: স্থানীয়ভাবে উদ্ভাবিত প্রযুক্তি ব্যবহার করে নতুন নতুন শিল্প ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি।
৩) সামাজিক উন্নয়ন: শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি ইত্যাদি ক্ষেত্রে প্রযুক্তি ব্যবহার করে জনগণের জীবনযাত্রার মান উন্নত করা।
৪) জাতীয় নিরাপত্তা: প্রযুক্তির মাধ্যমে দেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা শক্তিশালী করা।
দেশীয় প্রযুক্তির উন্নয়ন ও ব্যবহারের পদক্ষেপ:
১) গবেষণা ও উন্নয়নে বিনিয়োগ বৃদ্ধি: বিশ্ববিদ্যালয়, গবেষণা প্রতিষ্ঠান এবং শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলিকে গবেষণা ও উন্নয়নে আরও বেশি অর্থ বরাদ্দ করা।
২) দক্ষ জনসম্পদের সৃষ্টি: প্রকৌশল, কম্পিউটার বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তির অন্যান্য শাখায় দক্ষ জনসম্পদ তৈরি করা।
৩) প্রযুক্তিগত অবকাঠামো উন্নত করা: হাই-স্পিড ইন্টারনেট, ডেটা সেন্টার এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো উন্নত করা।
৪) ব্যক্তিগত খাতের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি: দেশীয় প্রযুক্তি ব্যবসায়ীদের জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করা।
৫) সচেতনতা বৃদ্ধি: জনগণের মধ্যে দেশীয় প্রযুক্তি ব্যবহারের প্রতি সচেতনতা বৃদ্ধি করা।
‘রূপকল্প ২০৪১’ বাস্তবায়নে দেশীয় প্রযুক্তির উদ্ভাবন ও ব্যবহার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। সরকার ও বেসরকারি খাতের সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব। নীতি নির্ধারক, শিক্ষাবিদ, গবেষক, উদ্যোক্তা, তরুণ প্রজন্ম এবং সমাজের সকল স্তরের মানুষের এই লক্ষ্য অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে।
এই প্রবন্ধে, আমরা উদীয়মান প্রযুক্তিগুলির ব্যাপক প্রভাব অন্বেষণ করব- যা ব্যক্তিগত, সামাজিক, গঠনমূলক এবং জাতীয় স্তরে মানব অভিজ্ঞতার বিভিন্ন দিককে স্পর্শ করে। এই প্রযুক্তিগত অগ্রগতিগুলি মূলত সামাজিক কাঠামোকে পুনর্গঠন করছে, যোগাযোগের ধরন থেকে তথ্য অ্যাক্সেস পর্যন্ত সবকিছুকে প্রভাবিত করছে। সুবিধা এবং অসুবিধাগুলির একটি গভীর বিশ্লেষণ আমাদের এই জটিল পরিবেশে কার্যকরভাবে নেভিগেট করার জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা এবং জ্ঞান অর্জনে সহায়তা করবে।
উদীয়মান প্রযুক্তির প্রভাবগুলির কয়েকটি নির্দিষ্ট উদাহরণ:
১) ব্যক্তিগত স্তর: সোশ্যাল মিডিয়া, ইন্টারনেট এবং মোবাইল ডিভাইসগুলির ব্যবহার ব্যক্তিগত পরিচয়, যোগাযোগ এবং তথ্য ভোজনের ধরনকে রূপান্তরিত করছে।
২) সামাজিক স্তর: প্রযুক্তি নতুন সামাজিকগোষ্ঠী এবং আন্দোলনের উত্থানকে সক্ষম করেছে, তবে এটি ব্যক্তিগত বিচ্ছিন্নতা এবং ধ্রুবীকরণের দিকেও ধাবিত করছে।
৩) গঠনমূলক স্তর: প্রযুক্তি ব্যবসা, শিক্ষা এবং সরকারের কার্যপ্রণালিকে ব্যাপকভাবে পরিবর্তন করছে।
