শিক্ষকদের গায়ে হাত দিয়ে সরকার করুণ পরিণতির দিকেই যাচ্ছে: এবি পার্টি

শিক্ষকদের গায়ে হাত দিয়ে সরকার নিজেকে করুণ পরিণতির দিকেই এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) নেতারা। পার্টির আহ্বায়ক এএফএম সোলায়মান চৌধুরী ও ভারপ্রাপ্ত সদস্যসচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বৃহস্পতিবার যৌথ বিবৃতিতে এ মন্তব্য করেন। তারা বলেন, প্রতিদিন ব্লক রেইড দিয়ে বাড়ি বাড়ি তল্লাশি চালিয়ে ছাত্রছাত্রীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।
বিবৃতিতে এবি পার্টি নেতারা বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বৃহস্পতিবার সারাদেশে ‘রিমেম্বারিং আওয়ার হিরোজ’ নামে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেয়। কিন্তু ঢাকাসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় বা শহরে ছাত্ররা যখনই তাদের কর্মসূচি শুরু করে তখনই পুলিশ ছাত্রছাত্রী নির্বিশেষে হামলা চালায়, এমনকি ছাত্রছাত্রীদের বাঁচাতে শিক্ষক শিক্ষিকারা এগিয়ে এলে তাদের সঙ্গেও পুলিশ অসৌজন্যমূলক আচরণ করতে থাকে। এই ধরনের ন্যক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে এবি পার্টি।’
নেতারা বলেন, ছাত্র আন্দোলনকে নৃশংসভাবে দমনের কারণে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, সুধী সমাজ, শিল্পী সাহিত্যিকসহ সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ এই আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে বিক্ষোভ করে। বাংলাদেশের স্বনামধন্য অনেক বিজ্ঞজন ডিবি অফিস ঘেরাওয়ের মতো কর্মসূচি পালন করেন। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় এতো হত্যা করেও স্বৈরাচারের রক্তের নেশা কাটেনি। হত্যার প্রতিবাদ করতে যারাই এগিয়ে আসছে তাদেরকেই নানাভাবে হয়রানি, হুমকি-ধামকি এমনকি শিক্ষকদের গায়ে পর্যন্ত হাত তোলার দুঃসাহস দেখাচ্ছে এই পুলিশ নামক দলীয় গুন্ডা বাহিনী। তারা বলেন, ‘শিক্ষকদের গায়ে হাত দিয়ে সরকার নিজেকে করুণ পরিণতির দিকেই এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। প্রতিদিন ব্লক রেইড দিয়ে বাড়ি বাড়ি তল্লাশি চালিয়ে ছাত্রছাত্রীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।’
সরকারকে উদ্দেশ করে এবি পার্টি নেতারা বলেন, ‘গণহত্যার মতো অপরাধ বিরোধী রাজনৈতিক নেতাকর্মী কিংবা সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের গ্রেপ্তার করে ঢাকতে পারবেন না। অবিলম্বে একটি নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের নিকট পদত্যাগ করুন। নতুন সরকার হত্যাকাণ্ডের সঠিক তদন্ত করে অপরাধীদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেবে। দেশের মানুষ একটি অবৈধ দখলদার সরকারকে আর এক মুহূর্তও ক্ষমতায় দেখতে চায় না।
(ঢাকাটাইমস/০১আগস্ট/জেবি/কেএম)

মন্তব্য করুন