আন্দোলনকারীদের চোখে-মুখে ভয় আতঙ্ক জড়তা নেই

প্রকাশ | ১৬ জুলাই ২০২৪, ১২:৪৯ | আপডেট: ১৬ জুলাই ২০২৪, ১৩:০৬

ড. আনোয়ার হোসেন

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরসমূহের নথি অনুযায়ী স্বাধীনতার পর ১৯৭২ হতে ১৯৭৬ সাল পর্যন্ত মাত্র ২০ শতাংশ মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হতো বাকি ৮০ শতাংশ কোটার ভিত্তিতে ১৯৭৬ সালে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ ৪০ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয় ১৯৮৫ সালে প্রথম এবং দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরিতে ৪৫ শতাংশ মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ চালু হয় বাকি ৫৫ শতাংশ কোটার ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হয় পরবর্তী সময়ে ১ শতাংশ প্রতিবন্ধীদের জন্যসহ মোট ৫৬ শতাংশ কোটার ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হয় এ ৫৬ শতাংশের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা কোটা ৩০ শতাংশ ২০১৮ সালে নবম এবং দশম গ্রেডে চাকরিতে  কোটা বাতিল করা হলেও অবশিষ্ট গ্রেডে কোটা বহাল থাকে মুক্তিযোদ্ধা এবং তাদের সন্তানদের কোটা আরোপের বিষয়ে বিতর্ক থাকলেও মেধাবীরা  মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি-নাতনিদের জন্য কোটা আরোপের কোনোধরনের ছাড় দিতে রাজি নয় উল্লেখ্য, বাংলাদেশের ইতিহাসে কোনো নিয়োগেই ৩০ শতাংশ  মুক্তিযোদ্ধার সন্তান পাওয়া যায়নি

মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা বাংলাদেশ সরকারের ২০১৮ সালের কোটা বাতিল করার পরিপত্র(স্মারক) বাতিল করার জন্য হাইকোর্টে রিট করেন হাইকোর্ট যথাযথ ব্যবস্থাও নিয়েছে বাংলাদেশ সরকারও তার অবস্থানের দিক থেকে অ্যাটর্নি জেনারেলের মাধ্যমে ব্যবস্থা নিয়েছেন কোটা আন্দোলনকারীরা বিষয়টি আমলে না নিয়ে নির্বাহী বিভাগের নিকট তাদের দাবি বলে বারবার বলে আসছেন আদালতও সর্বশেষ নির্বাহী বিভাগের কোর্টে বল ঠেলে দিয়েছেন এখন নির্বাহী বিভাগ যুক্তিসঙ্গতভাবে সংস্কারের প্রস্তাব আদালতে দাখিল করলে সকল পক্ষই জয়লাভ করবে বলে মনে করি কিন্তু আন্দোলনকারীদের সামনে সমস্যা দানা বাধে অবিশ্বাসের  দেওয়াল তারা বিচার বিভাগ ও সরকারের প্রতি বিশ্বাস ও আস্থা খুঁজে পাচ্ছে না বলে এখনো রাজপথে

আমাদের রাষ্ট্রের বড় দুর্বলতা হলো তারা অনগ্রসরদের জন্য কোটা সংরক্ষণ করা হয়েছে বলে বারবার দাবি করে থাকেন কিন্তু তারা অনগ্রসরের সঠিক ব্যাখ্যা অদ্যাবধি প্রদান করতে সক্ষম হননি যেমনÑভারতে কোটা নিয়ে আন্দোলন হয়েছিল এই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট হস্তক্ষেপ করেছিল আদালতে অ্যাটর্নি জেনারেলকে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি জিজ্ঞাসা করেছিল এই কোটা কি অনন্তকাল চলবে অ্যাটর্নি জেনারেল যথাযথ যুক্তি দাঁড় করেছিল অনগ্রসর মানে হলো যাদের জমি ৪ একরের কম, যারা ৮ লক্ষ রুপির কম বাৎসরিক ইনকাম করেন যারা ১ হাজার স্কয়ার ফিটের কম বাড়িতে থাকেন ইত্যাদি ইত্যাদি