৪) জাতীয় স্তর: প্রযুক্তি জাতিসত্তার ধারণা, জাতীয় নিরাপত্তা এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কের প্রকৃতিকে প্রভাবিত করছে। সাইবার হামলা এবং তথ্য যুদ্ধ জাতীয় নিরাপত্তার জন্য নতুন হুমকি তৈরি করছে।
এই প্রভাবগুলির একটি সুষম এবং সমালোচনামূলক মূল্যায়ন আমাদের উদীয়মান প্রযুক্তিগুলির সাথে ইতিবাচক এবং নেতিবাচক উভয় উপায়ে জড়িত হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় নীতি নির্ধারণ, শিক্ষাগত প্রোগ্রাম এবং সামাজিক উদ্যোগ তৈরি করতে সহায়তা করবে।
এই প্রবন্ধটির লক্ষ্য:
১) উদীয়মান প্রযুক্তির সুবিধাগুলি তুলে ধরা কিন্তু পাশাপাশি সেগুলোর সাথে জড়িত চ্যালেঞ্জগুলির কথাও মনে করিয়ে দেওয়া।
২) সচেতন নাগরিক হিসেবে আমাদের দায়িত্বগুলি বর্ণনা করা যা উদীয়মান প্রযুক্তির সুবিধাগুলি উপভোগের পাশাপাশি সম্ভাব্য সমস্যাগুলি এড়াতে সাহায্য করবে।
২) জাতীয় স্তরে উদীয়মান প্রযুক্তি গ্রহণের একটি বহুমুখী পদ্ধতির প্রস্তাব দেওয়া। এই পদ্ধতিটি নাগরিকদের অধিকার রক্ষা, কর্মীদের দক্ষতা বৃদ্ধি এবং জাতীয় সুরক্ষা নিশ্চিত করবে।
৩) দেশীয় প্রযুক্তি উন্নয়নের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করা এবং এটি কীভাবে জাতীয় অর্থনীতি ও সামগ্রিক উন্নয়নে অবদান রাখতে পারে, সে সম্পর্কে জ্ঞান দেওয়া।
উদীয়মান প্রযুক্তি আমাদের জীবনযাত্রার প্রতিটি দিককে প্রভাবিত করছে। এই প্রবন্ধের মাধ্যমে, আমরা এই জটিল পরিবর্তনগুলি বুঝতে এবং আমাদের সমাজের জন্য সর্বোত্তম ফলাফল নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপগুলি গ্রহণ করতে প্রস্তুত হতে চাই।
প্রযুক্তির অগ্রগতি: নতুন সম্ভাবনা ও নৈতিক প্রশ্ন
আমরা আপনাকে একটি আকর্ষণীয় অনুসন্ধানে অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ জানাচ্ছি যেখানে আমরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) এবং ইন্টারনেট অফ থিংস (আইওটি) এর ক্রমবর্ধমান ক্ষেত্রগুলি, সেইসাথে স্বাস্থ্যসেবা, কৃষি এবং শিক্ষায় বিপ্লবকরী উন্নয়নগুলি অন্বেষণ করব। এই অনুসন্ধানের মাধ্যমে, আপনি এই উদ্ভাবনগুলি কীভাবে দক্ষতা বৃদ্ধি করছে, ক্রমাগত উন্নতির সংস্কৃতি তৈরি করছে এবং একই সাথে কিছু নৈতিক সমস্যাও তৈরি করছে যা ইতিবাচক সামাজিক-অর্থনৈতিক প্রভাব নিশ্চিত করার জন্য সাবধানতার সাথে মূল্যায়ন করা প্রয়োজন, সে সম্পর্কে একটি গভীর ধারণা লাভ করবেন।
এই অনুসন্ধানে আমরা নিম্নলিখিত বিষয়গুলি অন্বেষণ করব:
১) কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) এআই-এর কী কী ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হচ্ছে এবং এটি কীভাবে আমাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করছে।
২) ইন্টারনেট অফ থিংস (আইওটি): আইওটি কীভাবে আমাদের চারপাশের বিশ্বকে আরও সংযুক্ত এবং স্মার্ট করে তুলছে।
৩) স্বাস্থ্যসেবা: প্রযুক্তি কীভাবে রোগ নির্ণয়, চিকিৎসা এবং রোগীর যত্ন উন্নত করছে।
৪) কৃষি: প্রযুক্তি কীভাবে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি এবং খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সাহায্য করছে।
