রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনায় প্রস্তুত ইউক্রেন

প্রকাশ | ২৪ জুলাই ২০২৪, ১৮:৫৪ | আপডেট: ২৪ জুলাই ২০২৪, ১৯:১১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকা টাইমস

ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রি কুলেবা বলেছেন, রাশিয়ার সঙ্গে দীর্ঘদিনের সংঘাতের অবসান ঘটাতে মস্কোর সঙ্গে শান্তি আলোচনায় বসতে প্রস্তুত কিয়েভ। ২০২২ সালে সংঘাত শুরু হওয়ার পর প্রথম চীন সফরে চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইকে এ কথা বলেন কুলেবা। 

বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং কুলেবার চীন সফরের আলোচ্যসূচির বিষয়ে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।  

মাও বলেন, ওয়াং ইয়ের সঙ্গে বৈঠকে কুলেবা স্পষ্ট করে দিয়েছেন, রাশিয়ার সঙ্গে সংলাপ এবং আলোচনায় বসতে প্রস্তুত এবং ইচ্ছুক ইউক্রেন। তবে আলোচনাগুলো অবশ্যই যুক্তিসঙ্গত, ন্যায়সঙ্গত এবং দীর্ঘস্থায়ী শান্তি অর্জনের লক্ষ্যে হওয়া উচিত বলেও আশাবাদী কুলেবা। 

মাও আরও জানান, বৈঠকে চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং সতর্ক করেছিলেন, চলমান সংঘাত দীর্ঘায়িত এবং ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। তাই চীন বিশ্বাস করে সমস্ত সংঘাতের সমাধান শেষ পর্যন্ত আলোচনার টেবিলে ফিরে আসতে হবে। 

ওয়াং আরও উল্লেখ করেছেন, ‘সম্প্রতি ইউক্রেন এবং রাশিয়া উভয়ই বিভিন্ন মাত্রায় আলোচনা করতে ইচ্ছুক তার সংকেত পাঠিয়েছে, যা ভালো কিছু ঘটার ইঙ্গিত দেয়।’ 

এই সপ্তাহের শুরুতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি বলেছিলেন, তিনি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সংঘাতের অবসান ঘটাতে চান এবং রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনার জন্য প্রস্তুত রয়েছেন। এরপরই চীন সফরে এসে একই ইঙ্গিত দিলেন কুলেবা। 

এর আগে গত মাসে সুইজারল্যান্ডে ইউক্রেন শান্তি সম্মেলনে জেলেনস্কি বলেন, রাশিয়া যদি ইউক্রেন থেকে তার সকল সেনা প্রত্যাহার করে, আগামীকালই তিনি শান্তি আলোচনায় বসতে প্রস্তুত।

অন্যদিকে একই সময়ে মস্কোতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ এবং অন্য সিনিয়র রুশ কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছিলেন, যেকোনো শান্তি আলোচনা শুরু হওয়ার আগে ইউক্রেনকে অবশ্যই রুশ অধিকৃত নতুন অঞ্চলগুলো থেকে সেনা সরিয়ে নিতে হবে।

রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমাদের পক্ষ যুদ্ধবিরতির আদেশ দেবে এবং আলোচনা শুরু করবে, ঠিক যে মুহূর্তে কিয়েভ ঘোষণা করবে- তারা অঞ্চলগুলো থেকে সৈন্য প্রত্যাহার শুরু করবে এবং আনুষ্ঠানিকভাবে আমাদের জানাবে যে তারা আর ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার পরিকল্পনা করছে না।’

উল্লেখ্য, ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে গণভোটের মাধ্যমে ইউক্রেনের চারটি অঞ্চল- দোনেৎস্ক, লুহানস্ক, খেরসন ও জাপোরিঝিয়াকে আনুষ্ঠানিকভাবে রুশ ফেডারেশনের অন্তর্ভুক্তির ঘোষণা দেন পুতিন। তবে প্রতিটি অঞ্চলেই এখনো দুপক্ষের মধ্যে লড়াই অব্যাহত রয়েছে।

সূত্র: আরটি

(ঢাকাটাইমস/২৪জুলাই/এমআর)