রাজপথে থাকার সময় শেষ হয়নি, প্রস্তুত থাকুন: সারজিস
যেকোনো অপশক্তির নোংরা প্রচেষ্টা কিংবা চক্রান্তকে ধুলায় মিশিয়ে দিতে ছাত্রজনতাকে সর্বদা প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম।
মঙ্গলবার দুপুরে দেওয়া এক ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে তিনি এ আহ্বান জানান।
স্ট্যাটাসে সারজিস লেখেন, ‘রাজপথে থাকার সময় শেষ হয়নি। প্রথম ধাপ শেষে দ্বিতীয় ধাপ শুরু হয়েছে মাত্র৷ যেকোনো অপশক্তির নোংরা প্রচেষ্টা কিংবা চক্রান্তকে ধুলায় মিশিয়ে দিতে ছাত্র-জনতাকে সর্বদা প্রস্তুত থাকতে হবে। দেখা হচ্ছে রাজপথে।’
এদিকে, চার দফা দাবিতে ‘রেজিস্ট্যান্স উইক’ কর্মসূচির ডাক দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। সপ্তাহব্যাপী এ কর্মসূচি শুরু হচ্ছে আজ। সেই লক্ষ্যে বিকাল তিনটায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে জমায়েতের ডাক দেওয়া হয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ সারা দেশে যেসব স্থানে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদ হয়েছেন, সেসব পয়েন্ট অভিমুখে ‘রোডমার্চ’ করা হবে। রোডমার্চে সংশ্লিষ্ট স্থানে জড়ো হয়ে ‘এক মিনিট নীরবতা’ এবং শহীদদের স্মরণে দোয়া ও প্রার্থনা করা হবে।
ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, আজ বিকাল তিনটা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি-সংলগ্ন রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশের জড়ো হবেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঢাকার নেতাকর্মীরা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চার দফা দাবি হলো-
১. ফ্যাসিবাদী কাঠামোকে ব্যবহার করে ফ্যাসিস্ট হাসিনা এবং তার দল ও সরকার যে ‘হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে’, সেগুলোর দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে হবে।
২. সংখ্যালঘুদের ওপর আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী মহাজোটের শরিক দলগুলোর পরিকল্পিত হত্যা, ডাকাতি ও লুণ্ঠনের মাধ্যমে গণ-অভ্যুত্থানকে বিতর্কিত করার প্রচেষ্টায় অংশগ্রহণকারীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে এবং সংখ্যালঘুদের ন্যায্য দাবি মেনে নিতে হবে।
৩. প্রশাসন ও বিচার বিভাগে যারা ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে হামলা, মামলা এবং হত্যাযজ্ঞকে বৈধতা দিয়েছে এবং ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা বারবার কায়েমের চেষ্টা করছে; তাদের দ্রুত অপসারণ ও নিয়োগ বাতিল করে বিচারের আওতায় আনতে হবে।
৪. প্রশাসন ও বিচার বিভাগে যারা এতদিন বৈষম্যের শিকার হয়েছেন, শিগগির তাদের জন্য সুযোগের সমতা নিশ্চিত করতে হবে।
(ঢাকাটাইমস/১৩আগস্ট/এজে)