৫) শিক্ষা: প্রযুক্তি কীভাবে শিক্ষার্থীদের শেখার অভিজ্ঞতা উন্নত করছে এবং শিক্ষাকে আরও অ্যাক্সেসযোগ্য করে তুলছে।
৬) নৈতিক প্রশ্ন: এই প্রযুক্তিগত অগ্রগতিগুলির সাথে যুক্ত সম্ভাব্য নৈতিক সমস্যাগুলি কী কী এবং আমরা কীভাবে সেগুলি সমাধান করতে পারি।
এই অনুসন্ধানের মাধ্যমে, আমরা প্রযুক্তির অগ্রগতির সম্ভাব্য সুবিধা এবং ঝুঁকি সম্পর্কে একটি সুষম বোঝার বিকাশ করতে চাই। আমরা বিশ্বাস করি যে এই জ্ঞান আমাদের এই শক্তিশালী হাতিয়ারগুলি দায়িত্বের সাথে ব্যবহার করতে এবং সকলের জন্য একটি আরও ভালো ভবিষ্যত তৈরি করতে সক্ষম করবে।
এই অনুসন্ধানে আপনার অংশগ্রহণ আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আপনার ধারণা এবং চিন্তাভাবনা আমাদের এই জটিল বিষয়গুলি আরও ভালোভাবে বুঝতে এবং সকলের জন্য উপকারী নীতিমালা তৈরি করতে সাহায্য করবে।
প্রযুক্তিগত উন্নয়নের এই গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে, ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান এবং নীতি নির্ধারকদের মধ্যে সহযোগিতার পথ খুঁজে বের করা অত্যাবশ্যক। এই ধরনের সহযোগিতার মাধ্যমে, আমরা নিশ্চিত করতে পারি যে এই প্রযুক্তিগুলি মানবতার সর্বোত্তম স্বার্থের জন্য সংযুক্ত হবে। একটি ডিজিটাল ভবিষ্যতের অনিবার্যতা সামাজিক সকল সদস্যের মধ্যে একটি যৌথ দায়িত্বের দাবি জানায়, যার মাধ্যমে আমরা সক্রিয়ভাবে এর গতিপথকে আকার দিতে পারি।
উদীয়মান প্রযুক্তি: সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ
উদীয়মান প্রযুক্তি কী?
উদীয়মান প্রযুক্তি হলো এমন প্রযুক্তি যা দ্রুত বিকশিত হচ্ছে এবং বিশ্বকে উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাবিত করার সম্ভাবনা রাখে। এই প্রযুক্তিগুলি নতুন নতুন সম্ভাবনা উন্মোচন করে, কাজের ধরন পরিবর্তন করে এবং আমাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করে।
কিছু উদাহরণ:
১) কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই): এমন মেশিন যা শেখা এবং মানুষের মতো কাজ করতে পারে।
২) ইন্টারনেট অফ থিংস (আইওটি): সেন্সরযুক্ত যন্ত্রপাতির একটি নেটওয়ার্ক যা তথ্য সংগ্রহ করে এবং একে অপরের সাথে যোগাযোগ করে।
৩) ব্লকচেইন: নিরাপদ লেনদেনের রেকর্ড রাখার জন্য একটি বিতরণ করা লেজার প্রযুক্তি।
৪) ভার্চুয়াল রিয়েলিটি (ভিআর) ও অগমেন্টেড রিয়ালিটি (এআর): এমন প্রযুক্তি যা বাস্তব জগতের সাথে ভার্চুয়াল উপাদান মিশ্রিত করে।
৫) রোবোটিক্স: স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাজ করার জন্য নকশাকৃত যন্ত্র।
৬) জৈবপ্রযুক্তি: জীবন্ত জীব ব্যবহার করে নতুন পণ্য তৈরি করা।
৭) ন্যানোটেকনোলজি: পরমাণু ও অণু স্তরে পদার্থ নিয়ন্ত্রণ করা।
উদীয়মান প্রযুক্তির প্রভাব:
৮) সুবিধা: উদীয়মান প্রযুক্তি আমাদের জীবনকে অনেক সহজ করে তুলছে। এটি নতুন নতুন শিল্প তৈরি করছে, কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়াচ্ছে এবং স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে উন্নতি করছে।