বর্তমানে যারা কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতৃত্বে আছেন তাদেরকে দেখলেই মনে হয় বঙ্গবন্ধু, মাওলানা ভাসানী এবং শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের যোগ্য উত্তরসূরি নেতৃত্ব দেওয়ার সকল যোগ্যতাই তাদের রয়েছে আন্দোলনকারীদের চোখেমুখে ভয়  নেই, আতঙ্ক নেই, জড়তা নেই কেবলই আত্মবিশ্বাসের চাপ তাদের চেহারায় এ জাতি যখন নেতৃত্ব শূন্য হয়ে পড়ার দ্বারপ্রান্তে এসে পৌঁছেছে, দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েছে, প্রায় মেধাশূন্য হওয়ার দ্বারপ্রান্তে, দুর্নীতির করালগ্রাসে নিমজ্জিত হয়েছে এই আন্দোলনকারীদের মধ্যে আমরা আশার আলো দেখতে পাচ্ছি লেজুড়বৃত্তির ছাত্র নেতৃত্ব নয় এরাই আগামী দিনের বঙ্গবন্ধুর ন্যায় নেতৃত্বগুণ সম্পন্ন দামাল ছেলে

এই আন্দোলন হতে বাংলাদেশের মূলধারার ছাত্র সংগঠনগুলোর অনেককিছুই শেখার আছে যেমনÑ নিজেদের মধ্যে একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ, আক্রমণাত্মক ও শেখানো বুলি না আওড়িয়ে আন্দোলনকারীরা কিভাবে নিজেদেরকে এবং দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীদেরকে অল্প সময়ের মধ্যে সংগঠিত করতে পেরেছে যথাযথ মেধার প্রয়োগ করে কিভাবে অন্যের লেজুড়বৃত্তি না করে স্মার্টলি অধিকাংশ মানুষেরই মন জয় করা যায় কিভাবে সংঘাতে না জড়িয়েও পুলিশের বেষ্টনী ভেদ করতে হয় তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে তাদের থেকে সৃজনশীলতা শিক্ষা নেওয়া যেতে পারে কারণ তারা প্রচলিত কোনো রাজনৈতিক সংগঠনের কর্মী নয় তাদের অন্যকে অনুকরণ বা অনুসরণের সুযোগ ছিল না নিজ গুণেই তারা সফল  নেতৃত্ব দিয়ে, সকল বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজসমূহকে সংগঠিত করতে সফল হয়েছে তারা আদালত এবং সরকারের যুক্তিগুলো যথাযথভাবে ও যুক্তিসঙ্গত এবং আইনসম্মতভাবে খন্ডন করতে সক্ষম হয়েছে কোনো ধরনের কুযুক্তি দাঁড় করাতে হয়নিতাদের কোনো ধরনের  গোয়ার্তুমি ও একগুঁয়েমি বা পেশিশক্তি আন্দোলনকারীদের ব্যবহার করতে হয়নি এ আন্দোলনে তারা এত বেশি দক্ষতা নৈপুণ্যের সঙ্গে ঢেলে সাজিয়েছেন, কোনো ধরনের কায়দা কানন করে তাদেরকে দমানো যাচ্ছে না এ আন্দোলনে নিজেদের মধ্যে যাতে ইগোয়েষ্টিক ব্যাপার না হয় সে জন্য তারা বাংলাদেশে চলমান গতানুগতিক সভাপতি/আহ্বায়ক, সাধারণ সম্পাদক/যুগ্ম আহ্বায়ক/সদস্য সচিব ইত্যাদি বাদ দিয়ে সবাই নিজেদেরকে অন্যতম সমন্বয়ক সম্বোধন করে নিজেদের মধ্যে ঐক্য অটুট রাখতে সক্ষম হয়েছেন তারা জ্বালাময়ী ও উসকানিমূলক বক্তব্য পরিহার করে পরিপক্ষ বিতার্কিক ভঙ্গিতে যুক্তিগুলো স্মার্টলি তুলে ধরতে সক্ষম হচ্ছেন এমনকি স্মার্টলি যুক্তি খন্ডন করতেও সফল হচ্ছেন পোশাক-আশাকেও তারা মার্জিত ও দৃষ্টিকটু ছিল না তাদেরকে আমার মনে হয়েছে আত্মপ্রত্যয়ী, আত্মবিশ্বাসী, মেধাবী এবং পরিশ্রমী তাদের প্রচার সামগ্রী যেমনÑ প্লেকার্ড, ফেস্টুন ও পোস্টার হাতের লেখা ছিল কোনো ধরনের উসকানিমূলক নয় বরং শিক্ষণীয় ও অনূকরণীয় স্লোগানে ভরপুর ছিল তাদের প্রতিটি কর্মসূচি তাদের প্রতিটি পদক্ষেপে রয়েছে নিজস্ব স্বকীয়তা

