নারায়ণগঞ্জের ছাত্রলীগনেতা গ্রেপ্তারের খবর ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে
প্রকাশ | ১১ আগস্ট ২০২৪, ২০:৩৬ | আপডেট: ১১ আগস্ট ২০২৪, ২০:৪০
দেশ ছেড়ে পালিয়ে ভারতের গিয়ে আশ্রয় নিয়েও শেষ রক্ষা হলো না ছাত্রলীগ নেতার। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর গত ৬ আগস্ট নারায়ণগঞ্জ ছাত্রলীগের এক নেতা ভারতে প্রবেশ করেন। পরে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার রঘুনাথগঞ্জে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর হাতে আটক হয়েছেন।
রবিবার এ খবর দিয়েছে দেশটির গণমাধ্যম হিন্দুস্থান টাইমস। আটক হওয়া ওই ছাত্রলীগ নেতার নাম আব্দুল কাদির (২৭)। তিনি নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের নেতা ছিলেন বলে জানায় ভারতীয় এই গণমাধ্যম। তবে, হিন্দুস্থান টাইমস তাকে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে পরিচয় দিলেও তার সাংগঠনিক পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তিনি জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নন। নারায়গঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সর্বশেষ কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন রাফেল প্রধান।
হিন্দুস্থান টাইমস জানায়, শনিবার রাতে রঘুনাথগঞ্জ থানার পিরোজপুরের সীমান্ত লাগোয় একটি গ্রাম থেকে তাকে আটক করা হয়। রবিবার তাকে জঙ্গিপুর মহকুমা আদালতে হাজির করা হয়।
‘আওয়ামী লীগের ছাত্রনেতা গ্রেপ্তার মুর্শিদাবাদে, ওপার থেকে এপারে এসেও হলো না শেষরক্ষা’ শীর্ষক শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়, এখন বাংলাদেশে অন্তর্বতী সরকার গঠন হয়েছে। তিন–চারদিনের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলে জানিয়েছেন নতুন সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের উপদেষ্টা। এই আবহে আওয়ামী লীগের ছাত্রনেতা বাংলাদেশ ছাড়েন গত ৬ অগস্ট। গত চারদিন ধরে গা ঢাকা দিয়ে ছিলেন।
এপারে এলে যদি প্রাণে বাঁচা যায় সেই চেষ্টা করেছিলেন আওয়ামী লীগের ছাত্রনেতা। কিন্তু এটাই কি একমাত্র বাঁচার পথ? বাংলাদেশ থেকে প্রায় ৬০০ কিলোমিটার পথ পেরিয়ে এপার বাংলায় ঢুকে পড়েছিলেন তিনি। কিন্তু শেষরক্ষা হলো না। ভারতে আশ্রয় নিতে এসে রঘুনাথগঞ্জ থানার চর পিরোজপুরে বিএসএফের হাতে ধরা পড়লেন ওই ছাত্রনেতা। তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে মুর্শিদাবাদের ভারত–বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া একটি গ্রাম থেকে।
পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতের নাম আব্দুল কাদির (২৭)। বাড়ি বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জে। এই ছাত্রনেতা বাংলাদেশের আওয়ামী লীগ ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের নারায়ণগঞ্জ জেলার সাধারণ সম্পাদক। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে গতকাল শনিবার অভিযান চালিয়ে আবদুল কাদেরকে পাকড়াও করে বিএসএফ। তার পর রঘুনাথগঞ্জ থানা পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। বাংলাদেশে কোটা বিরোধী আন্দোলন হিংস্র ও রক্তাক্ত হয়ে ওঠে। তাই প্রাণ বাঁচাতে অনেকেই সীমান্তে জড়ো হয়েছেন। কিন্তু ওপার থেকে এভাবে এপারে আসার নিয়ম নেই। এটা বেআইনি অনুপ্রবেশ। তাই এই বেআইনি অনুপ্রবেশ করলে তাকে গ্রেপ্তার করা নিয়ম।
আব্দুল কাদের সড়কপথ, জলপথ, এমনকী অনেকটা পথ সাঁতরে মুর্শিদাবাদ লাগোয়া চাঁপাইনবাবগঞ্জে আশ্রয় নেন। পরে পদ্মা নদী পার হয়ে ভারতে প্রবেশ করে রঘুনাথগঞ্জ থানার চর পিরোজপুর এলাকায় বিএসএফের হাতে ধরা পড়ে যান তিনি।
(ঢাকাটাইমস/১১আগস্ট/এসআইএস)