জনসাধারণকে ছাত্রদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান বি. চৌধুরীর
প্রকাশ | ০৩ আগস্ট ২০২৪, ১৫:১৮ | আপডেট: ০৩ আগস্ট ২০২৪, ১৫:২৩
চলমান আন্দোলনে ছাত্রদের পাশে দাঁড়াতে জনসাধারণকে আহ্বান জানিয়েছেন বিকল্পধারা বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক ডা. এ. কিউ. এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী। তিনি বলেন, “আমি দ্ব্যার্থহীন কণ্ঠে বলতে চাই, আমাদের সন্তানদের গুলি করে হত্যা করা একটি ক্ষমাহীন অপরাধ এবং কোনো রাজনৈতিক দোহাই দিয়ে এটাকে গ্রহণযোগ্য করার কোনো সুযোগ নেই।”
রাজধানীর উত্তরা মহিলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিবিড় পর্যবেক্ষণে থাকা অবস্থায় শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
বি চৌধুরী বলেন, “আমি দেশের সুশীল সমাজ, সব পেশাজীবী এবং সর্বস্তরের জনসাধারণকে ছাত্রদের পাশে এসে দাঁড়ানোর জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, “বাংলাদেশের ছাত্র সমাজ তাদের ন্যায্য দাবি আদায়ের লক্ষ্যে বৈষম্যবিরোধী যে আন্দোলনের সূচনা করেছে তা গত ১৬ জুলাই থেকে একটি দুঃখজনক রক্তক্ষয়ী ঘটনা প্রবাহের জন্ম দিয়েছে, যা এখনো বিরাজমান। গোটা জাতি আজ রক্তাক্ত এবং শোকে মুহ্যমান।”
বিবৃতিতে সাবেক রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, “এ কথা বিশ্বাস করতে কষ্ট হয় যে আমাদের নিজেদের দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী আমাদেরই সন্তানদের বুক লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ছে শত শত ছাত্র-ছাত্রী এবং সাধারণ জনগণকে হত্যা করেছে।”
”এমনকি ছোট শিশুরাও এই নৃশংস হত্যাযজ্ঞ থেকে রেহাই পায়নি। হাজার হাজার ছাত্র-জনতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং এই নির্যাতন এখনো চলমান।” বলেন তিনি।
বিকল্পধারা বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, “আমি দ্ব্যার্থহীন কণ্ঠে বলতে চাই, আমাদের সন্তানদের গুলি করে হত্যা করা একটি ক্ষমাহীন অপরাধ এবং কোনো রাজনৈতিক দোহাই দিয়ে এটাকে গ্রহণযোগ্য করার কোনো সুযোগ নেই।”
তিনি বলেন, “জাতিকে রক্ষা করা সব নাগরিকের দায়িত্ব। আমাদের মনে রাখতে হবে রাজনীতি, দল, সরকার অথবা ক্ষমতা কোনো কিছুই আমাদের সন্তানদের জীবনের থেকে অধিক মূল্যবান নয়।”
বি. চৌধুরী দেশের সুশীল সমাজ, সব পেশাজীবী এবং সর্বস্তরের জনসাধারণকে ছাত্রদের পাশে এসে দাড়ানোর জন্য আহ্বানও জানান।
তিনি বলেন, “একজন চিকিৎসক হিসেবে দেশের সব চিকিৎসকদের সর্বপ্রকার চিকিৎসা সেবা নিয়ে এগিয়ে আসার জন্য অনুরোধ করছি। যেকোনো মূল্যে এবং যেকোনো ত্যাগের বিনিময়ে আমাদের সন্তানদের বাঁচাতে হবে।”
বি. চৌধুরী বলেন, “আমি আবারও সরকারকে মনে করিয়ে দিতে চাই, রাজনীতি, দল, সরকার বা ক্ষমতা কোনো কিছুই আমাদের সন্তানদের জীবনের থেকে অধিক মূল্যবান নয়। ক্ষমতা প্রদর্শন নয় বরং দায়িত্ববোধের পরিচয় দিয়ে ছাত্রদের সব দাবি নিঃশর্তভাবে মেনে নিয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠা করুন এবং সকল হত্যাকাণ্ডের বিশ্বাসযোগ্য তদন্তের মাধ্যমে বিচার সুনিশ্চিত করুন।”
উল্লেখ্য, সাবেক এই রাষ্ট্রপতি গত ১৩ জুলাই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে উত্তরা মহিলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
(ঢাকাটাইমস/০৩আগস্ট/এএইচ/এফএ)