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ স্থিতাবস্থা জারির পর আন্দোলনকারীদের নেতৃত্ব প্রদানকারীগণ এক মিনিটও সময় ক্ষেপণ না করে সিদ্ধান্ত নিলেন যে আন্দোলন কেবল অব্যাহত থাকবে না বরং আরো তীব্রতর করা হবে তারা যুক্তি দেখালো যে, আমাদের আন্দোলন নির্বাহী বিভাগের বিরুদ্ধে, আদালতের বিরুদ্ধে নয়, আদালতকে আমরা সম্মান করি নির্বাহী বিভাগ সংসদে বিল নিয়ে এসে আদেশ জারির পর অথবা নির্বাহী বিভাগ হতে আদেশ জারি করলে আমরা ক্লাসে ফিরে যাবো এখন আদালতের পূর্ণাঙ্গ রায়েতাদের সেই যুক্তি যে সঠিক ছিল এটিই প্রমাাণিত হয়েছে অথচ প্রায়শ বাংলাদেশের হাইকোর্ট কোনো রায় দিলে সরকার/রাষ্ট্রের কর্তা ব্যক্তিগণ সিদ্ধান্ত নিতে দীর্ঘ সময় ক্ষেপণ করতে হয় আর আমাদের তরুণনেতৃত্ব তৎক্ষণাৎ সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম হয়েছেন একেই বলে প্রকৃত স্মার্ট নেতৃত্ব

বাংলাদেশের মূল ধারার ছাত্র সংগঠনগুলোর আধুনিক সংস্করণ হলো মিছিলে গালিগালাজ, মুখস্থ কতগুলো শেখানো বুলি, খিস্তি খেউর ভাষা, অন্য পক্ষকে অপদস্থ করা, হুমকি ধামকি, অতর্কিতভাবে যাকে সামনে পায় তার ওপরেই হামলা

