গভীর রাতে ঢাকায় ডাকাত আতঙ্ক, সেনাবাহিনীর হাতে আটক
প্রকাশ | ০৮ আগস্ট ২০২৪, ০৮:০১ | আপডেট: ০৮ আগস্ট ২০২৪, ০৮:৩৪
রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে পুলিশের অনুপস্থিতির সুযোগে ডাকাতির খবর পাওয়া যাচ্ছে। এতে আতঙ্কগ্রস্ত পুরো রাজধানীবাসী। বিভিন্ন এলাকা পাহারা দিচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। প্রয়োজনে সেনাবাহিনীকেও খবর দেওয়া হচ্ছে।
বুধবার (৭ আগস্ট) দিনগত রাত সাড়ে ১২টা থেকে সাভার, মানিকগঞ্জ, মোহাম্মদপুর, শেখেরটেক, মিরপুর-৬, মিরপুর-২, মোহাম্মদপুর, নবোদয় হাউজিং, বসিলা, মানিকদি, কালশী, ইসিবি চত্ত্বর, ধানমন্ডি ও উত্তরা, গাজীপুর এলাকায় ডাকাতির খবর পাওয়া যায়। গভীর রাতে এসব এলাকায় মসজিদে মাইকিং হচ্ছে, সবাইকে সতর্ক করা হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, ডাকাত দল এলাকায় প্রবেশ করে ডাকাতি করছিল। এমন সময় সেনাবাহিনীর দেওয়া জরুরি নম্বরে ফোন করলে তারা এসে পুরো এলাকা নিয়ন্ত্রণে নেয়। এরপর ডাকাত চক্রের বেশ কয়েকজন সদস্যকে আটক করে সেনাবাহিনী।
এরই মধ্যে বেশকিছু ডাকাতির ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে দেখা যায়, ডাকাত দলের সদস্যদের ধরে বেধে রেখেছে এলাকাবাসী।
ইসিবি চত্বরে দুজনকে ও মোহাম্মদপুরের বসিলায় কয়েকজনকে গণপিটুনি দিয়ে বেধে রেখেছে এলাকাবাসী।
বসিলার বাসিন্দা অনির্বাণ বিশ্বাস জানান, রাত সোয়া ১২টার দিকে লুটপাট করতে বিভিন্ন দিক থেকে এলাকায় ঢোকে ডাকাতরা। এসময় এলাকাবাসী লাঠি হাতে রাস্তায় নেমে আসেন। মসজিদ থেকে মাইকিং করে সতর্ক করা হয়।
রাত আড়াইটার পর থেকে উত্তরার বিভিন্ন সেক্টরের মসজিদ থেকে এলাকায় ডাকাত ঢুকেছে জানিয়ে কিছুক্ষণ পর পর সতর্কবার্তা প্রচার করা হচ্ছে। এরই মধ্যে ডাকাত-সন্ত্রাসীদের প্রতিরোধ করতে ১১ নম্বর সেক্টরস্থ উত্তরা পশ্চিম থানার সামনে জড়ো হয় শতাধিক মানুষ।
তুরাগের রানাভোলা, ফুলবাড়িয়া এলাকার একাধিক মসজিদের মাইক থেকেও এলাকায় ডাকাত-সন্ত্রাসী ঢুকে পড়ে জানিয়ে সবাইকে সতর্ক অবস্থানে থাকার আহ্বান জানানো হয়।
উত্তরা পূর্ব থানাধীন ৮ নম্বর সেক্টর এলাকার বাসিন্দা এসডি রাসেল জানান, আমাদের এদিকেও মসজিদের মাইক থেকে একটু পর পর এলাকায় ডাকাত এবং সন্ত্রাসী ঢুকে পড়েছে জানিয়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানানো হয়।
তুরাগ থানার বাসিন্দা সজিব জানান, আমরা রাস্তায় বের হয়ে এসেছি। সবাই রাস্তায় নেমে এসেছে ডাকাত-সন্ত্রাসীদের প্রতিহত করতে।
উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টর এলাকার বাসিন্দা গণমাধ্যমকর্মী বলেন, একদল ডাকাতকে সেক্টরবাসী ধাওয়া দিয়েছে। তারা পালিয়েছে। পরে সেনাবাহিনী চৌরাস্তা এলাকায় শক্ত অবস্থান নেয়।
অপরদিকে, তুরাগ, উত্তরা, বিমানবন্দরসহ বিভিন্ন এলাকায় গভীর রাতে ‘ডাকাত-সন্ত্রাসী’ প্রতিহত করতে বিভিন্ন বাসাবাড়িতে লাইট জ্বালিয়ে মানুষকে সতর্কবস্থায় নিজ নিজ গ্যারেজে ঘোরাফেরা করতে দেখা গেছে।
এদিকে বুধবার (৭ আগস্ট) আইএসপিআর থেকে জানানো হয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে জনসাধারণের জান-মাল ও সরকারি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোর সার্বিক নিরাপত্তা প্রদানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যরা মোতায়েন রয়েছে।
যেকোনো নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড, হানাহানি এবং প্রাণনাশের হুমকির সম্মুখীন হলে নিকটস্থ সেনাবাহিনী ক্যাম্পে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/৮ আগস্ট/আরজেড)