সেনা-পুলিশ কেউ গুলি চালাবে না, নির্দেশ দিয়েছি: সেনাপ্রধান
সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামান বলেছেন, দেশে আর কোনো জরুরি অবস্থা নেই। আমি নির্দেশ দিয়েছি সেনাবাহিনীর কেউ গুলি করবে না। পুলিশের কেউ গুলি করবে না।
সোমবার বিকাল পৌনে ৪টায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সেনাপ্রধান এ কথা বলেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সেনাপ্রধান বলেন, ‘এখন জরুরি অবস্থা নেই। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সেনাবাহিনীও বাইরে থাকবে না। আমি নির্দেশ দিয়েছি, সেনাবাহিনীর কেউ গুলি করবে না। পুলিশ গুলি করবে না।’
‘আপনার একটু ধৈর্য ধরেন। আমাদেরকে একটু সময় দেন। ইনশাআল্লাহ আমরা সবাই মিলে একটা সমাধান করবো। সমস্ত হত্যার বিচার হবে। আমি সমস্ত দায়িত্ব নিচ্ছি। ইনশাআল্লাহ আমরা সবাই মিলে একটি সুন্দর ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাবো। আল্লাহ আমাদের মঙ্গল করুন’ বলেন সেনাপ্রধান।
জাতির উদ্দেশে ভাষণে সেনাপ্রধান আরও বলেন, দেশের জনগণের সঙ্গে হওয়া প্রতিটি অন্যায় ও হত্যাকাণ্ডের বিচার করা হবে। দেশবাসীকে, ছাত্রদেরকে হতাশ করা হবে না।
জেনারেল ওয়াকার আরও বলেন, ‘আপনারা আমাকে সহযোগিতা করেন। দয়া করে আর ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ করবেন না।’
এর আগে বিকাল ৩টায় সেনা সদর দপ্তরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে বৈঠকে করেছেন সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। সোমবার দুপুর থেকে সেনা সদর দপ্তরে এই বৈঠকের প্রক্রিয়া শুরু হয়।
বৈঠকে ডাক পেয়েছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, শিক্ষাবিদ, সামাজিক কর্মী, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।
দুপুর ২টা ৪৩ মিনিটে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের একটি সূত্র ঢাকা টাইমসকে জানায়, দলের আমির চরমোনাইয়ের পীর মুফতী সৈয়দ রেজাউল করীমকে নেওয়ার সেনাপ্রধানের আমন্ত্রণ নিয়ে গাড়ি এসেছে পল্টনের দলীয় কার্যালয়ে।
এছাড়াও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক আসিফ নজরুল, জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও দলটির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু, গণতন্ত্র মঞ্চের জোনায়েদ সাকি প্রমুখ।
(ঢাকাটাইমস/০৫আগস্ট/এসআইএস)