নতুন উপদেষ্টা বিধান দেখবেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা, সুপ্রদীপ পার্বত্য চট্টগ্রাম

প্রকাশ | ১১ আগস্ট ২০২৪, ১৭:৪৩

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে দপ্তর পেয়েছেন দুই উপদেষ্টা। এর মধ্যে ডা. বিধান রঞ্জন রায়  পেয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব আর সুপ্রদীপ চাকমাকে দেওয়া হয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

রবিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানা যায়। 

এর আগে আজ বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের কাছে শপথ নেন এই দুই উপদেষ্টা। উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ পাওয়া ফারুক ই আজম দেশে না থাকায় তিনি শপথ নিতে পারেননি।  

গত বৃহস্পতিবার রাতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বঙ্গভবনের দরবার হলে তাঁকে শপথ পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। পরে শপথ নেন অন্তর্বর্তী সরকারের আরও ১৩ উপদেষ্টা। নতুন দুইজন শপথ নেওয়া অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে উপদেষ্টার সংখ্যা হলো ১৬ জন। 

গত শুক্রবার উপদেষ্টাদের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/দপ্তর ভাগ করে দেয়া হয়। এরমধ্যে ২৭টি মন্ত্রণালয় ছিল অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের হাতে। তারমধ্য থেকে আজ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয় রবিবার শপথ নেওয়া দুই উপদেষ্টাকে। 

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস মন্ত্রিপরিষদ বিভাগসহ ২৫টি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করবেন। এ মন্ত্রণালয়গুলো হলো—মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, সশস্ত্র বাহিনী, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রণালয়, খাদ্য মন্ত্রণালয়, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, ভূমি মন্ত্রণালয়,  বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়, কৃষি মন্ত্রণালয়, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, রেলপথ মন্ত্রণালয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়,  বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়, বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

অন্য উপদেষ্টাদের মধ্যে সালেহ উদ্দিন আহমেদকে দেওয়া হয়েছে দুটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব। তিনি সামলাবেন অর্থ মন্ত্রণালয় এবং পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়। ড. আসিফ নজরুল আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।  আদিলুর রহমান খানকে দেওয়া হয়েছে শিল্প মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন হাসান আরিফ।

মো. তৌহিদ হোসেন পেয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়, শারমীন এস মুরশিদ সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়, ফরিদা আখতার মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, নুরজাহান বেগম স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়।

(ঢাকাটাইমস/১১আগস্ট/এলএম/এমআর)