সাইবার হামলার মধ্যেই ট্রাম্পের সাক্ষাৎকার নিলেন ইলন মাস্ক
প্রকাশ | ১৩ আগস্ট ২০২৪, ১৩:০৪
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের সরাসরি সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্ক। কিন্তু এতে ব্যাপক প্রযুক্তিগত গোলযোগের মুখে পড়তে হয় তাদের। মাস্কের দাবি, সাইবার হামলার ফলে প্রযুক্তিগত গোলযোগ হয়।
আসন্ন নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সমর্থন করছেন বিশ্বের অন্যতম শীর্ষধনী মাস্ক। সোমবার নিজের মালিকানাধীন সামাজিক মাধ্যম এক্সে ট্রাম্পের লাইভ সাক্ষাৎকার নিতে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানেই অনেকবার প্রযুক্তিগত গোলযোগের পর সাক্ষাৎকারটি লাইভ করা সম্ভব হলো।
জানা গেছে, সাক্ষাৎকার শুরুর নির্ধারিত সময়ে আট লাখ ৮৭ হাজারের মতো মানুষ সংযুক্ত হয়েছিলেন। কিন্তু সাক্ষাৎকার প্রচার করা যায়নি।
এ বিষয়ে মাস্ক এক্সে বলেছেন, ‘বিশাল ডিডিওএস আ্যাটাক হয়েছে। তাই অনেক এক্স ব্যবহারকারী লাইভ সাক্ষাৎকার শুনতে পাচ্ছেন না। আমরা ঠিক করার চেষ্টা করছি। সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতিতে লাইভে কম শ্রোতাকে নিয়ে শুরু করব। তারপর এই কথপোকথন পোস্ট করে দেয়া হবে।’ পরে প্রযুক্তিগত গোলযোগ ঠিক করার পরেই তা সব শ্রোতার কাছে পৌঁছায়।
এদিকে এই সাক্ষাৎকারে বর্তমান প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে তীব্র আক্রমণ করেছেন ট্রাম্প, অভিবাসন নিয়ে তার মত জানিয়েছেন, নতুন মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম তৈরির কথা বলেছেন এবং তিনি জলবায়ুর পরিবর্তনের আশংকা নাচক করে বলেছেন, সমুদ্রের জলস্তর বেড়ে গেলে আরো রিয়েল এস্টেটের সুযোগ বাড়বে।
ট্রাম্প বলেছেন, ‘বিশ্বে উষ্ণায়ন সবচেয়ে বড় বিপদের কারণ নয়, আগামী চারশ বছরে সমুদ্রের জলস্তর এক ইঞ্চির এক অষ্টমাংশ বাড়বে।’
ট্রাম্প আরও জানিয়েছেন, ‘সমুদ্রমুখি সম্পত্তির পরিমাণ বেড়ে যাবে। সবচেয়ে বড় বিপদের কারণ সেটা নয়। সবচেয়ে বড় বিপদের কারণ হলো নিউক্লিয়ার ওয়ার্মিং। কারণ, এখন পাঁচটি দেশের হাতে প্রচুর পরিমাণে পরমাণু অস্ত্র আছে। আর বাইডেনের মতো মানুষকে রেখে আমরা এই বিপদের মুখে বিশ্বকে ফেলে দিতে পারি না।’
অন্যদিকে সাক্ষাৎকারের শুরুতেই মাস্ক ট্রাম্পকে হত্যা-প্রচেষ্টা নিয়ে বলতে বলেন। ট্রাম্প বলেন, তিনি অক্টোবরে আবার ওই জায়গায় যেতে চান, যেখানে তাকে একটি সভায় ভাষণ দেয়ার সময় গুলি করা হয়েছিল।
মাস্ক জানিয়েছেন, তিনি আগে ডেমোক্র্যাটদের ভোট দিয়েছেন। কিন্তু ট্রাম্পের হত্যা-প্রচেষ্টার পর তিনি পুরোপুরি সাবেক প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আছেন।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের জানুয়ারিতে ক্যাপিটলে হামলার পর ট্রাম্পকে টুইটারে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। কিন্তু টুইটার কিনে তার নতুন নামকরণ করার পর ২০২২ সালের নভেম্বরে সাবেক প্রেসিডেন্টকে এক্সে ফিরিয়ে আনেন মাস্ক।
সূত্র: রয়টার্স, ডয়চে ভেলে
(ঢাকাটাইমস/১৩আগস্ট/এমআর)