ভাঙচুর করেছি আরও করবো, আ.লীগ আমলে কিছু করতে পারিনি: বিএনপি নেতা
প্রকাশ | ১৩ আগস্ট ২০২৪, ১৭:৪০ | আপডেট: ১৩ আগস্ট ২০২৪, ১৭:৪২
‘ভাঙচুর করেছি আরও করবো, আওয়ামী লীগ আমলে কিছু করতে পারিনি’ এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হানিফ মাহমুদ ছৈয়াল।
নাজমা মনোয়ারা (৬০) নামে এক বৃদ্ধার বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের কাছে এমন হুঁশিয়ারি দেন।
এদিকে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় নাজমা মনোয়ারা বাদী হয়ে ভেদরগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) ভুক্তভোগী ওই বৃদ্ধা অভিযোগটি দায়ের করেছেন।
এর আগে বুধবার (৭ আগস্ট) বৃদ্ধা নাজমা মনোয়ারার বাড়িতে হামলা করা হয়।
হানিফ মাহমুদ ছৈয়াল ও তার ছেলে আশ্রাফুল জামান ঐক্যের নেতৃত্বে তাদের সহযোগীরা এ হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ নাজমা মনোয়ারার।
অভিযুক্ত বিএনপি নেতা হানিফ মাহমুদ শরীয়তপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা দলের সাধারণ সম্পাদক ও ভেদরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি।
থানায় অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে নাজমা মনোয়ার সঙ্গে বিএনপি নেতা হানিফ মাহমুদের জমিসংক্রান্ত বিরোধ চলছে। ৫ আগস্ট দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর বেপরোয়া হয়ে ওঠেন হানিফ মাহমুদ।
বুধবার (৭ আগস্ট) দুপুরে ভুক্তভোগী নাজমার বাড়িতে হানিফ মাহমুদ ও তার ছেলের নেতৃত্বে হামলা চালানো হয়। এ সময় হামলাকারীরা বাড়ির সীমানা প্রাচীর ভেঙে ফেলে এবং বসত ঘরের জানালার কাচ ভাঙচুর করে ঘরে লুটপাট করে। একপর্যায়ে নাজমা মনোয়ারাকে বের করে দিয়ে বাড়িটি দখল করে নেয়। জীবন বাঁচাতে ওই বৃদ্ধা অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নেন।
নাজমা মনোয়ারা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমি এই জমিতে বসবাস করে আসছি। অনেক দিন ধরে হানিফ মাহমুদ আমাদের হয়রানি করছে। একাধিকবার স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা বিষয়টি সমাধান করেছেন। কিন্তু ঘটনার দিন দুপুরে হানিফ মাহমুদ ও তার ছেলের নেতৃত্বে বাড়িতে হামলা চালানো হয়।
এ ঘটনায় আমি থানায় অভিযোগ দিয়েছি সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে হানিফ মাহমুদ ও তার ছেলের বিচার দাবি করছি।
জানতে চাইলে হানিফ মাহমুদ বলেন, ‘ঘর ভাঙচুর করছি প্রয়োজনে আরও করবো। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকতে আমি কিছু করতে পারিনি। তবে তার কাছে জমির কাগজপত্র আছে কি না এমন প্রশ্ন এড়িয়ে যান তিনি।
শরীয়তপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য শফিকুর রহমান কিরণ বলেন, শুনেছি কিছু ব্যক্তি বিভিন্ন জায়গায় বিএনপির স্লোগান তুলে হামলার পরিকল্পনা করছে। সাবধান করে দিতে চাই, যেখানে ছিলেন, সেখানে থাকেন। কোনো অন্যায়কে আমরা প্রশ্রয় দেব না। কেউ আইনকানুন নিজের হাতে তুলে নিলে আমাদের কোনো সহযোগিতা পাবে না।
ভেদরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিন্টু মণ্ডল জানান, মারপিট করে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
(ঢাকাটাইমস/১৩আগস্ট/পিএস)