২৪ ঘণ্টার মধ্যে হল খোলার দাবি কুবির সাধারণ শিক্ষার্থীদের
প্রকাশ | ০৩ আগস্ট ২০২৪, ১৯:০৯ | আপডেট: ০৩ আগস্ট ২০২৪, ২০:০৬
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শিক্ষার্থীদের সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলসমূহ খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
শনিবার সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল হল বন্ধ থাকার কারণে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের আশপাশের এলাকাসহ বিভিন্ন আত্মীয়স্বজনের বাসায় অবস্থান করছেন। কিন্তু পুলিশের নির্বিচারে ধরপাকড় ও নানারকম অনিরাপত্তার কারণে থাকা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। যেহেতু কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সহায়তার কথা সম্প্রতি প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছে। তাই আমরা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা অত্যন্ত স্পষ্টভাবে বলছি, আগামী ২৪ ঘণ্টার (৪ আগস্ট, ২০২৪- রবিবার দুপুর ১২টা) মধ্যে যেকোনোভাবে সকল হল খুলে দেওয়া হয়। অন্যথায় সাধারণ শিক্ষার্থীরা রবিবার (০৪ আগস্ট ২০২৪, দুপুর ১২টার পর) নিজ নিজ হলসমূহে নিজেদের নিরাপত্তার স্বার্থে নিজেরাই উঠে যাওয়ার ব্যবস্থা করবে। সেক্ষেত্রে যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দায়ী থাকবে।
এ বিষয়ে ফার্মেসি বিভাগের মাহমুদা তাহিরা বলেন, 'প্রশাসন থেকে বলা হলো শিক্ষার্থীদেরকে হল থেকে বের করে হল বন্ধ করা হচ্ছে নিরাপত্তার স্বার্থে এবং সেটিও করা হলো রাত যখন সাড়ে ৮টা। এতগুলো মেয়ে তখন যাবে কোথায়? অনেকেই পরিচিত বন্ধু-বান্ধবের মেসে আশ্রয় নিলো, যাদের বাড়ি কাছে তারা পরদিন চলে যেতে পারলো। কিন্তু মেসেও এখন রেহাই নেই, এলাকার ছাত্রলীগ বাড়িওয়ালাদের তাগাদা দিয়েই যাচ্ছে মেস খালি করে ফেলার জন্য। পুলিশও নাকি যেকোনো সময় রেইড দিবে। আমরা যদি সবাই বাড়িই যাবো, আমাদের যে ভাইবোনেরা রাস্তায় জীবন হাতে নিয়ে নামছে তাদের জন্য থাকবে কে? বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কি উচিত নয় এমন ক্রাইসিসে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তাকে বড় করে দেখা? হল খুলে দিয়ে এখনো এত কার্পণ্য কেন করছেন! আপনারা না দেখলে আমাদের সেইফটি এখন কে এনশিওর করবে?'
একাউন্টটি এন্ড ইনফরমেশনস বিভাগের হানিবুর রহমান রিফাত বলেন, 'প্রক্টর বরাবর যে আল্টিমেটাম দেওয়া হয়েছে রবিবার দুপুর ১২টার মধ্যে হল যদি না খুলে দেয় তাহলে আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা হলে অবস্থান করব, প্রয়োজন হলে আমরা তালা ভেঙে প্রবেশ করব। গতকাল প্রক্টর অফিস থেকে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে ছাত্ররা গ্রেপ্তার হলে তারা ব্যবস্থা নিবে। তারা কী ব্যবস্থা নিবে? তারা আমাদেরকে হলের বিদ্যুৎ, গ্যাস বন্ধ করে দিয়ে হল থেকে বের করে দিয়েছে, আমরা আশপাশের মেসে আবার কেউ আত্মীয়স্বজনদের এখানে উঠেছি। এভাবে সবাই ছড়ায় ছিটিয়ে আছি, তাদেরকে আমরা কোথায় পাব, এ ধরনের বিজ্ঞপ্তি অর্থহীন। প্রক্টর যদি আগামীকাল হল খুলতে ব্যর্থ হন তাহলে আমরা হলের তালা খুলে ঢুকবো সাথে প্রক্টরের পদত্যাগ চেয়ে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করবে।'
এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, 'হলের বিষয়ে প্রক্টর কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। এই বিষয় হল প্রভোস্ট সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। এ নিয়ে হল প্রভোস্টের সাথে কথা বলতে হবে। হল খোলার বিষয়টি আমি উপাচার্যকে অবহিত করবো। আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।'
(ঢাকা টাইমস/০৩আগস্ট/এসএ)