চলমান আন্দোলন এবং অতীতের সকল গণআন্দোলনের মধ্যে ব্যবধানÑ চলমান আন্দোলনে অনেকগুলো ব্যতিক্রম পরিলক্ষিত হয় যেমনÑ ইংরেজিতে যাকে ‘কেপি’ বলা হয় অর্থাৎ রেস্ট্রিকটেড জোন বলা হয় যেমনÑ প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের কাছাকাছি, প্রেসিডেন্টের বাসভবনের কাছাকাছি, ক্যান্টনমেন্ট, মন্ত্রীপাড়া এসব গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় সাধারণত আন্দোলন করতে দেওয়া হয় না এই আন্দোলনে এই সব এলাকায় আন্দোলনকারীদের সরব উপস্থিতি পরিলক্ষিত হয়েছে বিশেষ করে রমনার আশপাশের এলাকায় ও মিন্টো রোডসহ পুরোটাই আন্দোলনকারীদের দখলে ছিল পুলিশ সাধারণত যেভাবে যুদ্ধংদেহী মনোভাব নিয়ে থাকে এ ক্ষেত্রে সেরকম কিছু দেখা যায়নি অতীতে সরকারের বড় কর্তাগণ সাধারণত গাড়িতে স্টিকার লাগিয়ে কোনো কিছুর পরোয়া না করেই চলতেন এক্ষেত্রে তারা ঘণ্টার পর ঘণ্টা ঠায় দাঁড়িয়ে রয়েছেন পূর্বে যেমন তারা আতঙ্কে থাকতেন যে, কখন যে আন্দোলনকারীরা গাড়িতে আগুন দেবেন বা গায়ে হাত তুলবেন এই ক্ষেত্রে এ ধরনের আতঙ্কগ্রস্ত তারা ছিলেন না অন্যান্য আন্দোলনের মতো এই আন্দোলনেও পথচারীদেরও দুর্ভোগ হয়েছে পথচারীরা এ ক্ষেত্রে নির্দ্বিধায় তাদের হাসপাতালে রোগী নিয়ে যেতে হবে বা অন্য কোনো জটিল সমস্যাগুলো আন্দোলনকারীদেরকে বলতে সক্ষম হয়েছেন আন্দোলনকারীরা প্রয়োজন মনে করলে ক্ষেত্রবিশেষে কিছু সংখ্যক গাড়িকে ছেড়েও দিয়েছেন কখনো পথচারীরা রাগ করে আন্দোলনকারীদেরকে  তেড়েও গিয়েছিলেনকিন্তু আন্দোলনকারীরা ঠান্ডা মাথায় উর্বর মস্তিষ্কেশান্ত ছিলেন এভাবে তারা ধীরস্থিরভাবে পুরোপরিস্থিতি সামাল দিতে সক্ষম হয়েছেন

এই আন্দোলন চলাকালে নতুন করে যুক্ত হলো পাবলিক সার্ভিস কমিশনের একজন গাড়িচালকের প্রশ্ন ফাঁস কেলেঙ্কারি এর মাধ্যমে নতুন করে যেন আগুনে ঘি ঢেলে  দেওয়ার মতো অবস্থা দাঁড়ালো অর্থাৎ দেখা গেল যে ৫৬% শতাংশ কোটা, বাকি৪৪% শতাংশ ও প্রশ্ন ফাঁসের মাধ্যমে নিয়োগ হয়েছে অতীতে অর্থাৎ মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ শূন্য শতাংশ হয়েছে

দেশ দুর্নীতিবাজদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে এই অবস্থায় অনেক দুর্নীতিবাজ গণমাধ্যমের কল্যাণে বিপদে পড়েছেন দুর্নীতিবাজরা একে অপরকে বিপদে ফেলার জন্য এই আন্দোলনকে ব্যবহার করতে পারেন যেমন ধরুন একজন দুর্নীতিবাজ পল্টনে রয়েছেন, আরেকজন দুর্নীতিবাজ শাহবাগে আন্দোলনকারীদের পিকেটিংয়ের কারণে আটকা পড়েছেন একে অপরকে বিপদে ফেলার জন্য মুঠোফোনে আন্দোলনকারীদের মধ্যে হতে কল করে বলল, তার ক্ষতি করার জন্য

কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা সতর্ক থাকবেন যাতে কোনো ধরনের অনুপ্রবেশকারী, নাশকতাকারী ও ঘোলা পানিতে মাছ শিকারকারী যেন আপনাদের ওপর ভর করতে না পারে বাংলাদেশের সকল পক্ষকে এই আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য/আন্দোলনেরঅপব্যবহার করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করা হতে নিজেদেরকে দূরে রাখা উচিত কোনো পক্ষকে লেলিয়ে দেওয়া বা শত্রুতা পোষণ করা/ব্যাঙ্গাত্মক দৃষ্টিভঙ্গি দেখানোর মাধ্যমে নিজের হীন মানুষিকতার পরিচয় না প্রদান করাই শ্রেয়

