রুশ সাবমেরিন ডুবিয়ে দেওয়ার দাবি ইউক্রেনের
প্রকাশ | ০৪ আগস্ট ২০২৪, ১৩:২৩ | আপডেট: ০৪ আগস্ট ২০২৪, ১৩:২৬
অধিকৃত ক্রিমিয়া উপত্যকায় নোঙর করা অবস্থায় থাকা রাশিয়ার একটি সাবমেরিনে হামলা চালিয়ে ধ্বংস করে দেওয়ার দাবি করেছে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী।
শনিবার ইউক্রেনের জেনারেল স্টাফ এক বিবৃতিতে বলেছেন, ২০১৪ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করা কিলো ক্লাস সাবমেরিন দ্য রুস্তভ-অন-ডন বন্দর নগরী সেভাস্তপোলে শুক্রবারের ওই হামলার পর ডুবে গেছে।
ধারণা করা হচ্ছে, রাশিয়ার কৃষ্ণ সাগরে মোতায়েন থাকা চারটি সাবমেরিনের একটি হলো এই সাবমেরিন, যা ক্যালিবার ক্রুজ মিসাইল নিক্ষেপে সক্ষম। তবে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করেনি।
কিয়েভের কর্মকর্তারা বলেছেন, তাদের হামলায় ক্রিমিয়ায় রাশিয়ার চারটি এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও ধ্বংস হয়েছে।
এর আগে যুক্তরাজ্যের গোয়েন্দা কর্মকর্তারা গত সেপ্টেম্বরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় রুস্তভ-অন-ডন ‘সম্ভবত মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে’ বলে উল্লেখ করেছিলো। এটি তখন সেভাস্তপোল শিপইয়ার্ডে রক্ষণাবেক্ষণ কার্যক্রমেও আওতায় ছিলো।
ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী আরও বলছে, এরপর এটিকে সংস্কার করে সম্প্রতি সেভাস্তপোলের কাছে এর সক্ষমতাও পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়েছে। এর মূল্য প্রায় তিনশ মিলিয়ন ডলার বলে জানিয়েছে তারা।
শনিবার কিয়েভে জেনারেল স্টাফের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘রুস্তভ-অন-ডনের ধ্বংস আবারো প্রমাণ করলো যে কৃষ্ণ সাগরে ইউক্রেনের সীমানার মধ্যে কোন রুশ জাহাজ নিরাপদ নয়’।
এতে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে সেভাস্তপোলের রুশ নৌ বাহিনীর ওপর হামলাগুলোর কথা উল্লেখ করা হয়। শুধু মাত্র মার্চ মাসেই দুইটি জাহাজ এবং টহল নৌযানে আঘাত করার দাবি করেছে ইউক্রেন।
এর আগে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে বিনা উস্কানিতেই ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরুর পর থেকে রাশিয়ার নৌবাহিনী বেশ বড় কয়েকটি হামলার শিকার হয়েছে।
ইউক্রেন বলছে, তারা অন্তত ১৫টি যুদ্ধজাহাজ হয় ক্ষতিগ্রস্ত করেছে, অথবা ডুবিয়ে দিয়েছে। এর মধ্যে কৃষ্ণ থাকরে থাকা মস্কভাও রয়েছে।
গত সপ্তাহে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী বলেছিল, বারবার হামলার কারণে মস্কো আজভ সাগর থেকে তাদের সব নৌযান প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়েছে।
সূত্র: বিবিসি
(ঢাকাটাইমস/০৪আগস্ট/এমআর)