সদরঘাটে যাত্রীবাহী লঞ্চের কেবিনে মিলল প্রেমিক যুগলের মরদেহ
প্রকাশ | ০২ আগস্ট ২০২৪, ২০:৫৫
চাঁদপুর থেকে ছেড়ে যাওয়া এমভি ময়ূর-৭ লঞ্চের একটি কেবিন থেকে আনেয়ার হোসেন (২৫) ও রোজিনা আক্তার (২০) নামে এক প্রেমিক যুগলের মরদেহ উদ্ধার করেছে নৌ পুলিশ।
শুক্রবার সকালে ওই লঞ্চটি সদরঘাটে ভিড়ার পর খবর পেয়ে নৌ থানা পুলিশ মরদেহ দুটি উদ্ধার করে।
নৌ পুলিশ সদরঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল কালাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিহত আনোয়ার হোসেন চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার পাইকপাড়া ইউনিয়নের ভোটাল গ্রামের হাফেজ মোহাম্মদের ছেলে। রোজিনা আক্তারের বাড়ি মাদারীপুর জেলায়।
এমভি ময়ূর-৭ লঞ্চের সুপারভাইজর আবু সাইদ জানান, লঞ্চটি সকালে সদরঘাটে ভিড়ার পর ৩১১ নম্বর কেবিন খুলে যাত্রী বের হয়নি। আধাঘণ্টা সময় নিয়ে দরজায় আওয়াজ দেওয়া হয়। কিন্তু কোনো সাড়া শব্দ পাওয়া যায়নি। এরপর নৌ পুলিশকে খবর দিলে তারা এসে লাশ দুটি উদ্ধার করে।
তিনি আরও জানান, আনোয়ার এক নারীকে স্ত্রী পরিচয় দিয়ে লঞ্চের ৩১১ নম্বর কেবিন ভাড়া নিয়েছিলেন।
লঞ্চের চাঁদপুর ঘাটের মালিক প্রতিনিধি আজগর আলী সরকার জানান, সকালেই ঘটনাটি আমাকে স্টাফরা জানিয়েছে। আমি তাদেরকে পুলিশের সহযোগিতা নেওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছি।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দিনগত রাত সাড়ে ১২টায় চাঁদপুর লঞ্চ ঘাট থেকে এমভি ময়ূর-৭ লঞ্চটি সদর ঘাটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। এর পূর্বে আনোয়ার হোসেন তার প্রেমিকা রোজিনা আক্তারকে সঙ্গে নিয়ে লঞ্চে উঠে এবং লঞ্চের ৩১১ নম্বর কেবিন ভাড়া নেয়। পথিমধ্যে প্রেমিক আনোয়ার হোসেন তার প্রেমিকা রোজিনা আক্তারকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর নিজে কেবিনের ফ্যানের সাথে রশি লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। এর পূর্বে আনোয়ার হোসেন চিরকুট লিখে যায়। সেখানে লেখা ছিল ‘তার প্রেমিকাকে পরিবারের পক্ষ থেকে মেনে না নেয়ায় সে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে। এ মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়।’
নৌ পুলিশ সদরঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল কালাম বলেন, লঞ্চ থেকে মরদেহ উদ্ধারের পর ময়না তদন্তের জন্য দুটি মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে। সন্ধ্যায় তাদের পরিবারের লোকজন থানায় এসেছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।
ঢাকাটাইমস/০২আগস্ট/পিএস