সপরিবারে পালালেন ওসি-ইউএনও

পুলিশের গুলিতে গৃহবধূর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ধামরাই রণক্ষেত্র, নিহত ৫

প্রকাশ | ০৫ আগস্ট ২০২৪, ২১:৪৯ | আপডেট: ০৫ আগস্ট ২০২৪, ২১:৫১

ধামরাই(ঢাকা) প্রতিনিধি, ঢাকা টাইমস

ঢাকার ধামরাইয়ে শরীফবাগ বাজারে চাল গুঁড়া করতে এসে সাজেদা আক্তার নামে এক গৃহবধূ পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন। ঘটনায় রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে ধামরাই পৌর এলাকা। এসময় ৫জন নিহত হয়েছেন। গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন আরও ৩০ জন।

সোমবার (০৫ আগস্ট) বেলা ১২টার সময় এই ঘটনা ঘটে।

নিহত গৃহবধূ সাজেদা আক্তার (৪০) শরীফবাগ এলাকার বাসচালক মো. শওকত আলীর স্ত্রী।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শরীফবাগ এলাকার গৃহবধূ সাজেদা আক্তার চাউল গুঁড়ি করতে বাজারে যায়। তখন পুলিশ ফাঁকা গুলি ছুঁড়লে ওই গৃহবধূ গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়। পরক্ষণেই ঘটনাটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষুব্ধ জনতা মাইকিং করে হাজার হাজার লোককে জড়ো করে পুলিশের ওপর হামলা করে। পরে পুলিশ নির্বিচারে রাবার বুলেট, টিয়ারশেল শর্টগানের গুলি ছুড়ে।

বিক্ষুব্ধদের সঙ্গে শরীফবাগ বাজার, ধামরাই উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা থানা কমপাউন্ডে ব্যাপক সংঘর্ষ ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। পুলিশ এসব স্থানেও ব্যাপক গুলি বর্ষণ করে আন্দোলনরত ছাত্রজনতার উপর।

এতে উপজেলা পরিষদ চত্বরে পৌর শহরের গোয়ারীপাড়া মহল্লার অজ্ঞাত পরিচয় এক তরুণ, ধামরাই হার্ডিঞ্জ সরকারি স্কুল এন্ড কলেজ সামনে ত্রিমোড়ে এক যুবক এবং ধামরাই সরকারি হাসপাতালের বারান্দায় অপর এক অজ্ঞাত পরিচয় যুবকসহ গুলিবিদ্ধ হয়ে পাঁচ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। অপর দিকে পুলিশ থানার পাশে ঠিকাদার সফিকুল ইসলামের ভবনে নির্বিচারে গুলি চালালে পারভেজ নামে এক লোক সহ দুইজন গুলিবিদ্ধ হন। অপর দিকে হার্ডিঞ্জ এলাকায় কয়েকজন অজ্ঞাত পরিচয় ছাত্র-জনতা, শরীফবাগ উপজেলা চত্বরে মো. সৌরভ হোসেন, নাঈম ইসলাম, সেলিম হোসেন আবু তাহেরসহ অন্তত ৩০ ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন।

এরপর বিক্ষুব্ধ জনতা পর্যায়ক্রমে উপজেলা পরিষদ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বাসভবন, পৌরভবন, থানা কমপ্লেক্সওসির বাসভবন, কাউন্সিলরের অফিস, আওয়ামী লীগ নেতার বাসভবন সংসদ সদস্য বেনজির আহমদের সিটি সেন্টারে ব্যাপক ভাঙচুর অগ্নিসংযোগ করে। তারা থানার গুরুত্বপূর্ণ নথি, ৩০টি বিভিন্ন ধরনের গাড়ি আগুনে পুড়িয়ে দেয়।

সময় পরিস্থিতি অনুকূলের বাইরে চলে গেছে বুঝতে পেরে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলম শেখ, থানার স্টাফ এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খান মো. আব্দুল্লা আল মামুন সপরিবারে পালিয়ে গিয়ে কোনোমতে প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন।

ঢাকাটাইমস/০৫আগস্ট/পিএস