চবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিজয় র‌্যালি ও সমাবেশ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি, ঢাকা টাইমস
 | প্রকাশিত : ০৬ আগস্ট ২০২৪, ১৬:০৪

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রাথমিক সফলতায় বিজয় র‌্যালি ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থী, চবি শিক্ষক ও কর্মকর্তা কর্মচারীসহ ক্যাম্পাসের আপামর জনসাধারণ এতে অংশ নিয়েছেন।

মঙ্গলবার সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্ট থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে বিজয় মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয় এবং সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

ফাইন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক ড. তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ বলেন, প্রিয় ছাত্র-জনতা পৃথিবীর ইতিহাসে ঘটেনি এমন কালো রাত, কালো দিন। শত শত ছাত্র-জনতার জীবনের বিনিময়ে, হাজার হাজার আহত, ১২ হাজারের বেশি জেলখানায় বন্দি করেও যাদের দমাতে পারেনি তারাই আজকের ছাত্র-জনতা। এখনো এই যুদ্ধ শেষ হয়নি, এখনো বিজয় আসেনি। কারণ এটি একটি সরকার বা সরকার প্রধানের বিরুদ্ধে আন্দোলন ছিল না। এটা ছিল সারা বাংলাদেশ মেরামতের আন্দোলন। ছাত্ররা এখনো আতঙ্কিত। আমরা শিক্ষকরা চাই, যেভাবে আমরা প্রিয় ছাত্রদের পাশে থেকে জীবন বাজি রেখেছিলাম তেমনিভাবে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত থাকতে।

চবির মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. গোলাম কিবরিয়া বলেন, আমরা বিগত চারদিন আগে শহীদ মিনারে দাঁড়িয়ে আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে দোয়া করেছিলাম যে, তুমি আমাদের এই জালিমের জুলুম থেকে রক্ষা করো। আমাদের দোয়া কবুল করো। রাব্বুল আলামীন আমাদের দোয়া কবুল করেছে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে আপনারা দেখেছেন আমাদের ছাত্রদের রক্তাক্ত করা হয়েছে। তাই আমি এই প্রশাসনকে বলবো যারা খুনি হাসিনার হাত ধরে প্রশাসনে বসেছেন, আপনাদের নেত্রী যেহেতু দেশ ছেড়ে পালিয়েছে আপনারাও তার পদাঙ্ক অনুসরণ করে অতি শীঘ্রই প্রশাসন থেকে পদত্যাগ করুন।

চবির বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সুমাইয়া শিকদার বলেন, আজকে আমরা যে বিজয় নিয়ে এখানে দাঁড়িয়েছি সে বিজয় আমাদের ধরে রাখতে হবে। এই স্বাধীনতা আমাদের রক্ষা করতে হবে। না হলে বাংলাদেশে ফ্যাসিস্টরা সরকার কায়েম করে আমাদের উপর চড়ে বসবে। আমাদেরকে শাসন করে, শোষণ করে প্রত্যেকটা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করে দিবে।

ভবিষ্যতে যে সরকার আসবে সেটা যেন জনগণের সরকার হয়, সে সম্পর্কে আমাদের সচেতন থাকতে হবে। আমাদের সবসময় সচেতন থাকতে হবে ক্যাম্পাসের হলগুলো যেন আমাদের ছাত্রদের অধিকারে থাকে। ক্যাম্পাসে অতি শীঘ্রই যেন চাকসু চালু করা হয়। ক্যাম্পাসে যেন কোনো দলীয় রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠন প্রতিষ্ঠিত হতে না পারে সে বিষয়েও আমাদের সজাগ থাকতে হবে।

ঢাকাটাইমস/০৬আগস্ট/পিএস

সংবাদটি শেয়ার করুন

শিক্ষা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিক্ষা এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :