খুলনায় পুলিশ-শিক্ষার্থী সংঘর্ষ, ৩ মামলায় আসামি সাড়ে ৮ হাজার 

প্রকাশ | ০৩ আগস্ট ২০২৪, ১৯:৩১ | আপডেট: ০৩ আগস্ট ২০২৪, ১৯:৩৫

খুলনা ব্যুরো, ঢাকা টাইমস

খুলনায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশ কনস্টেবল সুমন কুমার ঘরামিকে পিটিয়ে হত্যা, থানায় হামলা এবং পুলিশের গাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় পৃথক তিনটি মামলা করা হয়েছে। 

মামলায় অজ্ঞাত পরিচয় সাড়ে আট হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে। শুক্রবার রাতে মামলাগুলো দায়ের করা হয়। তবে এসব মামলায় এখনও কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।

খুলনার পুলিশ কমিশনার মো. মোজাম্মেল হক জানান, পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় লবণচরা থানায় হত্যা মামলা করা  হয়েছে।
এছাড়া সংঘর্ষের ঘটনায় হরিণটানা থানায় মামলা হচ্ছে। একই সঙ্গে পুলিশের একটি পিকআপ পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় সদর থানায় আরও একটি মামলা করা হয়েছে। এসব মামলায় অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করা হয়েছে। 

লবণচরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হক জানান,  এস আই মোস্তফা সাকলাইন বাদী হয়ে শুক্রবার রাতে লবণচরা থানায় মামলাটি দায়ের করেন। এ মামলায় অজ্ঞাত পরিচয় ১ হাজার থেকে ১২শ’ জনকে আসামি করা হয়েছে।

হরিণটানা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানান, থানায় হামলার ঘটনায় ৫/৭ হাজার ব্যক্তিকে আসামি করে পৃথক একটি মামলা হয়েছে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন খান জানান, পুলিশের পিকআপে আগুনের ঘটনায় ৪-৫শ, ব্যক্তির নামে মামলা হয়েছে।

এদিকে নিহত পুলিশ সদস্য সুমন কুমার ঘরামির পরিবারকে তাৎক্ষণিক এক লাখ টাকা এবং মরদেহ সৎকারে আরও ২৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। পুলিশ মহাপরিদর্শকের পক্ষ থেকে ৮ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র এবং নগদ দুই লাখ টাকা দেওয়া হবে। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর তহবিল থেকে আর্থিক সাহায্য করা হবে বলে জানিয়েছেন কেএমপি কমিশনার মো. মোজাম্মেল হক।

একই সঙ্গে সুমনের পরিবারে কেউ শিক্ষিত কেউ থাকলে এবং পুলিশে চাকরির উপযোগী থাকলে তাকে চাকরির ব্যবস্থা করা হবে বলেও জানান তিনি।

প্রসঙ্গত, শুক্রবার সন্ধ্যায় সংঘর্ষ চলাকালে আন্দোলনকারীদের পিটুনিতে সুমন কুমার ঘরামি নিহত হন। তার বাড়ি বাগেরহাট জেলার কচুয়া উপজেলায়। স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে ভাড়া থাকতেন নগরীর বয়রা এলাকায়। তিনি খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের সোনাডাঙ্গা জোনের সহকারী কমিশনার সৌমেন বিশ্বাসের দেহরক্ষী ছিলেন।

নিহত সুমন কুমার ঘরামিকে গার্ড অনার প্রদান-
এদিকে নিহত সুমন কুমার ঘরামিকে কেএমপির পক্ষ থেকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়েছে। গার্ড অনার প্রদান শেষে পরিবারের সদস্যরা মরদেহ নিয়ে কচুয়ায় রওনা হয়েছেন। সেখানেই তার শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।

ঢাকাটাইমস/০৩আগস্ট/পিএস