ডিএমপির ২৯ থানাসহ সারাদেশের ৪১৭ থানায় সেনা মোতায়েন: আইএসপিআর
প্রকাশ | ০৯ আগস্ট ২০২৪, ২১:৩৭
পুলিশ সদস্যদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নিজ নিজ কর্মস্থলে যোগ দিতে আহ্বান জানানো হলেও দেশের অধিকাংশ থানায় এখনো কার্যক্রম চালু করা যায়নি। নিজের নিরাপত্তা নিয়ে পুলিশ সদস্যরা এখনো চিন্তিত; তাই থানায় যোগ দিতে সাহস পাচ্ছেন না। এমন পরিস্থিতিতে থানা-পুলিশের কার্যক্রম স্বাভাবিক করতে ঢাকা মহানগরের ২৯টি থানাসহ সারাদেশের ৪১৭ থানায় সেনা মোতায়েন করা হয়েছে।
শুক্রবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এ তথ্য জানিয়েছে।
এদিকে শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টায় পুলিশ সদর দপ্তর জানিয়েছে, ১১০টি মেট্রোপলিটন থানার মধ্যে ৭০টি এবং রেঞ্জের ৫২৯টি থানার মধ্যে ২৯১টি সর্বমোট ৩৬১টি থানার কার্যক্রম চালু হয়েছে।
আইএসপিআরের তথ্য মতে, জনসাধারণের জান-মাল ও সরকারি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোর সার্বিক নিরাপত্তা দিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশব্যাপী স্থাপিত ২০৬টি ক্যাম্পের মাধ্যমে ৫৮টি জেলায় মোতায়েন রয়েছে।
এছাড়া বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দুইটি দল যথাক্রমে জামালপুর কেন্দ্রীয় কারাগার ও চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে পলায়নে উদ্যত হওয়া কয়েদিদের বাধা প্রদান এবং কারাগারে রক্ষিত অস্ত্র গোলাবারুদ সুরক্ষিত করে। সেইসঙ্গে দেশের বিভিন্ন এলাকায় একাধিক ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা প্রতিহত করার পাশাপাশি সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তায় নোয়াখালী জেলার একটি মন্দিরে দুষ্কৃতকারীদের আক্রমণ সেনাবাহিনী কর্তৃক প্রতিহত করা হয়।
এছাড়াও কক্সবাজারে অবস্থিত বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকদের ক্যাম্পে নিরাপত্তা প্রদানে সেনা সদস্য মোতায়েন হয় এবং অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে যৌথ পেট্রোল পরিচালনা করে। রাজধানী ঢাকার ২৯টি থানাসহ দেশজুড়ে ৪১৭টি থানায় ইতোমধ্যে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে, যা পুলিশের হারিয়ে যাওয়া অস্ত্র উদ্ধার অভিযানকে ত্বরান্বিত করবে। সেইসঙ্গে বঙ্গভবন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, মহাখালী ডাটা সেন্টারসহ দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার নিরাপত্তায় নিয়োজিত রয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
আইএসপিআর জানায়, বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘গুজব’ প্রচার করে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির অপতৎপরতা চলমান রয়েছে। দেশবাসীকে এ ধরনের গুজবে আতঙ্কিত না হয়ে সেনা ক্যাম্পে যোগাযোগের ক্ষেত্রে নিজের বিচার-বিবেচনা প্রয়োগ করতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
জনগণের স্বার্থে এবং রাষ্ট্রের যেকোন প্রয়োজনে সেনাবাহিনী সবসময় জনগণের পাশে আছে এবং থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
(ঢাকাটাইমস/০৯আগস্ট/এলএম/কেএম)