বানিয়াচংয়ে পুলিশ-জনতা সংঘর্ষ : নিহত ৬, আহত শতাধিক
প্রকাশ | ০৫ আগস্ট ২০২৪, ২২:৪৭
বানিয়াচংয়ে বিক্ষুব্ধ জনতার সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে ৬জন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশসহ আহত হয়েছেন শতাধিক।
সোমবার দুপুর ২টা থেকে ৫টা পর্যন্ত বানিয়াচং থানা চত্বরে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- যাত্রাপাশা গ্রামের সানু মিয়ার ছেলে হাসান মিয়া (১৮), মাইঝের মহল্লা গ্রামের আব্দুল নূরের ছেলে আশরাফুল ইসলাম (১৮), পাড়াগাঁও গ্রামের শমশের মিয়ার ছেলে মোজাক্কির মিয়া (৪০), কামালখানী গ্রামের নয়ন মিয়া (১৮), জাতুকর্ণপাড়া গ্রামের আব্দুর রউফের ছেলে তোফাজ্জ্বল মিয়া (১৮), পূর্ব ঘর গ্রামের ধলাই মিয়ার ছেলে সাদিকুর (৩০)।
জানা যায়, সোমবার বেলা ১১টার দিকে বিক্ষুব্ধ জনতা মিছিল করার জন্য বানিয়াচং এল আর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে জড়ো হয়। বেলা ১২টার দিকে বিক্ষোভ মিছিলটি নতুন বাজার হয়ে বড় বাজারের শহীদ মিনারের সামনে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সভায় মিলিত হয়। পরে সেখান থেকে মিছিল নিয়ে উপজেলা পরিষদ হয়ে বানিয়াচং থানার দিকে রওয়ানা দেয়। পথিমধ্যে বিক্ষুব্ধ জনতা উপজেলা পরিষদের হলরুম ও বিএডিসি ভবন ভাঙচুর করে। মিছিলের একাংশ বনিয়াচং থানার উদ্দেশে রওয়ানা হলে শাহী ঈদগাহের সামনে আসামাত্র পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এসময় বিক্ষুব্ধ জনতা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। একপর্যায়ে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে পুলিশ সদস্যরা রাবার বুলেট, কাঁদানে গ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড ও গুলি ছুঁড়তে থাকে। এতে ঘটনাস্থলেই পুলিশের গুলিতে নিহত হয় ৫জন বিক্ষুব্ধ জনতা। গুরুতর আহত অবস্থায় একজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তারও মৃত্যু হয়।
তবে সংঘর্ষের একপর্যায়ে পুলিশ পিছু হটলে আন্দোলনকারীরা থানার প্রতিটি কক্ষসহ পুলিশ ম্যাচ, ওসির বাসভবন, জেলা পরিষদের ডাকবাংলো ও পশু হাসপাতালে আগুন ধরিয়ে দেয়। সংঘর্ষে পুলিশ সদস্যরা থানার ভিতরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তাদেরকে উদ্ধার করতে সেনাবাহিনীর সদস্যরা চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
বানিয়াচং উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. শামিমা আক্তার জানান, গুলিবিদ্ধ হয়ে ৬জন নিহত হয়েছে। এর মধ্যে একজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় এবং বাকি ৫জন ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে তিনজনের বয়স ১৮ থেকে ২০ বছর আর বাকি তিনজনের বয়স ৪০ থেকে ৫০ এর মধ্যে।
বানিয়াচং থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দেলোয়ার হোসাইন জানান, এই মুহূর্তে আমি কারো সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছি না। যে যার মতো করে সরে রয়েছেন। তবে কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
ঢাকাটাইমস/০৫আগস্ট/পিএস