কুষ্টিয়ায় সহিংসতা অব্যাহত
আরও তিনজনের মৃত্যুর খবর, নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৯
প্রকাশ | ০৬ আগস্ট ২০২৪, ২৩:৪৬
সোমবার কুষ্টিয়ায়-পুলিশ বিক্ষুব্ধ জনতার সংঘর্ষের ঘটনায় আরও তিনজন নিহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এর আগে সোমবার রাত পর্যন্ত ছয়জন নিহত হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৯ জন নিহত হয়েছে বলে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে। এদের অধিকাংশই গুলিতে নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তবে কুপিয়ে হত্যার লাশও ছিল।
এদিকে বিএনপি, জামায়াতসহ সমমনা বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীদের সরব উপস্থিতির পরও থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে কুষ্টিয়ায়। আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের বেশির ভাগ নেতা আত্মগোপনে চলে গেছেন। সর্বশেষ সোমবার রাতে আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংঘর্ষে প্রাণ হারান সবুজ নামে এক বিএনপি কর্মী।
মঙ্গলবার শহরের বড়বাজার এলাকার কিছু মুদিদোকান ও সবজিবাজার সীমিত আকারে খুললেও বন্ধ ছিল অধিকাংশ দোকানপাট। সোমবার দুপুরের পর থেকে অরক্ষিত পড়ে আছে কুষ্টিয়া মডেল থানা। সন্ধ্যার পর সেখানে ভুতুড়ে পরিবেশ তৈরি হয়। সোমবার পুলিশের গুলিতে হতাহতের ঘটনার পর পুলিশ সদস্যদের থানা থেকে উদ্ধার করে নিয়ে যান সেনা সদস্যরা। এরপর থানায় ব্যাপক ভাঙচুরের পর আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। পরে বিকাল থেকে শুরু হয় লুটপাট।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহফুজুল হক চৌধুরী জানান, থানা থেকে বিভিন্ন সম্পদ লুটপাটের পাশাপাশি বেশ কিছু আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদও লুট করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। তবে কী পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ লুট হয়েছে, তা তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারেননি তিনি।
এদিকে মঙ্গলবার সকালে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফের বাড়িতে দ্বিতীয় দফায় ভাঙচুর ও আগুন ধরিয়ে দিয়েছে বিক্ষুব্ধরা। এ সময় দলে দলে লোকজন বিভিন্ন জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে গেছে। এ ছাড়া হানিফের চাচাতো ভাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমানের বহুতল ভবনেও আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেখানে শতাধিক মানুষ বাড়ির ইট পর্যন্ত খুলে নিয়ে গেছে।
এদিকে দৌলতপুরে এটিএন নিউজের কুষ্টিয়া প্রতিনিধি শরিফুল ইসলামের ব্যক্তিগত অফিসে ভাঙচুর করেছে দুর্বৃত্তরা। পাশাপাশি জেলার বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের বাড়িতে মঙ্গলবারও হামলা ভাঙচুরের খবর পাওয়া গেছে।
কুষ্টিয়া-২ (মিরপুর-ভেড়ামারা) আসনের সদ্য সাবেক সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কামারুল আরেফিনের মিরপুর শহরে নবনির্মিত আলিশান বাড়িতেও ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে পুলিশ কোনো দায়িত্ব পালন না করায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্রছাত্রীরা শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণ করতে দেখা গেছে।
ঢাকাটাইমস/০৬আগস্ট/পিএস