স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের স্টিকারযুক্ত গাড়িতে বস্তাভর্তি টাকা উদ্ধার শিক্ষার্থীদের, আটক ৩
প্রকাশ | ০৮ আগস্ট ২০২৪, ০১:২৫
রাজধানীর উত্তরায় আব্দুল্লাপুর হাউসবিল্ডিং এলাকায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের স্টিকারযুক্ত একটি গাড়ি থেকে বস্তা ভর্তি টাকা উদ্ধার করেছে শিক্ষার্থীরা। এসময় গাড়ি থেকে অস্ত্রসহ তিনজনকে আটক করা হয়। পরে তাদের টাকাসহ সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হয়।
বুধবার বিকাল সাড়ে ৩টায় ঢাকা-ময়মনসিংহ সিগন্যালে ঢাকা মেট্রো-ঘ-১৫-১৫৮১ নম্বরে ওই প্রাডো গাড়ি যাওয়ার পথে সন্দেহ হলে আটক করেন শিক্ষার্থীরা। ৫০ কেজি ওজনের মালামাল বহনের একটি পাটের বস্তা টাকায় ভর্তি ছিল। পরে সেই টাকা ও অস্ত্র বাংলাদেশ সেনবাহিনীর কাছে দেওয়া হয়েছে।
উত্তরা হাই স্কুল ও কলেজের সিনিয়র শিক্ষক মো. রফিকুল ইসলাম জানান, বুধবার (৭ আগস্ট) বিকাল ৩টায় উত্তরার হাউজ বিল্ডিং এলাকায় শিক্ষার্থীরা সড়কে শৃঙ্খলা ফেরানোর কাজে নিয়োজিত থাকার সময় কালো রঙের ওই গাড়িটিকে থামার জন্য সিগন্যাল দিলে সেটি ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক ধরে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। পরে ছাত্ররা গাড়িটিকে ঘিরে দাঁড়ালে ড্রাইভার পালিয়ে যায়।
শিক্ষক রফিকুল বলেন, গাড়ির ভেতরে এক বস্তা টাকাসহ মাসুদ আলম নামের ব্যক্তিকে বসে থাকতে দেখা যায়। মাসুদ নিজেকে প্রমিজ গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর পরিচয় দেন। এছাড়াও আরও দুইজন ব্যক্তি ছিলেন। তবে তাদের পরিচয় জানা যায়নি। সবমিলিয়ে তাদের পরিচয়ে গোলমাল পেলে শিক্ষার্থীরা উত্তরা টাউন কলেজে টাকাসহ মাসুদকে নিয়ে আসে। পরে সেনাবাহিনীকে খবর দিলে তারা এসে ওই ব্যক্তি ও টাকা নিয়ে যান। তবে অস্ত্রের লাইসেন্স আছে বলে সেনাবাহিনী আমাদের জানিয়েছেন।
মাহিন হোসেন হিমেল নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘গাড়ির সামনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের স্টিকার থাকায় আমাদের সন্দেহ হয়। পরে তল্লাশী করে দেখি বস্তাভর্তি টাকা। গাড়িতে একটি রিভলবারও ছিল। পরে ঘটনাস্থলের পাশেই উত্তরা টাউন কলেজে টাকার বস্তাসহ ওই ব্যক্তিকে এনে আটক করে সেনাবাহিনীকে খবর দেওয়া হয়।’
বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টায় ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনীর একটি ইউনিট পৌঁছালে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী জিজ্ঞাসাবাদের পর সেখান থেকে তিনজনকে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয়।
এসময় মাইক হাতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাহবুব ছাত্র-জনতার উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আপনারা একটি ভালো কাজ করেছেন। এটা দেশের টাকা। টাকার মালিক কে এখনো আমি নিশ্চিত করতে পারছি না। তবে উনার (অভিযুক্তদের) কথাবার্তা আমাদের কাছে অসঙ্গতি মনে হয়েছে। এজন্য উনাদেরকে আমরা টাকাসহ অ্যারেস্ট করে নিয়ে যাচ্ছি।’
কর্নেল মাহবুব আরও বলেন, ‘এই টাকা যদি অবৈধ হয়ে থাকে তবে তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদান করা হবে।’
(ঢাকাটাইমস/০৭আগস্ট/এসআইএস)