হল খোলার আল্টিমেটাম দিল বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা 

প্রকাশ | ০৪ আগস্ট ২০২৪, ০০:১২

ববি প্রতিনিধি, ঢাকা টাইমস

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) আবাসিক হলগুলো খুলে দেওয়ার জন্য হল প্রশাসনকে আল্টিমেটাম দিয়েছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের চারটি হলের প্রভোস্টকে এক খোলা চিঠির মাধ্যমে এই আল্টিমেটাম দেন তারা। এতে আগামীকাল বেলা দুইটার মধ্যে হলগুলোর তালা খুলে দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। 


শনিবার বিকালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে শিক্ষার্থীদের আল্টিমেটামের এই খোলা চিঠি পোস্ট করতে দেখা গেছে।  বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপগুলোতেও আল্টিমেটামের চিঠি পোস্ট করতে দেখা যায় শিক্ষার্থীদের। 


আল্টিমেটামে শিক্ষার্থীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের চারটি হলের প্রভোস্ট তাদের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে আগামীকাল (৪ই আগস্ট) দুপুর দুইটার মধ্যে হল খুলে না দিলে শিক্ষার্থীরা নিজ দায়িত্বে হলে ঢোকার ব্যবস্থা করতে বাধ্য হবেন। 


এ বিষয়ে শেরে বাংলা হলের শিক্ষার্থী ইউসুফ বলেন, গত ১৯ তারিখ রাত দুইটায় প্রশাসন আমাদেরকে জোরপূর্বক হল ছাড়তে বাধ্য করেছে। তারপর থেকে আমরা যাযাবরের মতো প্রাণের ভয় নিয়ে বিচ্ছিন্নভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছি। আমরা এ মুহূর্তে আমাদের হলকে নিরাপদ মনে করছি। আমাদেরকে আমাদের হল উন্মুক্ত করে দেওয়া হোক।


বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের আবাসিক শিক্ষার্থী বেলাল বলেন, এতটুকু বলতে পারি আগামীকাল সকাল ১০টায় হল খুলে না দিলে আমাদের হলে আমরা যাবো। প্রশাসনকে আমাদের শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। নতুবা আমাদের এই প্রশাসনকে আমাদের প্রয়োজন নেই।


শেখ হাসিনা হলের শিক্ষার্থী সাদিয়া আক্তার বলেন, আমাদেরকে মধ্যরাতে জোর করে হল ছাড়তে বাধ্য করে প্রশাসন। ফলে কোনো উপায় না পেয়ে আমরা সহপাঠীদের মেসে উঠি। এমনকি রাতে নামিয়ে দেওয়ার সময় কোনো প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিতে না পারায় বাইরে আমরা দুর্বিষহ জীবন-যাপন করছি। এছাড়া প্রতিনিয়ত পুলিশি হয়রানির ভয়ে আমরা বাইরে নিজেদেরকে অনিরাপদ মনে করছি। আমাদের হলকে আমরা নিরাপদ মনে করছি সুতরাং এই সংকটকালীন মুহূর্তে হল খুলে দিয়ে আমাদেরকে অবস্থান করার সুযোগ দিন।


এই বিষয়ে জানার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু, শেরে বাংলা ও শেখ হাসিনা হলের প্রভোস্টকে মুঠোফোনে একাধিকবার কল করেও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।


বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের প্রভোস্ট হেনা রানি বিশ্বাস বলেন, এমন কোনো চিঠির ব্যাপারে তিনি জানেন না। যদি এমন কিছু হয়ে থাকে তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। 

এ বিষয়ে উপাচার্যের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করার চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি।

উল্লেখ্য, ১৯ জুলাই রাত দুইটায় প্রায় তিনশো শিক্ষার্থীকে হল থেকে নামিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের চারটি আবাসিক হল সিলগালা করে দেয় প্রশাসন। মধ্যরাতে হল থেকে নেমে নিরুপায় হয়ে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের আশেপাশের এলাকাসহ বিভিন্ন আত্মীয় স্বজনের বাসা-বাড়িতে অবস্থান করছেন।

ঢাকাটাইমস/০৩আগস্ট/পিএস