এই আন্দোলন অনেকটা যৌক্তিক হওয়ায় পজিটিভ পরিণতির দিকেই যাচ্ছে আন্দোলনকারীদের দাবি ছিল নির্বাহী বিভাগের প্রতি

বিশ্বাস অবিশ্বাসের দোলাচলে কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীরা সর্বশেষ সুপ্রিম কোর্ট হাইকোর্টের রায়ের ওপর স্থিতাবস্থা জারি করেছেন অর্থাৎ হাইকোর্টের রায় অকার্যকর যা ৭ আগস্ট পর্যন্ত বলবৎ থাকবে অকার্যকর মানেই হলো ২০১৮ সালের সরকারের জারিকৃত পরিপত্র বহাল অর্থাৎ এ সময়ে কোনো ধরনের সরকারি নিয়োগ হলে পূর্বের ন্যায় কোটা থাকবে না এখন কোটি টাকার প্রশ্ন হলো তাহলে ছাত্ররা কেন রাস্তায় তাদের আন্দোলন অব্যাহত রাখলেন আমি গত কয়েকদিন আগে এক বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীর মুখ থেকে শুনেছি তিনি বলেছেন আমাদের বর্তমান ছাত্র সমাজের কাছে দেশের বিচার ব্যবস্থা ও সরকার ব্যবস্থার প্রতি ন্যূনতম কোনো ভরসা নেই এই কথাটি যদি সঠিক হয়ে থাকে যে, যেহেতু সাধারণ ছাত্র সমাজ এখনো দেশের বৈষয়িক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত হননি তাহলে বিষয়টি ভয়ংকর আর যদি বিষয়টি কারো শেখানোবুলি হয় তাহলে ভিন্ন কথা সরকারও আদালতের প্রতি আস্থাহীনতা এটা যেকোনো সমাজ ও দেশের জন্য অশনি সংকেত সরকার এবং আদালত এমন কী করেছেন যাতে তাদের মনের মনিকোঠায় দাগ কেটেছে এ ছাত্র সমাজ যাদের বয়স ১৮ হতে ২৬-এর মধ্যে হতে পারে আমি যদি মাঝামাঝি বয়স ধরি অর্থাৎ ২২ বছর যিনি ২২ বছরের ছাত্র তিনি ৮ বছর হতে এই সরকারকে দেখছেন বর্তমান যিনি সরকারপ্রধান আছেন এবং মন্ত্রী পরিষদের সদস্যবৃন্দ রয়েছেন সরকার বলতে তাদেরকেই বুঝেছেন এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী আর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তারা দেখে এসেছে ছাত্রলীগকে প্রধান বিচারপতি একাধিকবার আন্দোলনকারীদেরকে অনুরোধ করেছেন আদালতে প্রতিনিধি প্রেরণ করতে সরকারের সংশ্লিষ্ট একাধিক মন্ত্রী ও ক্ষমতাসীন দলের অসংখ্য নেতা এই ছাত্র সমাজকে বারবার অনুরোধ করছেন তাদের ওপর বিশ্বাস ও আস্থা রাখতে কিন্তু কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা অনড় তারা রাজপথকেই আস্থার জায়গা মনে করেন আদালত ও সরকারকে নয় বিষয়টি নিয়ে গভীরভাবে আমাদের সরকার ও বিচার বিভাগকে ভাবতে হবে এবং কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে যাতে এই জেনারেশন তাদের ওপর আস্থা ও বিশ্বাস খুঁজে পান

 

লেখক: ড. আনোয়ার হোসেন, সভাপতি, ফ্রিডম ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্টি অ্যালকোহল