মামলায় তথ্য লুকানোর চেষ্টা: জাতীয় দৈনিকগুলোর প্রধান সংবাদ

প্রকাশ | ০৩ আগস্ট ২০২৪, ০৮:২৮ | আপডেট: ০৩ আগস্ট ২০২৪, ১৪:০০

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস

দেশে চলমান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩৪তম দিন আজ শনিবার। গত ১ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এ আন্দোলন শুরু করে। বর্তমান পরিস্থিতিতে শনিবারের জাতীয় দৈনিকগুলোর প্রধান সংবাদে প্রাধান্য পেয়েছে আন্দোলনের পরিস্থিতি, দেশের অর্থনীতির নাজুক অবস্থাসহ চলমান ঘটনাবলী।

কালবেলার প্রধান শিরোনাম তথ্য লুকানোর চেষ্টা মামলায়। প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনে সহিংসতা ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে যারা নিহত হয়েছেন, তাদের একজন দৈনিক ঢাকা টাইমসের সাংবাদিক হাসান মেহেদী। তার শরীরে গুলির চিহ্ন রয়েছে। স্বজন এবং প্রত্যক্ষদর্শী সহকর্মীরা বলছেন, ১৮ জুলাই যাত্রাবাড়ী এলাকায় সংঘর্ষ চলাকালে মেহেদী ওই এলাকায় পেশাগত দায়িত্ব পালন করছিলেন। তিনি নিজের মোবাইল ফোনে পুলিশের এপিসি থেকে গুলি ছোড়ার ছবি নিচ্ছিলেন। তখন পুলিশের গুলিতে তিনি মারা যান। অথচ ওই ঘটনায় যাত্রাবাড়ী থানায় দায়ের মামলায় বলা হয়েছে, ‘কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীদের আড়ালে থাকা সন্ত্রাসীদের গুলিতে সাংবাদিক মেহেদী নিহত হন। কারা গুলি করেছে, সেটি তদন্তের মাধ্যমে বেরিয়ে আসবে।’

গত ২৭ জুলাই যাত্রাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. হোসেন জায়েদ বাদী হয়ে মামলাটি করেন। এতে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করা হয়। এজাহারে মেহেদীসহ ওইদিন ওই এলাকায় দুজনকে পিটিয়ে ও পাঁচজনকে গুলি করে হত্যার কথা বলা হয়েছে।

সংবাদের প্রথম পাতার শিরোনাম আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা স্বেচ্ছায় দেইনি, মুক্তির পর যৌথ বিবৃতি ৬ সমন্বয়কের। এতে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছয় সমন্বয়ক ডিবি হেফাজতে ভিডিও বার্তায় আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা ‘স্বেচ্ছায় দেননি’ বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন। গতকাল এক যৌথ বিবৃতিতে ছয় সমন্বয়ক এ কথা বলেছেন।

বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সংগঠনটির সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম, সারজিস আলম, হাসনাত আবদুল্লাহ, আসিফ মাহমুদ, আবু বাকের মজুমদার ও নুসরাত তাবাসসুম গণমাধ্যমে এই বিবৃতি পাঠান। পরে তাদের কয়েকজনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা আজকের বিবৃতি তাদের বলে সংবাদকে নিশ্চিত করেছেন।

সময়ের আলোর প্রধান শিরোনাম ঝুঁকিতে অর্থনীতি। প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, অর্থনৈতিক সংকট আরও গভীর হচ্ছে দেশে। অর্থনীতির একটি সূচকও এখন ভালো অবস্থানে নেই। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দ্রুত কমছে। সরকারের হাতে ব্যয় করার মতো রিজার্ভ আছে ১৫ বিলিয়ন ডলার, যা দিয়ে মাত্র তিন মাসের রফতানি ব্যয় মেটানো যাবে। বিগত কয়েক মাস ধরেই রেমিট্যান্স তুলনামূলক কম আসছিল দেশে, ছাত্র আন্দোলন পরবর্তী অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে রেমিট্যান্স আরও কমে গেছে। গত

প্রায় দুই বছরের অধিক সময় ধরে ডলারের বাজারের টালমাটাল অবস্থা এখন আবার নতুন করে বেসামাল হয়ে উঠেছে। রফতানি আয়ও কমছে ধারাবাহিকভাবে। আর উচ্চ মূল্যস্ফীতির কষাঘাত চলছে দীর্ঘদিন ধরে। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, বর্তমানে এই পাঁচটি দিক নিয়েই বড় ঝুঁকি তৈরি হয়েছে দেশের অর্থনীতিতে।

