ধূমপান ছাড়াও যেসব কারণে হতে পারে ফুসফুসের ক্যানসার

স্বাস্থ্য ডেস্ক, ঢাকা টাইমস
 | প্রকাশিত : ১৩ আগস্ট ২০২৪, ০৮:২০

সারা বিশ্বে ক্যানসার মরণব্যাধি হিসেবেই পরিচিত, যা আপনাকে ধীরে ধীরে মৃত্যুর দুয়ারে নিয়ে যায। তবে এই ক্যানসারের অনেক প্রকারভেদ রয়েছে, যার মধ্যে সব থেকে সাধারণত হলো ফুসফুসের ক্যানসার। এর অন্যতম প্রধান কারণ হিসেবে সবাই ধূমপানকেই দায়ী করে এবং এটি অমূলক নয়।

কিন্তু জানলে অবাক হবেন, ধূমপান ছাড়াও ফুসফুসের ক্যানসারের আরও অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ কারণ রয়েছে। চলুন তবে জেনে নিই সেসব কারণ সম্পর্কে এবং সচেতন হই।

বায়ু দূষণ

ফুসফুসের ক্যানসারের একটি অন্যতম প্রধান কারণ হতে পারে বায়ু দূষণ। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা তো বায়ু দূষণের জন্য সারা বিশ্বে বিখ্যাত। পাশাপাশি অন্য শহরগুলোতেও এর মাত্রা অনেক বেড়ে গেছে। প্রতিনিয়ত ধুলাবালি, ধোঁয়ার সংস্পর্শে থাকলে ফুসফুসের ক্যানসার হওয়া ভীষণ স্বাভাবিক।

তামাক সেবন

শুধু সিগারেট নয়, তামাকজাত যেকোনো পণ্য ফুসফুসের ক্যানসারের কারণ হতে পারে। বর্তমানে ই-সিগারেটকেও ফুসফুসের ক্যানসারের কারণ হিসেবে ধরা হয়। ই-সিগারেটগুলোতে থাকা ক্ষতিকারক রাসায়নিক এবং কার্সিনোজেন ফুসফুসের টিসুর ক্ষতি করে এবং ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।

সিক বিল্ডিং সিনড্রোম

সিক বিল্ডিং সিনড্রোম বা এসবিএস ফুসফুসের ক্যানসারের অন্যতম কারণ। এই ঘটনাটি তখন ঘটে, যখন একই বিল্ডিংয়ের বাসিন্দারা বিল্ডিংয়ে থাকাকালীন তীব্র স্বাস্থ্য সমস্যার সম্মুখীন হন। বায়ু চলাচলে সমস্যা, কার্পেটিং এবং বিশেষ কিছু আসবাবপত্র থেকে তৈরি হওয়া ধুলা এবং ব্যাকটেরিয়া থেকে তৈরি হয় ফুসফুসের ক্যানসার।

রেডন এক্সপোজার

রেড অন একটি বর্ণহীন এবং গন্ধহীন গ্যাস, যেটি ফুসফুসের ক্যানসারের দ্বিতীয় প্রধান কারণ। এটি প্রাকৃতিকভাবে মাটি এবং শিলা থেকে নির্গত হয় এবং জনপদে প্রবেশ করে। যেসব জায়গায় সঠিকভাবে বায়ু চলাচল করতে পারে না, সেখানে এই দীর্ঘমেয়াদী রেডন এক্সপোজার ফুসফুসের ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।

অ্যাসবেস্টস এক্সপোজার

অ্যাসবেস্টস ব্যবহার করা হয় শিল্প এবং নির্মাণ ক্ষেত্রে। এটি শ্বাসনালির মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করে এবং ফুসফুসের ক্যানসারের আশঙ্কা বাড়িয়ে তোলে। যদিও এটি ক্যানসারের বিরল রূপ, তবুও যথাযথ সচেতনতা এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

জেনেটিক কারণ

বংশে কোনো মানুষের পূর্বে ফুসফুসের ক্যানসার হওয়ার প্রবণতা থাকলে আশঙ্কা অনেকাংশে বেড়ে যায়। এই রোগ আটকানোর জন্য তাই পারিবারিক চিকিৎসা ইতিহাস সম্পর্কে সচেতনতা থাকা ভীষণ প্রয়োজন। তবেই আপনার সুস্থ এবং বেঁচে থাকার পথ প্রশস্ত হবে।

(ঢাকাটাইমস/১৩আগস্ট/এজে)

সংবাদটি শেয়ার করুন

স্বাস্থ্য বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :