কোচদের কথা বোঝেন না পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা, দোভাষী চান নাসিম শাহ
প্রকাশ | ১১ আগস্ট ২০২৪, ১৮:০০
সময়টা ভালো যাচ্ছে না পাকিস্তান ক্রিকেট দলের। ওয়ানডের পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও ব্যর্থ দলটি। সাফল্য পেতে একের পর এক কোচ বদলাতে থাকেন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। বিদেশি নামীদামী কোচদের করা হয় চাকরি থেকে বরখাস্ত। অনেক কোচ নিজেই পদত্যাগ করে পিসিবি ছাড়েন। তবে এবার জানা গেলো পাকিস্তানের ব্যর্থতার পেছনের অন্যরকম একটি কারণ।
কোচদের ভাষা বোঝেন না স্বয়ং ক্রিকেটাররাই। যাদের নিয়ে এত আয়োজন, তারাই নেমে পড়েন অবুঝ শিশুর ভূমিকায়। যে কারণে কোচদের বহুদিনের অভিজ্ঞতায় ফলিত ক্রিকেটীয় দর্শনও কাজে দেয় না। হয়তো ভেস্তে যায় দারুণ সব ধারণা, কুটকৌশল আর অমূল্য পরিকল্পনাও।
পাকিস্তান ক্রিকেটারের ব্যর্থতার পেছনের সে কারণকেই আরও একবার সামনে আনলেন পেসার নাসিম শাহ। তিনি জানালেন, ক্রিকেটাররা কোচদের কথা বোঝেন না। খেলার উন্নয়ন তো পরের বিষয়। আগে কোচদের সঙ্গে ভালো বোঝাপড়া থাকতে হবে ও তাদের ক্রিকেটীয় দর্শনকে উপলব্ধি করতে হবে। তাদের সঙ্গে বসে পরিকল্পনা সাজাতে। তাহলেই কেবল ক্রিকেটাররা নিজেদের দক্ষতা ও সামর্থ্য বাড়াতে পারবেন।
কোচদের সঙ্গে যোগাযোগ ঘাটতি কাটিয়ে তুলতে কী করতে হবে, সেটি বলেছেন পাকিস্তান পেসার। নাসিম শাহ জানিয়েছেন, ক্রিকেটাররা কথা যেন কোচদের কথা ভালোভাবে বুঝতে পারেন এবং আন্তঃযোগাযোগে সফল হতে পারেন, সেই ব্যবস্থা করতে হবে। সেজন্য দোভাষী নিয়োগ করতে হবে।
গেল কয়েক বছর ধরেই পাকিস্তান ক্রিকেটের দায়িত্বে আছেন বিদেশি কোচরা। বর্তমানে পাকিস্তানের সাদা বলের হেডকোচ গ্যারি কারস্টেন দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক ক্রিকেটার। এছাড়া লাল বলের হেডকোচ জেসন গিলেস্পিও বিদেশি। তিনি অস্ট্রেলিয়ার সাবেক পেসার ।
এসব কোচদের সঙ্গে কার্যকর যোগাযোগ স্থাপনের জন্য দোভাষী নিয়োগ করার প্রয়োজন বলে মনে করছেন নাসিম শাহ। সেই দোভাষী ক্রিকেটার ও কোচ- দুই পক্ষের কথাই বুঝবেন। তারপর দুই পক্ষককেই ভালোভাবে বোঝাতে পারবেন।
এক্ষেত্রে স্থানীয় কাউকে দোভাষী হিসেবে নিয়োগ করার কথা বলেছেন নাসিম শাহ। কারণ, পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা সবাই স্থানীয় ভাষায় কথা বলেন। এসব ভাষার মধ্যে রয়েছে উর্দু, পাঞ্চাবি, সিন্ধি ও পশতু।
ক্রিকেট পাকিস্তানকে দেওয়া এক সংবাদ সম্মেলনে নাসিম শাহ বলেন, ‘বিদেশী কোচদের সঙ্গে ভাষার সমস্যা রয়েছে। ভাষা অনুবাদ করার জন্য আমাদের কাউকে প্রয়োজন। আপনার নিজের ভাষায় কোচের সঙ্গে যোগাযোগ করা সহজ।’
টানা দুটি বিশ্বকাপে চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে পাকিস্তান। তবে নাসিম শাহের আশা বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ দিয়ে ছন্দে ফিরতে পারবে পাকিস্তান।
নাসিম শাহ বলেন, ‘হ্যাঁ, আমাদের প্রত্যাবর্তন দুর্দান্ত ছিল না। আমরা অস্বীকার করতে পারি না যে, আমরা ভালো ক্রিকেট খেলিনি। সমালোচনা এরই একটি অংশ। পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত আমাদের এটি সহ্য করতে হবে। এটি (বাংলাদেশ সিরিজ) ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য ভালো একটি সুযোগ। আমি ১৩ মাস ধরে লাল বলের ক্রিকেট খেলিনি। এর জন্য কঠোর প্রশিক্ষণ নিচ্ছি।’
(ঢাকাটাইমস/১১ আগস্ট/এনবিডব্লিউ)