৯) চ্যালেঞ্জ: উদীয়মান প্রযুক্তির সাথে কিছু চ্যালেঞ্জও জড়িত। এর মধ্যে রয়েছে গোপনীয়তা, নৈতিকতা, ডিজিটাল বিভাজন এবং কর্মসংস্থানের উপর প্রভাব।
এগিয়ে যাওয়ার পথ:
উদীয়মান প্রযুক্তির সুবিধাগুলি গ্রহণ করার জন্য এবং এর চ্যালেঞ্জগুলি মোকাবিলা করার জন্য আমাদের একসাথে কাজ করতে হবে। আমাদের নীতিমালা তৈরি করতে হবে যা গোপনীয়তা রক্ষা করে, নৈতিক নীতিমালা প্রচার করে এবং সকলের জন্য সুযোগ নিশ্চিত করে।
উদীয়মান প্রযুক্তি আমাদের জীবনে বিপ্লব ঘটানোর সম্ভাবনা রাখে। সচেতন নাগরিক হিসেবে আমাদের এই প্রযুক্তিগুলি সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করা, সম্ভাব্য ঝুঁকি ও সুবিধাগুলি বিবেচনা করা এবং দায়িত্বের সাথে ব্যবহার নিশ্চিত করা গুরুত্বপূর্ণ।
উদীয়মান প্রযুক্তির প্রভাব এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে সুযোগ ও সম্ভাবনা:
উদীয়মান প্রযুক্তি বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করার জন্য অভাবনীয় সুযোগ তৈরি করে দিচ্ছে। এই প্রযুক্তিগুলি কীভাবে বিভিন্ন ক্ষেত্রকে প্রভাবিত করছে এবং আমাদের জন্য কি কি সুযোগ নিয়ে আসছে তা নিচে আলোচনা করা হলো:
১) অটোমেশন: রোবোটিকস, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং মেশিন লার্নিং ব্যবহার করে পুনরাবৃত্তিমূলক এবং ঝুঁকিপূর্ণ কাজগুলি স্বয়ংক্রিয় করা সম্ভব। এটি কর্মীদের আরও জটিল ও মূল্যবান কাজে মনোযোগ দিতে সাহায্য করবে, যার ফলে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি পাবে।
২) আইওটি (ইন্টারনেট অফ থিংস): আইওটি ডিভাইসগুলি ডেটা সংগ্রহ করে এবং বিশ্লেষণ করে, যা প্রক্রিয়াগুলির দক্ষতা উন্নত করতে এবং সম্ভাব্য সমস্যাগুলি পূর্বাভাস দিতে সাহায্য করে।
উন্নত যোগাযোগ ও সংযোগ:
১) ৫জি নেটওয়ার্ক: ৫জি নেটওয়ার্ক উচ্চগতির ডেটা ট্রান্সমিশন এবং কম বিলম্বতা প্রদান করে, যা ভিডিও কনফারেন্সিং, রিমোট কাজ এবং টেলিমেডিসিনের মতো ক্ষেত্রগুলিকে উন্নত করবে।
২) ক্লাউড কম্পিউটিং: ক্লাউড কম্পিউটিং ব্যবহারকারীদের যেকোনো ডিভাইস থেকে ডেটা এবং অ্যাপ্লিকেশনে অ্যাক্সেস প্রদান করে, যা সহযোগিতা এবং তথ্য শেয়ারিংকে সহজ করে তোলে।
স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষায় অগ্রগতি:
১) টেলিমেডিসিন: দূরবর্তী রোগ নির্ণয় এবং চিকিৎসার জন্য টেলিমেডিসিন ব্যবহার স্বাস্থ্যসেবার অ্যাক্সেস উন্নত করবে, বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকায় বসবাসকারীদের জন্য।
২) সুনির্দিষ্ট চিকিৎসা: জিনোমিক্স এবং ডেটা বিশ্লেষণ ব্যবহার করে ব্যক্তিগত চিকিৎসা প্রদান করা সম্ভব হবে, যা রোগ নির্ণয় এবং চিকিৎসার কার্যকারিতা উন্নত করবে।
৩) ব্যক্তিগতকৃত শেখা: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের শেখার ধরন অনুযায়ী শিক্ষা ব্যবস্থা ব্যক্তিগতকৃত করা সম্ভব।
উন্নত নিরাপত্তা ও সুরক্ষা:
১) ফেসিয়াল রিকগনিশন: আপরাধ প্রতিরোধ এবং আইন প্রয়োগকারী কর্তৃপক্ষকে সহায়তা করার জন্য ফেসিয়াল রিকগনিশন ব্যবহার করা যেতে পারে।
