চুয়াডাঙ্গায় দুই এমপির বাড়িসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, নিহত ৪

প্রকাশ | ০৫ আগস্ট ২০২৪, ২৩:৫৬ | আপডেট: ০৬ আগস্ট ২০২৪, ০৯:৩৪

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি, ঢাকা টাইমস

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশত্যাগের খবর প্রচারিত হওয়ার পরপরই চুয়াডাঙ্গার রাজপথে নেমে আসে বিক্ষুব্ধ জনতা। খুশিতে চুয়াডাঙ্গায় বিজয় মিছিল করেছেন তারা। এক পর্যায়ে চুয়াডাঙ্গার দুই এমপি আওয়ামী লীগ নেতাদের বাড়ি এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালানো হয়। সময় অগ্নিদগ্ধ হয়ে ৪জন নিহত হয়েছেন।

সোমবার রাতে এসব হামলা অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।

এর আগে বিকাল ৫টার দিকে শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে বের হয় হাজার হাজার ছাত্র-জনতা। এরপর শহরের শহীদ হাসান চত্বরে একত্রিত হয়ে বিজয় মিছিল উল্লাস করে সাধারণ জনতা আন্দোলনকারীরা। চলে গভীর রাত পর্যন্ত।

পরে বিজয় মিছিল থেকে শহরে আওয়ামী লীগ এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের টানানো সকল ব্যানার-ফেস্টুন ভাঙচুর করা হয়। জেলা আওয়ামী লীগের অফিসে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়।

পরে চুয়াডাঙ্গা- আসনের সংসদ সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন, তার সহোদর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন, চুয়াডাঙ্গা- আসনের সংসদ সদস্য হাজী আলী আজগার টগর, জেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক আরেফিন আলম রঞ্জু, ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, ছাত্রলীগ নেতা রিগানসহ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতার বাড়িতে ভাঙচুর করে অগ্নিসংযোগ করে পুড়িয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ জনতা।

এছাড়াও বিক্ষুব্ধ জনতা শহরের শহীদ হাসান চত্বরে অবস্থিত পুলিশ বক্সে ভাঙচুর করে। সময় শহীদ হাসান চত্বরে বিভিন্ন ব্যানার ফেস্টুনে আগুন লাগিয়ে উল্লাস করে। 

এদিকে, যুবলীগ নেতা আরেফিন আলম রঞ্জুর বাড়িতে অগ্নিসংযোগের সময় তার বাড়িতে থাকা ৪জন আগুনে পুড়ে নিহত হয়েছে। তারা সবাই পুরুষ।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চুয়াডাঙ্গা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার জাহাঙ্গীর আলম।

তিনি বলেন, চুয়াডাঙ্গা শহরের সিনেমা হল পাড়ার একটি বহুতল ভবনে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা সেখানে যাই। ওই বাড়ির আগুন নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার পর বাড়ির সিঁড়িঘর থেকে জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তবে নিহতদের পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি।

ঢাকাটাইমস/০৫আগস্ট/পিএস