নিজেদের রাজাকার ঘোষণা দিয়ে শিক্ষার্থীদের স্লোগান লজ্জার: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ | ১৫ জুলাই ২০২৪, ১৪:২৫ | আপডেট: ১৫ জুলাই ২০২৪, ১৬:৪৮

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস

বর্তমান শিক্ষার্থীদের অর্জিত শিক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, “নিজেদের রাজাকার ঘোষণা দিয়ে শিক্ষার্থীদের স্লোগান লজ্জার। ইতিহাস জানে না বলেই শিক্ষার্থীরা নিজেদের রাজাকার বলতে লজ্জা পাচ্ছে না।’’

সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালযয়ের শাপলা হলে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) স্বাক্ষর এবং এপিএ ও শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “তারা জানতো না পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও রাজাকার বাহিনী কীভাবে দেশে অত্যাচার চালিয়েছে। অমানবিক নির্যাতন ও রাস্তায় পড়ে থাকা লাশগুলো তারা দেখেনি। তাই নিজেদের রাজাকার বলতে লজ্জা বোধ করে না।”


তিনি আরও বলেন, “মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রতিষ্ঠা করাই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য। যারা লাখ লাখ শহীদের রক্ত​ ঝরিয়েছে, আমাদের লাখ লাখ মা-বোনের রক্ত। আমরা তাদের অবদান ভুলব না। এটা আমাদের মনে রাখতে হবে।”

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘তার সরকার গণহত্যা, লুটপাট, নারী নির্যাতন, রাজাকার বাহিনী ও শান্তি কমিটি গঠন এবং বাহিনীকে আগ্নেয়াস্ত্র দেওয়ার সঙ্গে জড়িত যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিয়েছে।”

“বিচারের পর তাদের অনেককে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং এভাবে নির্যাতিত মানুষ ন্যায়বিচার পেয়েছে” বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় রাজাকারদের দ্বারা নারীরা চরমভাবে লাঞ্ছিত হওয়া সত্ত্বেও মেয়েদের কাছ থেকে নিজেদের রাজাকার বলে স্লোগান শোনাটা খুবই দুঃখজনক।”

উল্লেখ্য, কোটা সংস্কারের আন্দোলনে থাকা শিক্ষার্থীদের অবমাননা করা হয়েছে দাবি করে রবিবার রাতে স্লোগানে স্লোগানে উত্তাল হয়ে উঠে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাস।

রবিবার রাত ১১টার দিকে ঢাবির বিভিন্ন হল থেকে শিক্ষার্থীরা দলে দলে বের হয়ে আসেন। রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঢাবির মেয়েদের হল থেকে নারী শিক্ষার্থীদেরও বেরিয়ে এসে মিছিলে যোগ দিতে দেখা গেছে।

এসময় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা ‘তুমি নও আমি নই, রাজাকার রাজাকার’, ‘চেয়েছিলাম অধিকার হয়ে গেলাম রাজাকার’, ‘লাখো শহীদের রক্তে কেনা দেশটা কারো বাপের না’, ‘তুমি কে আমি কে রাজাকার রাজাকার’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়েও বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা।

এর আগে রবিবার বিকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চীন সফর বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে চলমান কোটা বিরোধী আন্দোলন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে এত ক্ষোভ কেন? মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি-পুতিরা চাকরি পাবে না, তাহলে কী রাজাকারের নাতি-পুতিরা পাবে?”

(ঢাকাটাইমস/১৫জুলাই/এফএ)