২) সাইবার সিকিউরিটি: উন্নত সাইবার সিকিউরিটি ব্যবস্থা ডিজিটাল হুমকি থেকে ব্যক্তিগত তথ্য এবং গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
উদীয়মান প্রযুক্তি: ভবিষ্যতের সম্ভাবনা
উল্লিখিত সুযোগগুলি কেবল উদীয়মান প্রযুক্তির সম্ভাব্য প্রভাবের একটি ঝলক। এই প্রযুক্তিগুলি আরও উন্নত হওয়ার সাথে সাথে, আমরা আরও অভিনব অ্যাপ্লিকেশন এবং উন্নতির আবির্ভাব আশা করতে পারি যা আমাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করবে এবং ভবিষ্যতের রূপরেখা গড়ে তুলবে।
এই প্রযুক্তিগুলির কিছু সম্ভাব্য প্রভাব নিচে আলোচনা করা হলো:
১) সর্বজনীন অ্যাক্সেস: উদীয়মান প্রযুক্তি তথ্য, যোগাযোগ এবং শিক্ষার ক্ষেত্রে সকলের জন্য অ্যাক্সেস প্রদানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। এটি ডিজিটাল বিভাজন কমাতে এবং সকলের জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে সাহায্য করবে।
২) বৈশ্বিক সহযোগিতা: উন্নত যোগাযোগ এবং সহযোগিতার সরঞ্জামগুলি বিশ্বব্যাপী মানুষকে আরও সহজে সংযুক্ত করতে এবং একসাথে কাজ করতে সহায়তা করবে। এটি বৈশ্বিক সমস্যা সমাধানে এবং একটি আরও ন্যায়সংগত এবং টেকসই বিশ্ব গড়ে তোলার জন্য সহযোগিতা বৃদ্ধি করতে পারে।
৩) মানব সম্ভাবনার সম্প্রসারণ: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং অন্যান্য উদীয়মান প্রযুক্তি আমাদের জটিল সমস্যা সমাধান করতে, নতুন আবিষ্কার করতে এবং আমাদের সৃজনশীলতা এবং উদ্ভাবনের ক্ষমতা প্রসারিত করতে সহায়তা করতে পারে।
৪) পরিবেশগত টেকসইতা: উদীয়মান প্রযুক্তি আমাদের পরিবেশের উপর প্রভাব কমাতে এবং আরও টেকসই ভবিষ্যত গড়ে তুলতে সাহায্য করতে পারে। উন্নত দক্ষতা, পুনর্নবীকরণযোগ্য উৎস এবং পরিবেশগত পর্যবেক্ষণের জন্য নতুন সরঞ্জামগুলি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
উদীয়মান প্রযুক্তি আমাদের জীবনে বিপ্লব ঘটানোর সম্ভাবনা রাখে। এই প্রযুক্তিগুলির সুবিধাগুলি গ্রহণ করার জন্য এবং এর সম্ভাব্য ঝুঁকিগুলি মোকাবিলা করার জন্য আমাদের একসাথে কাজ করতে হবে। আমাদের নীতিমালা তৈরি করতে হবে যা নৈতিক নীতিমালা প্রচার করে, সকলের জন্য সুযোগ নিশ্চিত করে এবং এই শক্তিশালী সরঞ্জামগুলির দায়িত্বশীল ব্যবহার নিশ্চিত করে।
এই যাত্রায়, আমাদের সচেতন নাগরিক হিসেবে জ্ঞান অর্জন করা, সম্ভাব্য ঝুঁকি ও সুবিধাগুলি বিবেচনা করা এবং দায়িত্বের সাথে ব্যবহার নিশ্চিত করা গুরুত্বপূর্ণ। উদীয়মান প্রযুক্তি আমাদের ভবিষ্যতকে আরও উজ্জ্বল এবং সমৃদ্ধ করে তুলতে সাহায্য করতে পারে।
উদীয়মান প্রযুক্তির চ্যালেঞ্জগুলো:
উদীয়মান প্রযুক্তি অসাধারণ সুযোগের পাশাপাশি কিছু গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জও নিয়ে আসে। এই চ্যালেঞ্জগুলি মোকাবিলা না করলে, প্রযুক্তির সুবিধাগুলি সবার জন্য উপলব্ধ হওয়া বাধাপ্রাপ্ত হতে পারে এবং এমনকি সমাজে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
কয়েকটি প্রধান চ্যালেঞ্জ হলো:
১) ডিজিটাল বিভাজন: উদীয়মান প্রযুক্তি ব্যবহার করার জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো ও কৌশল সবার নাগালের মধ্যে থাকতে পারে না। এর ফলে অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল এবং দূরবর্তী অঞ্চলের মানুষেরা এই প্রযুক্তির সুবিধা থেকে বঞ্চিত হতে পারে।
২) কর্মসংস্থানের ক্ষতি: কিছু ক্ষেত্রে, অটোমেশন এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মানুষের কর্মসংস্থান হ্রাস করতে পারে। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কর্মশক্তিকে নতুন দক্ষতা অর্জনে সাহায্য করা এবং নতুন ধরনের কর্মসংস্থান সৃষ্টির পরিকল্পনা করা জরুরি।
৩) গোপনীয়তা: উদীয়মান প্রযুক্তিগুলি আমাদের ব্যক্তিগত তথ্যের উপর নির্ভর করে। এই তথ্যের অপব্যবহার রোধে শক্তিশালী গোপনীয়তা আইন এবং নীতিমালা প্রয়োজন।
৪) নৈতিকতা: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং জিনোমিক্সের মতো ক্ষেত্রে নৈতিক বিবেচনা গুরুপূর্ণ। এই প্রযুক্তিগুলির উন্নয়ন এবং ব্যবহার নৈতিক দায়বদ্ধতার সাথে করতে হবে।
৫) সাইবার নিরাপত্তা: উদীয়মান প্রযুক্তিগুলি নতুন ধরনের সাইবার হামলার ঝুঁকি তৈরি করে। আমাদের সাইবার নিরাপত্তা ব্যবস্থা শক্তিশালী করা এবং সাইবার অপরাধ প্রতিরোধে কাজ করা জরুরি।
এই চ্যালেঞ্জগুলি মোকাবিলায় সরকার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং সাধারণ মানুষ- সবারই ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।
আমাদের এমনভাবে উদীয়মান প্রযুক্তি গ্রহণ করতে হবে যাতে সকলের সুবিধা হয় এবং এই প্রযুক্তি আমাদের একটি উন্নত, ন্যায়সংগত ও টেকসই ভবিষ্যতের দিকে নিয়ে যায়।
প্রযুক্তির দ্রুত অগ্রগতির সাথে সাথে, আমরা প্রায়শই নতুন প্রযুক্তি ব্যবহারকারী হিসেবে নিজেদের খুঁজে পাই। কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে জাতীয় নিরাপত্তা এবং টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করতে হলে আমাদের নিজস্ব দেশীয় সফটওয়্যার এবং উদীয়মান প্রযুক্তি উন্নয়ন ও ব্যবহারে জোর দিতে হবে। অন্যথায়, এই প্রযুক্তিগুলোর সুবিধা আমাদের অর্থনীতির জন্য তেমন অর্থপূর্ণ হবে না।
প্রযুক্তি গ্রহণের প্রক্রিয়া:
১) নতুন প্রযুক্তি আবির্ভূত হলে, আমরা সাধারণত বিদেশি কোম্পানি বা দেশের তৈরি প্রযুক্তি ব্যবহার করি।
২) এতে কিছু সুবিধা থাকলেও, দীর্ঘমেয়াদে জাতীয় স্বার্থের ক্ষেত্রে কিছু ঝুঁকিও রয়েছে।
৩) উদাহরণস্বরূপ, জাতীয় নিরাপত্তার সাথে সম্পর্কিত ক্ষেত্রে বিদেশি সফটওয়্যার ব্যবহার করলে, সেই দেশটি আমাদের ডেটা বা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য অ্যাক্সেস করতে পারে।
৪) এছাড়াও, আমরা যদি নিজেরা প্রযুক্তি উন্নয়নে অংশগ্রহণ না করি, তাহলে সেই ক্ষেত্রে দক্ষ জনশক্তি তৈরি হয় না এবং অর্থনীতির টেকসই প্রবৃদ্ধি বাধাপ্রাপ্ত হয়।
সমাধান:
১) সরকারকে গবেষণা ও উন্নয়নে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে এবং স্থানীয় প্রতিষ্ঠান ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে উৎসাহিত করতে হবে।