এ ছাড়া ১০০ বিলিয়ন ডলারের যে বিদেশি ঋণ রয়েছে তার সুদসহ পরিশোধ করা, দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ কমে যাওয়া, কর্মসংস্থান সৃষ্টি না হওয়া ও শিল্পে গ্যাস-বিদ্যুতের সংকটও এখন অর্থনীতির জন্য বড় সমস্যা। এই অবস্থার মধ্যে ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশে যে সংকট রয়েছে তা যদি আরও দীর্ঘায়িত হয় তা হলে দেশের অর্থনীতি একেবারে কোমায় চলে যাবে বলে মত অর্থনীতিবিদদের। 

কালেরকণ্ঠের প্রথম পাতার শিরোনাম সহনশীল থেকে শান্তি প্রতিষ্ঠা চায় সরকার। কোটাবিরোধী আন্দোলনের শুরুতে সরকারের একাধিক কৌশলগত ভুল হয়ে গেছে। এ কারণে তারা দেশে-বিদেশে প্রতিকূল পরিস্থিতিতে পড়েছে। এমন অবস্থায় এখন তাড়াহুড়া করে কোনো সিদ্ধান্ত না দিয়ে ভেবেচিন্তে পা ফেলতে চাইছে সরকার ও আওয়ামী লীগ। তারা কোনো উসকানিতে পা না দিয়ে সর্বোচ্চ সহনশীলতা দেখিয়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে চায়। ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের একাধিক নেতা কালের কণ্ঠকে এমনটা জানিয়েছেন।  

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্যাহ কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমরা চাচ্ছি দেশে একটি শান্তিপূর্ণ পরিবেশ আসুক। দেশের অনেক ক্ষতি হচ্ছে। আমদানি-রপ্তানি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও চাচ্ছেন যা-ই হয়েছে—এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হোক। কিছু উসকানিদাতার জন্য অনেকে বিভ্রান্ত হচ্ছে।

বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে যুগান্তরের প্রথম পাতার সংবাদ প্রাণঘাতী অস্ত্রের ব্যবহার মানবাধিকার লঙ্ঘন। এতে বলা হয়েছে, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ঢাকাসহ সারা দেশে সহিংস ঘটনায় বহু হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় দুই শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন। যাদের অধিকাংশই গুলিবিদ্ধ। এছাড়া অনেকেই গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন। রাজপথে বিক্ষোভ ছাড়াও কেউ কেউ নিজের বাসায় বা ছাদে গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন।

অভিযোগ উঠেছে, নিয়ম না থাকলেও বিক্ষোভ দমনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ‘প্রাণঘাতী অস্ত্র’ ব্যবহার করায় এমন প্রাণহানি ঘটেছে। বিষয়টি নিয়ে দেশে ও আন্তর্জাতিক মহলে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। সাধারণ নাগরিকদের আন্দোলন দমনে এমন প্রাণঘাতী অস্ত্রের ব্যবহার সংবিধান এবং মানবাধিকারের স্পষ্ট লঙ্ঘন বলে মনে করছেন আইনজ্ঞসহ সংশ্লিষ্টরা। তবে জীবন ও সম্পদ রক্ষায় বাধ্য হয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গুলি করেছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ একাধিক মন্ত্রী-এমপি।

বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রথম পাতার সংবাদ গণভবনে জরুরি বৈঠক, ছাত্রদের সঙ্গে সমন্বয়ের দায়িত্বে তিন নেতা।  প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, কোটা সংস্কার আন্দোলনসহ চলমান পরিস্থিতিতে গণভবনে দলের সিনিয়র নেতাদের নিয়ে জরুরি বৈঠক করলেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। চলমান আন্দোলনে সাধারণ ছাত্রদের প্রতি যত্নবান ও সহনশীল থাকার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। একই সঙ্গে কোটা আন্দোলনের সমন্বয়কদের সঙ্গে মতবিনিময় ও সমন্বয় করার জন্য আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে তিন সদস্যের টিম গঠন করে দেওয়া হয়েছে।

দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা হলেন- আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ ও কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম। তারা আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪-দলীয় জোটের সিনিয়র নেতাদের নিয়ে একটি টিম গঠন করে ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের সঙ্গে আলাপ করবেন। গতকাল   রাতে অনির্ধারিত এই জরুরি বৈঠকে দলীয় সভানেত্রী এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

