সীমাহীন মূল্যে কেনা হলো কোটা-সংস্কারের দাবিসমূহ
প্রকাশ | ২৪ জুলাই ২০২৪, ১০:৪৮ | আপডেট: ২৪ জুলাই ২০২৪, ১৬:২৯
কোটা-সংস্কার আন্দোলন শেষ পর্যন্ত একটি সন্তোষজনক সমাধানে পৌঁছাতে সমর্থ হলো বটে কিন্তু এর জন্য চুকাতে হলো এক সীমাহীন মূল্য। ৯৩% মেধাকোটা রেখে হাইকোর্টের আপিল বিভাগের রায় ঘোষণা করা হয়েছে গত রবিবার। ৫% মুক্তিযোদ্ধা কোটা, ১% আদিবাসী কোটা এবং ১% প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গ কোটা রাখা হয়েছে আপিল বিভাগের এই রায়ে। রায়ে কোটা-সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরাও ইতোমধ্যে সর্বোচ্চ সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে। তবে তাদের অন্য দাবিগুলো থেকে তারা এখনো সরে যায়নি। তাদের অন্য দাবিগুলো হলো- কোটা-সংস্কার আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থীদের সঠিক তদন্ত-উত্তর বিচার, কোটা-সংস্কার আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে কোনো আইনানুগ ব্যবস্থা না নেওয়া, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে নস্যাত করতে যে সমস্ত বিশ^বিদ্যালয়ের ভিসি ও প্রক্টর অপচেষ্টা চালিয়েছে তাদের পদত্যাগ, ছাত্রলীগ-যুবলীগসহ সরকার সমর্থিত ছাত্র সংগঠনগুলোর কোটা-সংস্কার আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর নগ্ন হামলার বিচারসহ ৮ দফা দাবি। হাইকোর্টের রায় ঘোষণার পর প্রধান বিচারপতি কোটা-সংস্কার আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফিরে যেতে আহ্বান জানিয়েছেন।
ইতোমধ্যেই দেশে জারি করা কারফিউ আংশিক তুলে নিয়েছে সরকার; যেটুকু কারফিউ থাকছে সেটুকুতেও বলা যায় অনেকটাই শিথিল আকারে চলছে। রাস্তাঘাটে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। জনজীবনে যে অস্থিরতা ও নানামুখী সংকট সৃষ্টি হয়েছিল গত এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে সেসবও অনেকটাই স্বাভাবিকতার পথ ধরে হাঁটতে শুরু করেছে। আসলে সবকিছুই স্বাভাবিক হবে এবং হচ্ছে- কিন্তু এই সবকিছুর জন্য প্রায় দুইশ তাজা প্রাণ ঝরে যাওয়া ও ব্যাপক ধ্বংসের ক্ষতি স্বীকারের যে সীমাহীন মূল্য চুকাতে হলো পুরো দেশকে তার সমান্তরালে আর কিছু নেই।
শিক্ষার্থীদের কোটা-সংস্কার আন্দোলনে দুই সপ্তাহেরও বেশি সময়ে সারা দেশে পুলিশের গুলিতে প্রায় দুইশ জনের নিহত হওয়ার ঘটনা প্রমাণ করে এই আন্দোলনটি দমাতে সরকার কোনমাত্রার দমনপীড়নের কৌশল গ্রহণ করেছিল। গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন দৈনিক ঢাকা টাইমস-এর সিনিয়র রিপোর্টার হাসান মেহেদী। রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে কোটা-সংস্কার আন্দোলনের খবর সংগ্রহ করার কাজে তিনি নিয়োজিত ছিলেন। হাসান মেহেদীর মতো একজন সৎ, মেধাবী, আত্মপ্রত্যয়ী ও কাজের প্রতি দৃঢ় আস্থাশীল সংবাদকর্মীকে হারিয়ে দৈনিক ঢাকা টাইমস পরিবার যারপরনাই শোকাহত, স্তব্ধ ও বাক্রুদ্ধ। কোটা-সংস্কার আন্দোলনে পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ধাওয়া-পালটা ধাওয়া ও সংঘাত-সংঘর্ষের ভিতর থেকে সংবাদ সংগ্রহ অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ জেনেও নির্ভীক সংবাদকর্মী হাসান মেহেদী সেখান থেকে তাৎক্ষণিক ঘটমান বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ সংগ্রহ করছিলেন। কিন্তু অকুতভয় সেই সংবাদকর্মীও পুলিশের আগ্নেয়াস্ত্রের লক্ষ্যবস্তু হলেন- এটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।
দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে এই কোটা-সংস্কার আন্দোলন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজধানীকেন্দ্রিক আন্দোলনের চৌহদ্দি পার হয়ে সারা দেশে যে ছড়িয়ে পড়েছে এবং ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞে বেশুমার ক্ষয়ক্ষতিসহ বিপুলসংখ্যক প্রাণের বিনষ্টি ঘটেছে- এর দায় কি সরকার কোনোভাবেই এড়াতে পারে? এই আন্দোলন দেশজুড়ে কতটা ছড়িয়ে পড়েছিল এবং কতটা শিক্ষার্থীদের চিত্তবিক্ষোভে পরিণত হয়েছিল তা কিছুটা আঁচ করা যায় পুলিশের গুলিতে নিহত হওয়া প্রায় দুইশ জনের মধ্যে বেশিরভাগই ঢাকার বাইরে নিহত হওয়ার ঘটনা থেকে। কোটা-সংস্কার আন্দোলনের বিস্ফোরোণ্মুখ লেলিহান শিখা ক্রমাগত বিস্ফোরিত হওয়ার দৃশ্যমান বাস্তবতা দেখে এটা অনুধাবন করতে মোটেও কষ্ট হয় না যে- এই আন্দোলন কোনোভাবেই দমানোর মতো ছিল না সরকারের পক্ষে।
আন্দোলনের ব্যাপকতা দেখে প্রথম অবস্থায় সরকার শুধু বিজিবিই পথে নামায়নি, দেশের সমস্ত বিশ^বিদ্যালয়-কলেজ-স্কুল বন্ধ ঘোষণাও করেছে এবং সকল ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রাবাসগুলোও খালি করার নির্দেশ দিয়েছে। বলা হচ্ছে- জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। এ ছাড়া সব শিক্ষা বোর্ডের এইচএসসি ও সমমানের পরবর্তী পরীক্ষাগুলোও স্থগিত করা হয়েছে। কিন্তু এতেও চরম বিস্ফোরোণ্মুখ এই আন্দোলনকে সরকারের দমানো সম্ভব হয়নি। শেষ পর্যন্ত গত শুক্রবার মধ্যরাত থেকে সরকার কারফিউ জারি করতে বাধ্য হয়েছে। মাঝে-মধ্যে ২ ঘণ্টার জন্য শিথিলায়নসহ এই কারফিউ চলেছে টানা পাঁচদিন।
এটা খুবই নিন্দনীয় যে- গত ১৫ই জুলাই সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর দফায় দফায় হামলা করে ছাত্রলীগ। এর প্রতিবাদে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এর পরের দিন বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনের ডাক দেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এতে সাড়া দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি সারা দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ রাজধানীর বাইরেও বিক্ষোভ দমনে পুলিশ তো আছেই; এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল ছাত্রলীগের পেটোয়া বাহিনী; তারা লাঠিসোঁটা, কোথাও কোথাও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে আন্দোলনকারীদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছে। টেলিভিশন, প্রিন্ট মিডিয়া ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই নারকীয় হামলার যে দৃশ্য অবলোকন করেছে দেশের মানুষ তাতে সকলেই রীতিমতো আঁতকে ওঠেছে। নারী শিক্ষার্থীদের পর্যন্ত যেভাবে লাঠিপেটা করে রক্তাক্ত করছে ছাত্রলীগের হেলমেট বাহিনীর কর্মীরা তাতে এক বিভীষিকাময় পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল তখন। দফায় দফায় আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার এক পর্যায়ে কোনো কোনো দমনকারীকে আগ্নেয়াস্ত্র উঁচিয়ে গুলি করতেও দেখা গেছে এ সময়। সরকার ও পুলিশ বাহিনীর মদদে প্রকাশ্যে এমন অস্ত্রের মহড়া সবাইকে রীতিমতো হতবাক্ করে দিয়েছে।
