হল ছাড়ছেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা

প্রকাশ | ১৭ জুলাই ২০২৪, ০৯:৫৬

বেরোবি প্রতিনিধি, ঢাকা টাইমস

পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে আবু সাঈদ নামে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণার পর হল ছাড়ছেন শিক্ষার্থীরা।

বুধবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ে সরেজমিন গিয়ে অনেক শিক্ষার্থীকে বেডিংপত্র নিয়ে নিজ নিজ বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হতে দেখা যায়।

এর আগে মঙ্গলবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০৬তম জরুরি সিন্ডিকেট সভায় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয় রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়। একই সঙ্গে বুধবার দুপুর ১২টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশনা দেওয়া হয়।

বুধবার সকাল ৭টায় দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল, শহীদ মুখতার ইলাহি হল ও শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল থেকে শিক্ষার্থীরা বেডিংপত্র নিয়ে বের হয়ে যাচ্ছেন। কেউ রিকশা, আবার কেউ বাসের জন্য অপেক্ষা করছেন।

খাইরুল নামে এক শিক্ষার্থী ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘ক্যাম্পাসে থাকার ইচ্ছা ছিল। এখন আর তা সম্ভব হচ্ছে না।’

জোবায়ের নামে আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘মঙ্গলবার বিকাল থেকে বাসায় যাওয়ার জন্য পরিবারের সদস্যরা ফোন করছে। রাতে ক্যাম্পাসের বাইরে ছিলাম। এখন বাড়ি যাচ্ছি।’

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন পার্কমোড়, মর্ডান মোড় ও শহরের গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুরে বেরোবিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনে অংশ নিয়ে পুলিশের রাবার বুলেটে প্রাণ হারান আবু সাঈদ নামে এক শিক্ষার্থী। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, নিহত আবু সাঈদ এই আন্দোলনে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম সমন্বয়ক ছিলেন। তিনি সামনে থেকে আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন।

দুপুরে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের সম্মিলিত একটি বিক্ষোভ মিছিলটি বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রবেশের চেষ্টা করলে পুলিশ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বাধা দেয়। একপর্যায়ে পুলিশ ও ছাত্রলীগের সঙ্গে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ বাধে।

সে সময় ত্রিমুখী সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা। এ সময় শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে শতাধিক টিয়ারশেল, রাবার বুলেট ও কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে পুলিশ। এই সংঘর্ষে মিছিলের সামনে থেকে বুক পেতে দিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে আবু সাঈদ মারা যান।

(ঢাকাটাইমস/১৭জুলাই/এজে)