২) টেকসই অর্থনীতি গড়ে তোলার জন্য দেশীয় প্রযুক্তি নির্মাণে উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করা জরুরি।
৩) শিক্ষা ব্যবস্থায় বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, ইঞ্জিনিয়ারিং ও গণিত (বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, ইঞ্জিনিয়ারিং, এবং গণিত- বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া দরকার যাতে প্রযুক্তি শিল্পে দক্ষ জনশক্তি তৈরি হয়।
৪) প্রযুক্তি গ্রহণের সময় নৈতিক দিকগুলি বিবেচনা করা গুরুত্বপূর্ণ।
৫) ডেটা গোপনীয়তা এবং সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।
৬) সকলের জন্য প্রযুক্তি অ্যাক্সেসযোগ্য করে তোলার জন্য নীতিমালা তৈরি করতে হবে
এই পদক্ষেপগুলি গ্রহণের মাধ্যমে আমরা নিজস্ব প্রযুক্তি উন্নয়নে সক্ষম হব এবং উদীয়মান প্রযুক্তির সুবিধাগুলি আমাদের অর্থনীতির টেকসই প্রবৃদ্ধিতে সহায়ক হবে। শুধুমাত্র ব্যবহারকারী হওয়ার পরিবর্তে, আমাদের এই ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রনকর্তার ভূমিকা পালন করতে হবে।
উদীয়মান প্রযুক্তি আমাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করেছে, নতুন সুযোগ তৈরি করেছে এবং অনেক কাজকে আরও সহজ করে তুলেছে। তবে, এই প্রযুক্তিগুলোর সুবিধাগুলি উপভোগ করার পাশাপাশি, সচেতন নাগরিক হিসেবে আমাদের কিছু গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বও পালন করতে হবে।
সামাজিক সুবিধা সর্বাধিক করার জন্য আমাদের কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে:
নীতিমালা ও আইন প্রণয়ন:
১) নাগরিকদের অধিকার ও গোপনীয়তা রক্ষার জন্য শক্তিশালী নীতিমালা ও আইন প্রণয়ন করা প্রয়োজন।
২) প্রযুক্তির অপব্যবহার রোধ এবং ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষার জন্য কঠোর আইন প্রয়োজন।
৩) এছাড়াও, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, জিন সম্পাদনা এবং সাইবার নিরাপত্তার মতো নতুন প্রযুক্তি ব্যবহারের নৈতিক দিকগুলি বিবেচনা করে নীতিমালা তৈরি করা উচিত।
দক্ষতা বৃদ্ধি:
১) প্রযুক্তির দ্রুত পরিবর্তনের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে কর্মীদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য পুনঃপ্রশিক্ষণ ও দক্ষতা বৃদ্ধির উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন।
২) কর্মীদের নতুন দক্ষতা অর্জনে সহায়তা করা হলে তারা প্রযুক্তির পরিবর্তনের সাথে সাথে কর্মক্ষেত্রে টিকে থাকতে পারবে এবং নতুন সুযোগের সুবিধা নিতে পারবে।
জাতীয় সুরক্ষা:
১) উদীয়মান প্রযুক্তি জাতীয় সুরক্ষার জন্য নতুন হুমকি তৈরি করতে পারে।
২) সাইবার হামলা, গোপন তথ্য চুরি এবং প্রযুক্তিগত নির্ভরতার মতো ঝুঁকি মোকাবিলায় আমাদের জাতীয় সুরক্ষা ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে হবে।
