ইরানের আক্রমণ ঠেকাতে যে প্রস্তুত নিলো ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্র
প্রকাশ | ০৩ আগস্ট ২০২৪, ১৫:১৭ | আপডেট: ০৩ আগস্ট ২০২৪, ১৫:২৫
ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাসের শীর্ষ নেতা ইসমাইল হানিয়ার হত্যাকাণ্ডের জেরে ইসরায়েলে সরাসরি হামলার ঘোষণা দিয়েছে ইরান। অপরদিকে শীর্ষ কমান্ডার ফুয়াদ শুকরকে হত্যার প্রতিশোধ নিতে মরিয়া লেবাননে সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। এমন পরিস্থিতিতে ইসরায়েলকে রক্ষায় সামরিক সহযোগিতার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
প্রভাবশালী মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানিয়েছে, ইসরায়েলের ওপর যেকোনো প্রতিশোধমূলক হামলার ঠেকাতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরায়েল এবং যুক্তরাষ্ট্র।
মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তার পেন্টাগনের বরাতে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল বলছে, মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা বাড়ার প্রেক্ষিতে মার্কিন সৈন্যদের রক্ষা, ইসরায়েলের সমর্থনে অতিরিক্ত যুদ্ধজাহাজ ও যুদ্ধবিমান মোতায়েন করছে যুক্তরাষ্ট্র। এছাড়া ইসরায়েলকে রক্ষায় ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা বাহিনীও মোতায়েন করা হয়েছে।
পেন্টাগনের মুখপাত্র সাবরিনা সিং এক বিবৃতে বলেছেন, প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন এ অঞ্চলে মার্কিন বাহিনীর সুরক্ষা উন্নত করা, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষাসহ যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতিতে সাড়া দেওয়ার জন্য প্রস্তুত এবং সামরিক সমন্বয় করার নির্দেশ দিয়েছেন।
এরআগে বৃহস্পতিবার ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে ফোনকলে ইরান, হামাস ও লেবাননে হিজবুলাহর সমস্ত হুমকির বিরুদ্ধে ইসরায়েলকে রক্ষায় যুক্তরাষ্ট্র প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
হোয়াইট হাউস এক বিবৃতিতে বলেছে, নেতানিয়াহুর সঙ্গে ফোনকলে ‘ইরানের প্রক্সি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হামাস, হিজবুল্লাহ এবং হুতিসহ সমস্ত হুমকির বিরুদ্ধে ইসরায়েলের সুরক্ষার প্রতি নিজের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন।
এতে আরও বলা হয়েছে, ‘ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোনসহ সকল ধরনের হুমকির বিরুদ্ধে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষাকে সহায়তা করার প্রচেষ্টায় প্রেসিডেন্ট বাইডেন নতুন প্রতিরক্ষামূলক মার্কিন সামরিক স্থাপনার মোতায়েন করার নিয়েও আলোচনা করেছেন।’
প্রসঙ্গত, গত বুধবার ইরানের রাজধানী তেহরানে গুপ্ত হামলায় নিহত হন হামাসের রাজনৈতিক প্রধান ইসমাইল হানিয়াহ। একই দিনে লেবাননে হামলা চালিয়ে দেশটির সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর শীর্ষ কমান্ডার ফুয়াদ শুকুরকে হত্যা করে ইসরায়েল।
যদিও বৈরুতে হিজবুল্লাহ কমান্ডার ফুয়াদ শুকুরকে হত্যার ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েল। তবে তেহরানে ইসমাইল হানিয়াকে হত্যার বিষয়ে নেতানিয়াহুর সরকার কোনো মন্তব্য করেনি। তবে হামাস ও ইরান এই হত্যাকাণ্ডের জন্য ইসরাইলকে দায়ী করেছে।
এরপর থেকেই হানিয়াহকে হত্যার জন্য ইসরায়েলকে কঠোর জবাব দেওয়া হবে বলে মন্তব্য করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনী। এমনকি ইসরায়েলে সরাসরি হামলা চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
অন্যদিকে কমান্ডার ফুয়াদ শুকরকে হত্যার প্রতিশোধের ঘোষণা দিয়েছে হিজবুল্লাহ। ফলে যেকোনো সময় ইসরায়েলে ওপর ব্যাপক আকারে হামলা শুরু হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
(ঢাকাটাইমস/০৩আগস্ট/এমআর)