চিরচেনা রূপে ফিরেছে বগুড়া
গত কয়েকদিনের আন্দোলন এবং কারফিউয়ের কারণে কার্যত অচল হয়ে পড়েছিল বগুড়া। ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগের পর ৬ আগস্ট থেকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে শুরু করে বগুড়ার জনজীবন।
বুধবার থেকে চিরচেনা রূপে ফিরেছে বগুড়া। সকল শ্রেণি পেশার মানুষদের কর্ম ব্যস্ততা, শহরের মধ্যে জনসাধারণের অবাধ চলাচল করতে দেখা গেছে।
এছাড়া বগুড়া থেকে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ সকল প্রকার যানবাহন সকাল থেকেই চলাচল করছে। এদিকে স্বস্তি ফিরে এসেছে ব্যবসায়ীদের মাঝেও।
শহরের সাতমাথায় কথা হয় পথচারী সোহাগের সাথে। তিনি বলেন, গত কয়েকদিন উৎকণ্ঠার মধ্যে দিন পার করতে হয়েছে। এখন সেই উৎকণ্ঠা নেই। বাজারে যাচ্ছি কিছু কেনাকাটা করতে।
শাজাহানপুর উপজেলার এক ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের দোকানি একরামুল হক বলেন, তিনি চুড়িপট্টি যাচ্ছেন তার দোকানের জন্য মালপত্র কিনতে। আন্দোলন এবং কারফিউয়ের কারণে গত কদিন মানুষ শহরে প্রবেশ করতে পারেননি। তিনিও শহরে আসেননি। তবে ওই কদিন তার দোকানে বেচা বিক্রি ভালো হয়েছে। ওই সময় তার দোকানে মালপত্র সংকট দেখা দেয়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় তিনি দোকানে মাল উঠানোর জন্য চুড়িপট্টি যাচ্ছেন।
স্কুল থেকে ছেলেকে নিয়ে ফিরছিলেন নুসরাত জাহান। তিনি বলেন, স্কুল গতকাল খুললেও আজকে তিনি তার সন্তানকে নিয়ে স্কুলে গিয়েছিলেন। তার ছেলে প্রথম শ্রেণির ছাত্র।
বগুড়ার চিনিপাতা দইঘরের পরিচালক মুক্তার আলী বলেন, কারফিউয়ের প্রথম দিকে তো আমাদের লোকসান গুনতে হয়েছে। পরবর্তীতে উৎকণ্ঠার মধ্যে আমাদের ব্যবসা পরিচালনা করতে হয়েছে। এখন লোক সমাগম বাড়ছে। আমাদের ব্যবসাও ঠিকঠাক চলবে।
বগুড়া মোটর মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম বলেন, বগুড়ার অভ্যন্তরীণ সড়কসহ সকল সড়কে যানবাহন স্বাভাবিকভাবে চলাচল করছে। সকাল থেকেই ঢাকা, চট্টগ্রামসহ সকল রুমে দূরপাল্লার যানবাহন ছেড়ে গেছে।
বগুড়া জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা হযরত আলী বলেন, সব ধরণের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলেছে। গতকালের চেয়ে আজ শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি বেশি।
(ঢাকা টাইমস/০৭আগস্ট/এসএ)