শ্রীবরদীতে নদীর বালু তোলায় ভেঙে পড়ছে তিন গ্রামের কাঁচা সড়ক

শেরপুরের শ্রীবরদীর বাবেলাকোনা এলাকায় পাগলা নদী থেকে চলছে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের মহোৎসব। এতে ভেঙে পড়ছে পাহাড়ি এলাকার তিনটি গ্রামের একমাত্র কাঁচা সড়কটি। বাড়িঘর ভেঙে ক্ষয়ক্ষতি ও যাতায়াতে ভোগান্তির আশঙ্কা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
ভারতের মেঘালয় রাজ্যের পোড়াকাশিয়া সীমান্ত এলাকা থেকে নেমে আসা পাগলা নদী বয়ে গেছে উপজেলার বাবেলাকোনা গ্রাম হয়ে ভাটি অঞ্চলে। বাবেলাকোনা সীমান্তে এ নদীর মোহনা।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বাবেলাকোনা গ্রামের পার্শ্ববর্তী মেঘাদল গ্রামের মাসুদ মিয়া, কাদির মিয়া, রাজা মিয়া ও কর্ণঝোড়া গ্রামের ইয়াছিন আলীসহ কয়েকজনের একটি চক্র দীর্ঘদিন ধরে প্রকাশ্যে বালু উত্তোলন করছে।
বাবেলাকোনা গ্রামের বাসিন্দা হযরত আলী, লুৎফর রহমান ও ইয়াসিন মিয়া জানান, অবাধে বালু উত্তোলন ও পরিবহনে ক্রমাগত ভেঙে পড়ছে নদীর দুই পাড়। ক্ষতবিক্ষত হচ্ছে বাবেলাকোনা, হারিয়াকোনা ও দিঘলাকোনা গ্রামে যাতায়াতের একমাত্র কাঁচা সড়কটি। হুমকির মুখে পড়েছে পরিবেশের ভারসাম্য।
স্থানীয় একটি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক রবিউল ইসলাম বলেন, ‘প্রতিদিন পাগলা নদী থেকে তুলে তা বহনে ব্যবহার হচ্ছে মাহিন্দ্রা ট্রাক্টর। এসব গাড়ির শব্দে অনেক সময় শিক্ষার্থীদের পাঠদানে বিঘ্ন ঘটছে।’ অবৈধ বালু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কোনো কথা বললেই অপমান করা হয় বলে অভিযোগ করেন তিনি।
পাগলা নদীর পাড়ের বাসিন্দা রনি মিয়া ও মোস্তাফিজ বলেন, বালু বহনে মাহিন্দ্রা ট্রাক্টরের অবাধ যাতায়াতের ফলে আমাদের বাড়ির সীমানাপ্রাচীর ভেঙে যাচ্ছে। নদীর দুই পাড় ভেঙে যাওয়ায় বসতভিটা ভেঙে পড়ার আশঙ্কা দুই স্থানীয় বাসিন্দাদের।
বালু উত্তোলনকারী মাসুদ মিয়ার দাবি, তারা প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই বালু উত্তোলন করেন। তিনি বলেন, ‘এতে কার কী হবে, এটা আমগোর জানার বিষয় না।’
অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের সত্যতা নিশ্চিত করে সিংগাবরুনা ইউনিয়ন ভূমি অফিসের উপসহাকারী ইবনে জায়েদ বলেন, ‘বালু উত্তোলনের সংবাদ পেলে আমরা অভিযান পরিচালনা করব।’
সিংগাবরুনা ইউপি চেয়ারম্যান ফখরুজ্জামা বলেন, ‘বালু উত্তোলনকারীরা কারও কথাই মানে না। আমি অনেক নিষেধ করেছি। কিন্তু মানছে না তারা।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রেজোয়ান ইফতেখার।
(ঢাকাটাইমস/১৪জুলাই/মোআ)

মন্তব্য করুন