আমাদের সময়ের প্রথম পাতার শিরোনাম সংকট উত্তরণে সংলাপ চান বিশিষ্টজনেরা। প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, কোটা সংস্কার আন্দোলনে এ পর্যন্ত সরকারি হিসাবে দেড় শতাধিক প্রাণহানি ঘটেছে। অন্যদিকে ২৬৬ জন নিহতের দাবি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের। কোটা সংস্কারের দাবি নিয়ে মাঠে নামলেও এখন প্রাণহানির বিচার ও পুলিশি নির্যাতন বন্ধের দাবি জানাচ্ছেন আন্দোলনকারীরা। একই সঙ্গে দেশের বিভিন্ন থানায় গ্রেপ্তার হওয়া শিক্ষার্থীদের মুক্তি দিতে সরকারকে আলটিমেটাম দিয়েছেন। অন্যদিকে শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠন মাঠে নেমেছে। সরকারের পদত্যাগ দাবি করছে তারা।

এই পরিস্থিতিতে বিশিষ্টজনরা বলেছেন, সংকট উত্তরণে একমাত্র পথ আলাপ-আলোচনা বা সংলাপ। এটা এখন রাজনৈতিক সংকট। রাজনৈতিক সংকট রাজনৈতিকভাবেই সমাধান করতে হবে। ওপর থেকে কোনো কিছু চাপিয়ে দিলে সেটার ফল ভালো হবে না বলেও মন্তব্য করেন তারা।

যায়যায়দিনের প্রধান শিরোনাম ছাত্র-জনতার বিক্ষোভে উত্তাল দেশ। প্রতিবেদনটিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা দেশব্যাপী ছাত্র-জনতার গণমিছিল কর্মসূচি ঘিরে শুক্রবার রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সংঘর্ষ-ভাঙচুর, গুলি, টিয়ার শেল-সাউন্ড গ্রেনেড- ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে হবিগঞ্জে পুলিশ-বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে একজন শ্রমিক নিহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া সংঘর্ষে বিভিন্ন স্থানে তিন শতাধিক আহত এবং অন্তত ৫০ জনকে আটক করেছে পুলিশ।

ইনকিলাবের প্রধান শিরোনাম দ্রোহের আগুনে পুড়ছে দেশ প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, দ্রোহের আগুনে পুড়ছে জাতি। সরকারি ছুটির দিন গতকাল শুক্রবার রাজপথে রক্ত ঝড়েছে। গতকাল হবিগঞ্জে পুলিশের গুলিতে একজন শহীদ হন। সংঘর্ষে খুলনায় একজন পুলিশ সদস্য নিহত হন। আন্দোলন ঠেকাতে ফের ছাত্রলীগের হেমলেট বাহিনী ও যুবলীগের কর্মীদের অস্ত্র হাতে মহড়া দিতে দেখা গেছে।

পুলিশের গুলি, টিয়ার সেল, সাউন্ড গ্রেনেড ও রাবার বুলেটে প্রকম্পিত হয়ে উঠেছিল ঢাকার রাজপথ। একই ঘটনা ঘটেছে সিলেট, খুলনা, হবিগঞ্জ, সিলেট লক্ষিèপুরসহ কয়েকটি জেলায়। আইন শৃংখলা বাহিনীর মারমুখি অবস্থান ও ছাত্রলীগ-যুবলীগের অস্ত্রের মোহড়ার মধ্যেই মিছিলে স্লোগানে স্লোগানে কেঁপে উঠেছিল রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভাগীয ও জেলাশহরগুলো। রাজধানী ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার জনসমুদ্রে পরিণত হয়ে উঠেছিল।

ইত্তেফাকের প্রধান শিরোনাম গণমিছিলে হামলা সংঘর্ষ গুলি, পুলিশসহ দুই জন নিহত। প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, গতকাল শুক্রবার বিভিন্ন স্থানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গণমিছিল কর্মসূচিতে বাধা দিয়েছে পুলিশ। এসময় সংঘর্ষে খুলনা ও হবিগঞ্জে ২ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া সিলেট ও লক্ষীপুরে সংঘর্ষ হয়েছে। অনেক জায়গায় ছাত্রলীগ-যুবলীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হয়েছে। এসব ঘটনায় এক শিশু ও সাংবাদিকসহ অনেকেই গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। কমপক্ষে দুই শতাধিক আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। হবিগঞ্জে এক এমপির বাড়িতে ভাঙচুর ও আওয়ামী লীগ অফিসে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে  বিক্ষোভকারীরা।