স্মর্তব্য, গত ১৪ই জুলাই রাতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা চীন সফর বিষয়ক সংবাদ সম্মেলনে উপস্থাপিত প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের সূত্র ধরে ‘তুমি কে আমি কে, রাজাকার রাজাকার’, ‘চাইতে গেলাম অধিকার, হয়ে গেলাম রাজাকার’ এ ধরনের স্লোগান দেয়। আন্দোলনকারীদের বক্তব্য অনেকটা সক্রেটিক আয়রনির মতো ছিল। অর্থাৎ প্রাধানমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে যেমন বলেছিলেন- ‘মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে এত ক্ষোভ কেন? মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি-পুতিরাও পাবে না? তাহলে কি রাজাকারের নাতি-পুতিরা পাবে? আমার প্রশ্ন দেশবাসীর কাছে। তাহলে কি রাজাকারের নাতি-পুতিরা চাকরি পাবে, মুক্তিযোদ্ধারা পাবে না।’ এই বক্তব্যের ওপর ভিত্তি করেই আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা আয়রনির মতো করে অর্থাৎ বিপরীতধর্মী শ্লেষপূর্ণ বক্তব্যের আদলে নিজেদের রাজাকার হিসেবে উল্লেখ করে এই স্লোগানগুলো দিয়েছে। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা এই স্লোগান মোটেও নিজেদের ‘রাজাকার’ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য দেয়নি। বরং তাদের বক্তব্যকে আরো জোরালোভাবে প্রকাশ করতেই তারা এই শ্লেষপূর্ণ বিপরীতধর্মী স্লোগানগুলো দিয়েছে। এতে তো দোষের কিছু দেখি না।
মনে রাখতে হবে- শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনটা কোনোভাবেই কোটাবিরোধী নয়- মূলতই কোটা-সংস্কারের। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা কখনোই বলছে না যে- নারী কোটা, জেলা কোটা, পিছিয়েপড়া জনগোষ্ঠী বা আদিবাসী কোটা কিংবা প্রতিবন্ধী কোটা বাদ দেওয়া হোক। তারা বলছে মুক্তিযোদ্ধাদের নাতিপুতিদের জন্য যে ৩০% কোটা নির্দিষ্ট করে রাখা হয়েছে, এটাকে কমানো হোক। যেখানে মুক্তিযোদ্ধারা নিজেরা এবং তাঁদের সন্তান-সন্তুতি পর্যন্ত সরকারের দেওয়া যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা পেয়েছেন কিংবা এখনো পেয়ে আসছেন- এটা নিয়ে তো কারো মধ্যে কোনো প্রশ্ন দেখা দেয়নি। কিন্তু একজন মুক্তিযোদ্ধার তৃতীয় প্রজন্ম অর্থাৎ তাঁর নাতি-নাতনির জন্যও ঠিক একই রকম সুযোগ-সুবিধা বহাল থাকবে কেন- এখানেই এসে কোটা-সংস্কারের বিষয়টি সামনে চলে আসে। আর দেশের কোনো মুক্তিযোদ্ধাই তো এই দাবি করেনি যে, তাদের নাতিপুতিদেরও সরকারি কোটায় চাকরি দিতে হবে। বরং অনেক মুক্তিযোদ্ধাই এখন বলছেন- ‘আমরা আমাদের নাতিপুতিদের এই কোটা পদ্ধতির সুবিধাপ্রাপ্তির জন্য মুক্তিযুদ্ধ করিনি।’
