হাতিয়ার ‘গডফাদার’ সাবেক এমপি মোহাম্মদ আলী, তার স্ত্রী ও ছেলে কারাগারে
প্রকাশ | ১২ আগস্ট ২০২৪, ২২:০৩
হাতিয়ার ‘গডফাদার’ হিসেবে পরিচিত নোয়াখালী-৬ আসনের সদ্য সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলী, তার স্ত্রী সাবেক সংসদ সদস্য আয়েশা ফেরদাউস ও ছেলে উপজেলা চেয়ারম্যান আশিক আলী অমিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
সোমবার বিকালে সিনিয়র জুড়িসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আনোয়ার হোসেন এ আদেশ দেন। পরে সন্ধ্যায় তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিনিয়র জুড়িশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের পরিদর্শক মো. শাহ আলম।
এর আগে গত রবিবার ভোররাতে হাতিয়া পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের চর কৈলাস এলাকার বাড়ি থেকে তাদের হেফাজতে নেয় নৌবাহিনী। আটকের পর নৌযানে তোলার সময় মোহাম্মদ আলী ও ছেলে আশিক আলীর হাতে-পায়ে ছিল দড়ি। আর অন্যদিকে মুখ ফিরিয়ে বসে ছিলেন মোহাম্মদ আলীর স্ত্রী আয়েশা ফেরদাউস। পরে থানায় সোপর্দ করলে পুলিশ ৫৪ ধারায় তাদের আদালতে সোপর্দ করে।
হাতিয়া থানার উপ-পরিদর্শক মো. মতিউর রহমান আদালতে পাঠানো প্রতিবেদনে বলেন, গ্রেপ্তারকৃত মোহাম্মদ আলী (৬৮), তার স্ত্রী আয়েশা ফেরদাউস (৬২) ও ছেলে আশিক আলী অমি (৪২) বিগত স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট সরকারের সাবেক সংসদ সদস্য ও উপেজেলা চেয়ারম্যানের দায়িত্বে ছিলেন। তারা রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের মাধ্যমে ক্ষমতার অপব্যবহার ও মানবাধিকার লঙ্ঘনসহ হাতিয়া উপজেলার সাধারণ জনগণের মৌলিক অধিকার হরণ করেছেন।
আরও পড়ুন> ‘গডফাদার’ সাবেক এমপি মোহাম্মদ আলী ও চেয়ারম্যান ছেলে আশিক আলীর হাতে-পায়ে দড়ি
উপ-পরিদর্শক মো. মতিউর রহমান জানান, গুরুতর অপরাধ ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করার সন্দেহে তাদের ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়।
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর রাষ্ট্রপতির আদেশে ভেঙে দেওয়া দ্বাদশ জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগের এমপি ছিলেন মোহাম্মদ আলী। এর আগে ১৯৮৬, ১৯৮৮ ও ২০০১ সালে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
মোহাম্মদ আলীর স্ত্রী আয়েশা ফেরদাউস ২০১৪ ও ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে নোয়াখালী-৬ আসনের সংসদ সদস্য হন। আর এই দম্পতির ছেলে আশিক আলী অমি হাতিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান।
মোহাম্মদ আলী হাতিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। তাকে নিয়ে হাতিয়ায় মানুষের অভিযোগও অন্তহীন। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের আগ থেকে এই দম্পতি হাতিয়ার চরকৈলাশে নিজ বাড়িতে অবস্থান করছিলেন।
মোহাম্মদ আলীকে গ্রেপ্তারের দাবিতে গত শুক্রবার বিক্ষোভ মিছিল করেছিল উপজেলা বিএনপি ও তার সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতাকর্মী ও স্থানীয় বাসিন্দারা।
(ঢাকাটাইমস/১২আগস্ট/ইএস)