রাতে ‘টিউশন ফেরা’ কুবি শিক্ষার্থীর ওপর ছাত্রলীগের পদপ্রত্যাশীদের হামলা
প্রকাশ | ১৫ জুলাই ২০২৪, ২৩:১০ | আপডেট: ১৫ জুলাই ২০২৪, ২৩:৫৫
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী এক শিক্ষার্থীকে মারধর করেছে শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ হাসিনা হলের সামনে এই ঘটনা ঘটে।
হামলার শিকার ফরহাদ কাউসার গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
হামলাকারীরা শাখা ছাত্রলীগের পদপ্রত্যাশী এনায়েত উল্লাহ ও আবু সাদাৎ মো: সায়েমের অনুসারী। অভিযুক্তরা হলেন- মার্কেটিং বিভাগের ২০৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের রবিন দাশ, একাউন্টিং এন্ড ইনফেকশন সিস্টেমস্ বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের রবিউল আলম রিয়াজ, নৃবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের আক্তারুজ্জামান পাভেল, মার্কেটিং বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষেরে আশিকুর রহমান রাফি, নৃবিজ্ঞান বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের জুনায়েদ লামিম, গণিত বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের অর্ণব সিংহ, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের আসিফ এনতাজ রাব্বি এবং আগামী কমিটির পদপ্রত্যাশী মেজবাহউল হল শান্ত।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমি রাতের বাসে শহর থেকে টিউশন করে এসে ক্যাম্পাস গেইট নামি। এরপর আমাকে কয়েকজন ডেকে নিয়ে যান। তারা আমার ফোন কেঁড়ে নিয়ে লক খুলতে বলেন এবং জানতে চান আমি কোটা বিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত আছি কি না। তারা আমার ফোন চেক করতে থাকা অবস্থায় রবিন দাশ প্রথমে আমাকে মারধর করতে শুরু করেন। এরপর পাভেল, রাফি, শান্ত, রিয়াজ, রাব্বিও আমাকে মারধর করেন।’
এ বিষয়ে জানতে একাধিক অভিযুক্তকে কল দিয়েও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুবি শাখার সমন্বয়কদের একজন মো. সাকিব হোসাইন। তিনি বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণভাবেই আজকের সব কর্মসূচি পালন করেছিলাম। কিন্তু এই যে হামলা সেটিতে আমরা মর্মাহত। পাশাপাশি তার ফোন চেক করা একপ্রকার সাংবিধানিক অধিকার লঙ্গন করা হয়েছে। আমরা এর যথাযথ বিচার চাই।’
সাকিব আরও বলেন, ‘আমরা প্রশাসন বরাবর অভিযোগ দেবো। তারা যদি যথাযথ বিচার না করেন তাহলে আমরা আদালত পর্যন্ত যাব।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, ‘আমরা এই বিষয় কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ এলে আমরা যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
(ঢাকাটাইমস/১৫জুলাই/এইচ/এসআইএস)