প্রশ্ন ওঠেছিল ৫৬% সরকারি চাকরিই যদি কোটা দ্বারা পূরণ করা হয় তাহলে দেশের অগণিত মেধাবীর অবস্থান কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়। তারা সারাজীবন কষ্ট স্বীকার করে বিশ^বিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ ডিগ্রি অর্জন করে যদি অপেক্ষাকৃত কম মেধাবীর নিকট এসে শেষ পর্যন্ত হেরে যায় তাহলে তাদের মধ্যে এই ক্ষোভ তৈরি হওয়াই কি স্বাভাবিক নয়! বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে প্রথম শ্রেণির একটি সরকারি চাকরিকে ধরা হয় সর্বোচ্চ প্রাপ্তি হিসেবে। সরকারি এই মহার্ঘ্যরে বিপরীতে একজন শিক্ষার্থী জীবনভর কঠোর পরিশ্রম করে সেই যোগ্যতাও হয়তো অর্জন করলো কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়ায় কোটা পদ্ধতি। এই সবকিছু মিলে দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষার্থীদের মধ্যে যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছিল তারই বিস্ফোরণ এই কোটা-সংস্কার আন্দোলন। কিন্তু অতীব দুঃখের বিষয় যে- সরকার পরোক্ষভাবে যেমন করে এই আন্দোলন ব্যর্থ করে দেবার চেষ্টা করছে তাতে সরকারের এই কাজের ফল হয়েছে আরো বিপরীত। পুলিশ ও ছাত্রলীগ কর্মীদের দ্বারা সরকার আন্দোলনকারীদের ওপর যে প্রক্রিয়ায় নির্যাতন চালিয়ে আন্দোলনকে ভণ্ডুল করার চেষ্টা করছে তাতে সরকার-পক্ষীয় বুদ্ধিজীবী এবং খাস আওয়ামী লীগের লোকরাও বিষয়টিকে অত্যন্ত ন্যক্কারজনক বিষয় হিসেবে প্রতিপন্ন করেছে।
সন্দেহ নেই দীর্ঘদিন ধরে ধারাবাহিকভাবে বঞ্চিত বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থীর এটা ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ। গত ১৫ই জুলাই আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেছেন- ‘কোটাবিরোধী কতিপয় নেতা যেসব বক্তব্য দিয়েছেন, এর জবাব দেওয়ার জন্য ছাত্রলীগ প্রস্তুত।’ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের কোটা-সংস্কার আন্দোলনের ওপর ভিত্তি করে দেওয়া এই বক্তব্যের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের নৈতিক অধিকার আদায়ের সংগ্রামের কোনো সামঞ্জস্য নেই।
ইতোমধ্যে হাইকোর্টের আপিল বিভাগের এ ব্যাপারে যে সন্তোষজনক রায় হয়েছে এবং তা প্রজ্ঞাপন আকারে প্রকাশও হয়েছে তাতে সকল শ্রেণির মানুষই স্বস্তি প্রকাশ করছে। এই রায়ে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের দাবি সম্পূর্ণরূপে পূরণ হয়েছে। এমনকি রায়ে সরকারের ওপর এই ক্ষমতাও দেওয়া হয়েছে- সরকার ইচ্ছে করলে কোটা কমানো-বাড়ানোর কাজটিও এখন করতে পারে। কারণ, আমাদের সংবিধান অনুযায়ীই এটা বলা যায়- কোটা রাখা বা না রাখা এবং রাখলে কতটুকু রাখা হবে এবং কোন কোন ক্ষেত্রে তা বজায় থাকবে, সেটা সরকারের একক সিদ্ধান্তের বিষয়। সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে এই কোটাপদ্ধতির যে আমূল পরিবর্তন দরকার ছিল, সেটা দলমত নির্বিশেষে প্রায় সকল মহলই একমত। সংগত কারণেই এই সমস্যাকে কেন তাহলে এতদিন ধরে জিইয়ে রাখা হয়েছিল সেটাই সকলের মনে প্রশ্ন?
এখন শেষ পর্যন্ত আদালতের রায়ে যে বিষয়টির নিষ্পত্তি সম্পন্ন হলো তা অনেক আগেই শান্তিপ্রিয় অবস্থার মধ্যে দিয়েই নিষ্পন্ন করা যেত- যদি সরকার ঠিক সময়ে যথাযথ আন্তরিক হতো। সীমাহীন জানমালের ক্ষতির মধ্যে দিয়ে এই কোটা-সংস্কার আন্দোলনের দাবিগুলো শেষ পর্যন্ত পূরণ হলো। অনেক রক্তস্নাত এই কোটার নব্যসংস্কারের এখন সুষ্ঠু ও কার্যকর ব্যবহার নিশ্চিত হোক- এটাই সকলে প্রত্যাশা করে।
আলী হাসান: সাংবাদিক, কলাম লেখক ও সংস্কৃতিকর্মী