নয়াদিগন্তের প্রধান শিরোনাম আবারও রাজপথে ছাত্র-জনতা প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, শিক্ষার্থী হত্যার বিচার এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের দাবিতে গতকাল আবারো উত্তাল হয়ে ওঠে রাজপথ। এদিন বৃষ্টিতে ভিজে সারা দেশে স্বতঃস্ফূর্তভাবে সর্বস্তরের ছাত্র-জনতা রাস্তায় নেমে আসে। পরিবারের সব সদস্যকে নিয়েও অনেককে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা গণমিছিলে উপস্থিত হতে দেখা যায়। তবে বেশ কিছু স্থানে সহিংসতার ঘটনাও ঘটেছে।  

বনিকবার্তায় প্রথম পাতার সংবাদ বাংলাদেশে সংঘাতে অন্তত ৩২ শিশু নিহত হয়েছে: ইউনিসেফ। এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে জুলাইয়ের সহিংসতায় অন্তত ৩২ শিশু নিহত এবং আরো অনেকে আহত ও আটক হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের শিশু ও সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ। গতকাল সংস্থাটির দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক প্রধান সঞ্জয় উইজেসেকেরা এক বিবৃতিতে এ তথ্য উল্লেখ করেছেন।

সম্প্রতি বাংলাদেশে এক সপ্তাহ অবস্থানের কথা উল্লেখ করে তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন শিশুদের ওপর বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সহিংসতা ও চলমান অস্থিরতার প্রভাব নিয়ে। বিবৃতিতে সহিংসতার প্রতি নিন্দা এবং নিহত শিশুদের পরিবারের সদস্যদের প্রতি শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন ইউনিসেফের এ কর্মকর্তা। তিনি বলেন, শিশুদের সর্বদা রক্ষা করতে হবে এবং এটা সবার দায়িত্ব।

সমকালের প্রধান শিরোনাম গণমিছিলে হামলা-সংঘর্ষ, পুলিশসহ নিহত ২। এতে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা ‘প্রার্থনা ও ছাত্র-জনতার গণমিছিল’ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে গতকাল শুক্রবার রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। হবিগঞ্জে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীর সঙ্গে সংঘর্ষের এক পর্যায়ে স্থানীয় এমপির বাড়িতে হামলা ও জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ করা হয়। এ সময় সংঘর্ষের মধ্য পড়ে গুলিতে মোস্তাক আহমেদ নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। এদিকে খুলনায় দফায় দফায় সংঘর্ষের একপর্যায়ে সন্ধ্যার দিকে শিববাড়ী মোড়ে আন্দোলনকারীরা কনস্টেবল মো. সুমন ঘরামিকে বেধড়ক মারধর করেন। পরে তাঁকে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।

প্রথম আলোর প্রধান শিরোনাম দেশের বিভিন্ন স্থানে গণমিছিল, সংঘর্ষ, নিহত ২ এতে বলা হয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা ছাত্র-জনতার গণমিছিলকে কেন্দ্র করে গতকাল শুক্রবার রাজধানীর উত্তরার পাশাপাশি ঢাকার বাইরে অন্তত পাঁচ জেলায় সংঘর্ষ, ভাঙচুর, সংঘাত ও অগ্নিসংযোগের খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে হবিগঞ্জে সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে নিহত হয়েছেন একজন শ্রমিক। খুলনায় পিটুনিতে পুলিশের একজন সদস্য নিহত হয়েছেন।

দৈনিক ঢাকা টাইমসের প্রধান শিরোনাম ‘হবিগঞ্জে গুলিতে শ্রমিক, খুলনায় পুলিশ নিহত’। সংবাদে বলা হয়, খুলনায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষে পুলিশের এক সদস্য নিহত হয়েছেন। শুক্রবার বিকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত শহরের জিরো পয়েন্ট, গল্লামারী মোড়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। এতে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। দুপুরে নগরীর নিউ মার্কেট এলাকা থেকে শিক্ষার্থীরা বৃষ্টি ও পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে পূর্বঘোষিত মিছিল বের করে। বিপরীতে জিরো পয়েন্ট এলাকা থেকে পুলিশ শিক্ষার্থীদের মিছিল লক্ষ করে টিয়ারশেল নিক্ষেপ শুরু করে। এ সময় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এক পর্যায়ে স্থানীয় সাধারণ লোকজন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মিছিলে যোগ দিলে পুলিশ পিছু হটে। সন্ধ্যায় সেখানে আরেক দফায় সংঘর্ষ হয়।  অন্যদিকে হবিগঞ্জে সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে এক শ্রমিক নিহত হয়েছেন।

(ঢাকাটাইমস/০৩আগস্ট/কেএম)