গাঁজা বিক্রির টাকা ভাগাভাগি নিয়েই খুন হয় যশোরে হাবিবুর

প্রকাশ | ০১ আগস্ট ২০২৪, ২২:৩৫

​​​​​​​যশোর প্রতিনিধি, ঢাকা টাইমস

যশোরের অভয়নগরে গাঁজা বিক্রির টাকা ভাগাভাগি নিয়েই খুন করা হয় হাবিবুর রহমানকে। এরপর তার পেট কেটে লাশ ভৈরব নদীতে ভাসিয়ে দেয়া হয়। আর হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয় হাবিবুর রহমানের বন্ধু ইয়াছিনসহ ৮জন। যাদের মধ্যে চারজনকে আটক করেছে ডিবি পুলিশ। পলাতক ইয়াছিনসহ অন্যদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে যশোরের অভয়নগর থানায় এক ব্রিফিংয়ে তথ্য জানিয়েছে ডিবি পুলিশ।

আটককৃতরা হলো-তালতলা মধ্যমপুর গ্রামের নূর ইসলামের ছেলে মেহেদী হাসান (২২), বিভাগদী গ্রামের মোশারেফ শেখের ছেলে হুমায়ুন শেখ (২১), মৃত আজাহার শেখের ছেলে ফয়সাল শেখ (২১) খন্দকার আনিছুর রহমানের ছেলে খন্দকার আল আমিন (৩০)

ডিবি পুলিশের এসআই মফিজুল ইসলাম আটককৃতদের বরাত দিয়ে জানান, অভয়নগর উপজেলার তালতলা মধ্যমপুর গ্রামের রেজাউল ইসলামের ছেলে হাবিবুর রহমান ২৮ জুলাই বিকালে তার বন্ধু ইয়াছিনের সঙ্গে বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর তিনি আর বাড়ি ফেরেননি। পরের দিন হাবিবুর রহমানের স্ত্রী ইয়াছিনকে সাথে নিয়ে থানায় জিডি করেন। এর পর ৩০ জুলাই দুপুরে বিভাগদী এলাকায় ভৈরব নদী থেকে তার লাশ উদ্ধার করে নৌ পুলিশ। ঘটনায় নিহতের পিতা রেজাউল ইসলাম বাদী হয়ে অভয়নগর থানায় অজ্ঞাত আসামিদের নামে হত্যা মামলা করেন। এরপর ডিবি পুলিশের একটি টিম  তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় অপরাধীদের শনাক্ত করে চারজনকে আটক করে।

তিনি আরও জানান, হাবিবুর রহমান গাঁজা বিক্রি করতো। বন্ধু ইয়াছিন তার সহযোগী ছিল। মাদক বিক্রির টাকা ভাগবাটোয়ারাকে কেন্দ্র করে ইয়াছিন তার আট মাদকসেবী বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে হাবিবুরকে হত্যার পরিকল্পনা করে। এরপর তাকে বাড়ি থেকে ডেকে বিভাগদী বালুর মাঠে নিয়ে ধারালো চাকু দিয়ে গলায় আঘাত করে হত্যা করে। পরে বস্তা সংগ্রহ করে বালু ভরে নিহতের হাত পায়ে বস্তা বেঁধে পেটের ভুঁড়ি বের করে পানিতে ডুবিয়ে দেয়।

ঘটনার মূল হোতা ইয়াছিনসহ অন্য আসামিদের আটকে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি।

ঢাকাটাইমস/০১আগস্ট/পিএস