রোষের মুখে দুই ডেপুটি গভর্নরের পদত্যাগ, অন্য দুজন আর আসবেন না
প্রকাশ | ০৭ আগস্ট ২০২৪, ১৩:০৫ | আপডেট: ০৭ আগস্ট ২০২৪, ১৪:১২
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়েছেন। এখন সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে রোষানলে পড়ছেন তার নিয়োগ করা শীর্ষ কর্তারা। দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংকে এমনই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। বিক্ষুব্ধ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাপের মুখে দুই ডেপুটি গভর্নর বুধবার সাদা কাগজে ‘পদত্যাগ’ করে বেরিয়ে যান। অনুপস্থিত অন্য দুজন আর অফিসে আসবেন না।
বিক্ষুব্ধ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা গভর্নর ফ্লোরে গিয়ে ডেপুটি গভর্নর কাজী ছাইদুর রহমান এবং নুরুন নাহারের কক্ষে ঢুকে তাদের পদত্যাগে বাধ্য করেন।
এর আগে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর, চার ডেপুটি গভর্নর, উপদেষ্টা ও আর্থিক গোয়েন্দা দপ্তরের প্রধানের পদত্যাগ দাবি করে ব্যাংকের ভেতরে মিছিল করেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তারা অভিযোগ করেন, ব্যাংক খাতে অনিয়ম-দুর্নীতির জন্য এসব চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তা দায়ী।
জানা গেছে, গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার আজ কার্যালয়ে আসেননি। ডেপুটি গভর্নর কাজী ছাইদুর রহমান, ডেপুটি গভর্নর নুরুন নাহার চাপের মুখে পদত্যাগ করে অফিস ছাড়েন।
ডেপুটি গভর্নর মো. খুরশীদ আলম ও মো. হাবিবুর রহমান, ব্যাংকের উপদেষ্টা আবু ফরাহ মো. নাসের ও বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) মাসুদ বিশ্বাস অফিসে ছিলেন না। তবে তারা আর অফিসে আসবেন না বলে জানিয়ে দেন।
বিক্ষুব্ধ কর্মকর্তা–কর্মচারীরা নির্বাহী পরিচালক-১ জাকির হোসেন চৌধুরীকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে ঘোষণা করেন।
শেখ হাসিনার পদত্যাগের পরদিন মঙ্গলবার থেকে প্রশাসনসহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে রদবদল শুরু হয়। ইতিমধ্যে সেনাবাহিনীর শীর্ষস্থানীয় বিভিন্ন পদে রদবদল করা হয়েছে। কয়েকজনকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
চুক্তিভিত্তিক নিয়োগকৃত পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চোধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের নিয়োগ বাতিল করে নতুন আইজিপি নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। র্যাবের মহাপরিচালক ও ডিএমপির কমিশনার পদে আনা হয়েছে পরিবর্তন।
(ঢাকাটাইমস/০৭আগস্ট/মোআ)