৩) স্থানীয় প্রতিষ্ঠান ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে গবেষণা ও উন্নয়নে উৎসাহিত করা, দেশীয় সফটওয়্যার তৈরি করা এবং প্রযুক্তিগত দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে আমরা জাতীয় সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারব।
দেশীয় প্রযুক্তি জাতীয় উন্নয়নের চাবিকাঠি:
এই পদ্ধতি কেবল আমাদের প্রযুক্তি অর্জনে বিদেশি মুদ্রার ব্যবহার কমিয়ে দেবে না, বরং এটি দেশীয়ভাবে উন্নত প্রযুক্তিগত সফটওয়্যার ও সমাধান রফতানির মাধ্যমে বিদেশি মুদ্রা আয়ের নতুন পথও উন্মোচন করবে। এর ফলে জাতীয় উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
এই পদ্ধতির মাধ্যমে কীভাবে জাতীয় উন্নয়ন সাধিত হবে:
১) বিদেশি মুদ্রা সাশ্রয়: প্রযুক্তি আমদানির জন্য বিদেশি মুদ্রার ব্যয় কমে যাবে। এর ফলে আমরা আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আরও শক্তিশালী করতে পারব এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করতে পারব।
২) নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি: দেশীয় প্রযুক্তি শিল্পের উন্নয়ন নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করবে। এতে করে দেশের অর্থনীতি আরও গতিশীল হবে এবং বেকারত্ব হ্রাস পাবে।
৩) জ্ঞান ও প্রযুক্তির অগ্রগতি: দেশীয় প্রযুক্তি উন্নয়নে গবেষণা ও উন্নয়নে বৃদ্ধি পাবে। এর ফলে জ্ঞান ও প্রযুক্তির অগ্রগতি হবে এবং আমরা বিশ্ব অর্থনীতিতে আরও প্রতিযোগিতামূলক হয়ে উঠতে পারব।
৪) আত্মনির্ভরশীলতা বৃদ্ধি: প্রযুক্তির ক্ষেত্রে আমাদের নির্ভরযোগ্যতা বিদেশের উপর কমে যাবে। এর ফলে আমরা আন্তর্জাতিক তথ্য প্রযুক্তির বাজারে আত্মনির্ভরশীল হয়ে উঠতে পারব।
দেশীয় প্রযুক্তি উন্নয়ন ও ব্যবহার জাতীয় উন্নয়নের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এই পদ্ধতির মাধ্যমে আমরা বিদেশি মুদ্রা সাশ্রয় করতে পারব, নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পারব, জ্ঞান ও প্রযুক্তির অগ্রগতি করতে পারব এবং আমাদের আত্মনির্ভরশীলতা বৃদ্ধি করতে পারব। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে আমরা এই লক্ষ্য অর্জনে সক্ষম হব এবং আমাদের দেশকে আরও উন্নত ও সমৃদ্ধ করে তুলতে পারব।
উদীয়মান প্রযুক্তি আমাদের জীবনে অভাবনীয় সুযোগ এনেছে। সচেতন নাগরিক হিসেবে আমাদের দায়িত্ব হলো এই সুযোগগুলি গ্রহণ করা, নীতিমালা ও আইন প্রণয়নের মাধ্যমে সকলের অধিকার রক্ষা করা, কর্মীদের দক্ষতা বৃদ্ধি করে তাদের নতুন প্রযুক্তির সাথে খাপ খাইয়ে নিতে সাহায্য করা এবং জাতীয় সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
এই পদক্ষেপগুলি গ্রহণের মাধ্যমে আমরা নিশ্চিত করতে পারব যে, উদীয়মান প্রযুক্তি আমাদের সকলের জন্য একটি উন্নত, সমৃদ্ধ এবং ন্যায়সংগত ভবিষ্যৎ তৈরি করে।
লেখক: প্রকৌশলী মো. মুশফিকুর রহমান
প্রধান তথ্যপ্রযুক্তি কর্মকর্তা, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক পিএলসি; সদস্য সচিব, সাইবার নিরাপত্তা সচেতনতা বিষয়ক জাতীয় কমিটি (এনসিসিএ)।