ব্যারিস্টার সুমন কোথায়?

প্রকাশ | ০৬ আগস্ট ২০২৪, ১৬:০৮ | আপডেট: ০৬ আগস্ট ২০২৪, ১৬:৩১

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস

সমাজের নানা বিষয় নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কথা বলে আলোচনায় আসেন সৈয়দ সায়েদুল হক, যিনি ব্যারিস্টার সুমন নামে পরিচিত। শেষ মেষ হবিগঞ্জ-৪ (চুনারুঘাট-মাধবপুর) আসনের সংসদ সদস্যও হয়েছেন তিনি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে তিনি ছিলেন অনেকটা নীরব। শেষে যখন শেখ হাসিনার পদত্যাগ দাবী উঠেছে তখন তিনি বিষয়টির বিরোধিতা করেছেন। জনমনে প্রশ্ন উঠেছে তিনি এখন কোথায়?

শেখ হাসিনার পদত্যাগের আগে যা বলেছিলেন ব্যারিস্টার সুমন

ব্যারিস্টার সুমন বলেছেন, যারা ফেসবুকে প্রোফাইল লাল করেছেন, তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই— আমি ততটুকু পর্যন্ত লাল যতটুকু দাবি যৌক্তিক পর্যায়ে ছিল, কোটা সংস্কারের জন্য ছিল, আমি ততটুকু পর্যন্ত লাল ছিলাম। কিন্তু যখন আমার নেত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ চাচ্ছেন এবং ধ্বংসলীলায় মেতে উঠেছেন, তখন আমি আপনাদের পক্ষে নেই। কেননা আপনাদের যেমন আমার নেত্রীর বিরোধিতা করার অধিকার আছে, আমারও আমার নেত্রীর পক্ষে দাঁড়ানোর অধিকার আছে।

গত রবিবার হাইকোর্টে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

ব্যারিস্টার সুমন বলেন, আমি সস্তা জনপ্রিয়তার জন্য এখানে আসিনি। এখন ফেসবুকটা এমন  অবস্থা, আমাকে তো প্রধানমন্ত্রী ফেসবুক এমপি বলতেন। আমি ফেসবুক এমপি হিসেবে থাকতাম এবং সরকারের বিরুদ্ধে আজকে একটা কথা বললে কালকে বলবেন সুমনকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চাই। আমি তো ওই প্রধানমন্ত্রী হতে এখানে আসিনি।

ব্যারিস্টার সুমন আরও বলেন, আমার রাইট, রঙ সব বোঝার ক্ষমতা আছে। আমি পড়াশোনা করে ব্যারিস্টার হয়েছি। আপনারা বলতে পারেন, আপনার পড়াশোনার মান খুবই খারাপ। কিন্তু এটা আপনাদের জিজ্ঞাসা করতে চাই? আপনারা প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগ করাতে চান, কিন্তু আপনাদের আন্দোলন তো পুরোটাই জামায়াত-বিএনপির হাতে চলে গেছে। তাইলে আপনারা জামায়াতকে আবার ক্ষমতায় নিয়ে আসবেন, তারেককে ক্ষমতায় নিয়ে আসবেন। তিনি তো দণ্ডপ্রাপ্ত।

তিনি আরও বলেন, আজকে আপনারা একদফা চাচ্ছেন। আপনাদের একদফা কী— মনে করেন আপনাদের একদফা আমি মেনে নিলাম।  প্রধানমন্ত্রীকে আপনে পদত্যাগ করেন। ছাত্ররা মারা যাচ্ছে। সতন্ত্র এমপি হিসেবে আমি তাকে বললাম।  আজ যা একদফা দিচ্ছেন, কালকে তারা আরেকটি দফা দিয়ে বললেন আপনি আওয়ামী লীগ করা বন্ধ করেন।  এ দেশে কেউ আওয়ামী লীগ করতে পারবেন।  দুদিন পরে বলবে এ দেশে কোনো মুক্তিযুদ্ধের চেতনা থাকবে না।  এদের একটার পর একটা দফা সারেন্ডার করে মেনে নেন, তাহলে আমরা যাব কোথায়। আমরা তো সংঘত চাই না।  আমি একটা প্রাণহানিরও পক্ষে না।

(ঢাকাটাইমস/০৬আগস্ট/কেএম)