রাজশাহীতে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আ. লীগের সংঘর্ষ, আহত ৫

প্রকাশ | ১৮ জুলাই ২০২৪, ১৪:৩৮ | আপডেট: ১৮ জুলাই ২০২৪, ১৫:৩২

রাজশাহী ব্যুরো, ঢাকা টাইমস

কোটা সংস্কারের নামে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় ৮-১০টি হাত বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এতে সংঘর্ষ ও বোমার আঘাতে মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ডা. সিরাজুম মনির সবুজসহ অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন। যাদের মধ্যে তিনজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে একজন ডাল ব্যবসায়ী বলে জানা গেছে।

বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শহরের সাহেববাজার জিরোপয়েন্টে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদশীরা জানায়, বেলা সাড়ে ১০টার দিকে কোটা সংস্কারের নামে আন্দোলনকারীরা লাঠি হাতে সাহেববাজার জিরোপয়েন্টে জড়ো হন। এ সময় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তাদের ধাওয়া দেয়। আন্দোলনকারীরা পালানোর সময় হাত বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। এ সময় দু-তিনজনকে ধরে মারধর করে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। পরে সেখানে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। তিনি বাইকে আন্দোলনকারীদের বাড়ি ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানান। এছাড়াও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রাজশাহীর সমন্বয়ক রাফিন হাসান অর্নবও মাইকিং করে শিক্ষার্থীদের চলে যেতে বলেন। 

পরে খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, আন্দোলন এখন ছাত্রদের হাতে নেই। কোটা সংস্কার আন্দোলন ছাত্রদের কাছ থেকে বিএনপি-জামায়াত চক্র ছিনিয়ে নিয়েছে। তারা এখন অরাজকতা পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করছে। কিন্তু সেটি মেনে নেওয়া হবে না। অরাজকতা করলে দাঁতভাঙা জবাব দেওয়া হবে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বেশ কয়েকটি পয়েন্টে অবস্থান নিয়েছে। কোনোভাবেই কাউকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে দেওয়া হবে না।

এদিকে সংঘর্ষের কারণে সাহেববাজার এলাকার দোকানপাট বন্ধ ছিল। তবে শহরে যানবাহন চলাচলও কম রয়েছে। এছাড়াও অবরোধের কারণে রাজশাহী থেকে দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে আন্তঃনগর বাস চলাচল করছে।
অপরদিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। বেশিরভাগ শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের হল ছেড়ে চলে গেছেন।

বোয়ালিয়া থানার ওসি হুমায়ন কবীর জানান, কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে ছাত্রশিবির ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা লাঠিসোটা নিয়ে সাহেববাজার জিরোপয়েন্টে জড়ো হওয়ার চেষ্টা করে। পরে পুলিশসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ধাওয়া খেয়ে তারা পালিয়ে যায়। শহরের পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।


(ঢাকা টাইমস/১৮জুলাই/এসএ)