জাতীয় দলে থাকা অবস্থায় কেউ রাজনীতি করতে পারবে না, দ্রুতই সিদ্ধান্ত আসছে

প্রকাশ | ১২ আগস্ট ২০২৪, ১৪:৪২

ক্রীড়া ডেস্ক, ঢাকা টাইমস

শিক্ষার্থীদের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে পাল্টে গেছে দেশের সরকার প্রধান।সরকার পতনের পর আওয়ামী লীগের হয়ে রাজনীতি করা বিভিন্ন ক্রীড়া সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরাও এখন বিপাকে। যে তালিকায় আছেন সাকিব আল হাসান, মাশরাফী বিন মোর্ত্তজার মতো দেশসেরা ক্রিকেটার। এমতবস্থায় নিরাপত্তা শঙ্কা থাকায় দেশে না ফিরেই সিরিজ খেলতে সরাসরি পাকিস্তানে যাচ্ছেন সাকিব।

দেশের এমন পরিস্থিতিতে ক্রিকেটারদের আদৌ রাজনীতিতে জড়ানো উচিত কিনা, তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। এরইমধ্যে এই বিষয়ে কথা বলেছেন ক্রিকেটার নুরুল হাসান সোহান। এবার এই ইস্যুতে মুখ খুললেন প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু।

আজ সোমবার (১২ আগস্ট) মিরপুর শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে খেলোয়াড়দের রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার বিষয়ে প্রধান নির্বাচক বলেন, যে সংস্কারের ছোঁয়া লেগেছে, তা এগিয়ে যাবে। কেউ জাতীয় দলে থাকা অবস্থায় রাজনীতি করতে পারবেন কি না সেটি নিয়ে ভাবতে হবে। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলো যে সংস্কার নিয়ে কথা বলছে, সেখানে একটি রাজনৈতিক দলেরও উচিত কোনো রানিং খেলোয়াড়কে তাদের দলে না নেওয়া।

‘রাজনৈতিক দলগুলো দেশের জন্যই তো কাজ করে। আমার মনে হয় খেলা চালানোর সময়টাতে রাজনীতিতে আসা উচিত নয়। ভবিষ্যতের জন্য আমি আমার মতামত দিয়ে রাখলাম।’

রাজনীতি করার অধিকার সকল নাগরিকের আছে। তবে পুরো বছর ধরে ব্যস্ত সময় পার করা ক্রিকেটারদের জন্য রাজনীতিতে নাম লেখানো অতোটা সহজ নয়। যার দৃষ্টান্ত প্রমাণ সাকিব আল হাসান। রাজনীতিতে নাম লিখিয়ে ক্রিকেটে ঠিকঠাক সময় দিতে পারেননি, যার ফলে পারফরম্যান্সও ছিল হতাশাজনক।

তাই এই প্রধান নির্বাচক মনে করেন, বিসিবিও কিছু নীতিমালা প্রণয়ন করা উচিত। যেখানে ক্রিকেটাররা একটি সুনির্দিষ্ট গাইডলাইনে চলবে। লিপু বলেন, ‘কেউ যদি রাজনীতি করতে চায়, ক্রিকেট বোর্ডের উচিত হবে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন করা। এখানে আসলে সুনির্দিষ্ট গাইডলাইন আসা উচিত। সেই গাইডলাইনে থাকবে যদি খেলা থাকে, আবার রাজনীতির কর্মকাণ্ডও থাকে, তাহলে ক্রিকেটাররা কোনটাতে গুরুত্ব দেবেন? সেই কারণে আমার মনে হয়, বোর্ডের যদি সুনির্দিষ্ট দিক নির্দেশনা থাকে, সেটি হলে খেলোয়াড়রা চিন্তা করতে পারবে, রাজনীতিতে যাওয়ার আগে তাদের কী করতে হবে।’

ক্রিকেটারদের রাজনীতিতে প্রবেশ বন্ধ করা নিয়ে তিনি বলেন, ‘এই রাস্তাটা মনে হয় বন্ধ হওয়া উচিত। খেলোয়াড়রা দেশের সম্পদ, তাদের পেছনে বিনিয়োগ থাকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য। খেলোয়াড় হিসেবে আপনার দেশকে সার্ভিস দেওয়ার সুযোগ আছে। কিন্তু রাজনীতিতে ঢোকার মাধ্যমে দেশ বঞ্চিত হয়। যারা আগে থেকেই রাজনীতির সাথে যুক্ত, তাদের কথা ভিন্ন।’

তিনি আরও বলেন, ‘রাজনীতিবিদরাও দেশের জন্যই করেন। কিন্তু ক্রিকেটারদের নেওয়ার ক্ষেত্রে তাদের নতুন করে বিষয়টি ভাবা উচিত। একজন খেলোয়াড়কে তার প্রায়োরিটি সেট করা উচিত।

(ঢাকাটাইমস/১২ আগস্ট/এনবিডব্লিউ)