‘যেটার সমাধান এক দিনে সম্ভব ছিল, সেটা সরকার অনেক সময় নিয়ে করল’
সরকারি চাকরিতে কোটা বিষয়ক যে সমস্যাটার সমাধান সুপ্রীম কোর্টের রায়ের মধ্য দিয়ে হয়েছে, তা এক দিনে সম্ভব ছিল বলে মন্তব্য করেছেন বিশিষ্ট অভিনেতা আবুল হায়াত। তিনি বলেন, সরকার অনেক সময় নিয়ে কাজটা করল।
সম্প্রতি গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে এসব মন্তব্য করেন আবুল হায়াত। পাশাপাশি এই প্রবীণ অভিনেতা বলেন, আন্দোলন ও সংঘর্ষ চলাকালীন একের পর এক শিক্ষার্থীদের মৃত্যুর খবর শুনে তিনি কান্না থামাতে পারছিলেন না।
আবুল হায়াতের ভাষায়, ‘আমি খুব মর্মাহত। গত বৃহস্পতিবার আমি অনেক কেঁদেছি। মৃত্যুর খবরে আমার কান্না থামাতে পারছিলাম না। বাচ্চাগুলোর একটার পর একটা মৃত্যুর খবর আসছিল। কিছুতেই কান্না আটকে রাখতে পারিনি।’
নিজের শারীরিক অবস্থা জানিয়ে অভিনেতা বলেন, ‘আমি অসুস্থ। বেশির ভাগ সময় বাসায় থাকি। কোথাও বের হই না। আমি তো ভাবতেই পারি না, ছোট ছোট বাচ্চার সঙ্গে এমনটা হতে পারে! আমাদের পুলিশ বাহিনী তাদের সামনে দাঁড়ানো কাউকে এভাবে মারবে, এটা কল্পনারও অতীত!’
আবুল হায়াত জানান, ‘আমাদের বিল্ডিংয়ের একটা ছেলে মারা গেছে, নাম ফারহান ফাইয়াজ। পুরো পরিস্থিতি নিয়ে আমার বলার কিছু নেই। সরকার অনেক দেরি করে ফেলেছে। যেটার সমাধান এক দিনে সম্ভব ছিল, সেটা তারা অনেক সময় নিয়ে করল। কষ্টটা এখানেই লাগে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সেই একই সমাধানে তো এলো সরকার। যেটা বলেছিল সম্ভব না, সেটাই তো তারা এক দিনের ব্যবধানে করল! সুতরাং এটা সেদিনই সম্ভব ছিল। প্রথম দিন না হলে দ্বিতীয় দিনে সম্ভব হতো। এ জন্যই বলি, সময়ের এক ফোঁড় অসময়ের দশ ফোঁড়।’
সবশেষে আবুল হায়াত বলেন, ‘আমি অনেক কষ্ট পেয়েছি। এতগুলো শিক্ষার্থীর এমন মৃত্যু কোনোভাবেই মেনে নিতে পারিনি।’
প্রসঙ্গত, গত রবিবার কোটা নিয়ে শুনানিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পক্ষে রায় দিয়েছেন সুপ্রীম কোর্ট। এখন থেকে সরকারি চাকরিতে মেধায় নিয়োগ হবে ৯৩ শতাংশ, মুক্তিযোদ্ধা ৫ শতাংশ, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ১ শতাংশ এবং প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের ১ শতাংশ।
সুপ্রীম কোর্টের রায়ের পর সেই মোতাবেক মঙ্গলবার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। বেড়েছে কারফিউ শিথিলের সময়। এদিন রাত থেকে সীমিত পরিসরে চালু হয়েছে ইন্টারনেট। আজ (বুধবার) থেকে শুরু হয়েছে সরকারি, আধা-সরকারি ও বেসরকারি অফিস।
(ঢাকাটাইমস/২৪জুলাই/এজে)