ঝিনাইদহে চেয়ারম্যানকে কুপিয়ে হত্যার পর পোড়ানো হলো লাশ 

প্রকাশ | ০৬ আগস্ট ২০২৪, ২০:১০ | আপডেট: ০৬ আগস্ট ২০২৪, ২০:২৭

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি, ঢাকা টাইমস

ঝিনাইদহ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ৯ নম্বর পোড়াহাটী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম হিরনকে কুপিয়ে হত্যা করেছে আন্দোলনকারী জনতা। পরে তার মরদেহ আগুনে পুড়িয়ে শহরের কেন্দ্রস্থল পায়রা চত্বরে টাঙ্গিয়ে রাখা হয়। সেখানে লাশের গায়ে জুতা-স্যান্ডেল মারা হয়। শুধু চেয়ারম্যানই নয়, তার গাড়িচালককেও কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। 

সোমবার সন্ধ্যা থেকে গভীর রাতের মধ্যে  এই নৃশংস ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এদিন দুপুর ১২টার দিকে আন্দোলনকারীরা শহরের স্টেডিয়াম পাড়ায় অবস্থিত শহিদুল ইসলাম হিরনের বাড়িতে ভাঙচুর চালায়। সেসময় হিরন আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে লাইসেন্সকৃত বন্দুক দিয়ে কয়েক রাউন্ড গুলি করেন। এতে বেশ কয়েকজন হতাহত হয়। পরে আন্দোলনকারীরা তার বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় ও তার ব্যক্তিগত গাড়িচালক আক্তারকে কুপিয়ে জখম করে। আক্তারকে সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। বাড়ির তৃতীয় তলায় অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে হিরন। সন্ধ্যায় আগুনে পুড়ে মারা গেলে আন্দোলনকারীরা তার ঘরের দরজা ভেঙে লাশ বের করে শহরের কেন্দ্রস্থল পায়রা চত্বরে এনে টাঙ্গিয়ে রাখে। এসময় তার লাশের ওপর আন্দোলনকারীরা জুতা-স্যান্ডেল দিয়ে মারতে থাকে। পরে সেখান থেকে গভীর রাতে লাশ ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
অপরদিকে কালীগঞ্জ উপজেলা সাবেক ছাত্রলীগ নেতা জুয়েলের বাড়িতে আগুন দিতে গিয়ে পুড়ে মারা গেছে দুই আন্দোলনকারী। এদিন বিকালে কালীগঞ্জ উপজেলার ঢাকালে পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। 
স্থানীয়রা জানায়, শেখ হাসিনার দেশ ত্যাগের ঘটনার পর কিছু বিক্ষুব্ধ জনতা বিকালে কালীগঞ্জ উপজেলা শহরের ঢাকালে পাড়া এলাকার জুয়েল নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে আগুন দেয়। এর মধ্যে রাব্বি ও মুজাহিদ নামে দুই আন্দোলনকারী ওই বাড়ির দ্বিতীয় তলায় আগুন ধরাতে গেলে তারা আর নিচে নামতে পারেনি। ফলে সেখানেই পুড়ে তাদের মৃত্যু হয়। মৃত রাব্বির বাড়ি ওই উপজেলার ফয়লা ও মুজাহিদের বাড়িখয়েরতলা এলাকায় বলে জানা গেছে।


(ঢাকা টাইমস/০৬আগস্ট/এসএ)