পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে যেভাবে পার হচ্ছে ১৫ আগস্ট

প্রকাশ | ১৫ আগস্ট ২০২৪, ০৯:৩৭ | আপডেট: ১৫ আগস্ট ২০২৪, ০৯:৪২

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস

আজ ১৫ আগস্ট স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী। বিগত ১৫ বছর পর আওয়ামী লীগ সরকারে আমলে দিনটি জাতীয় শোক দিবস হিসেবে রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন করা হতো। এতদিন ১৫ আগস্ট চিল সরকারি ছুটি। এবার দিনটি এলো ভিন্ন পরিস্থিতিতে। এবার নেই সরকারি ছুটি। বাতিল হয়েছে জাতীয় শোক দিবসও।

ছাত্র-জনতার নজিরবিহীন অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। পালিয়ে যান আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপি ও নেতারা। কেউ কেউ গ্রেপ্তারও হয়েছেন। এমন বৈরি পরিস্থিতির মধ্যেই বঙ্গবন্ধুর অনুরাগীরা আজ ১৫ আগস্ট তার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানানোর প্রস্তুতি নেন। কিন্তু 

এদিকে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের বিপরীতে প্রতিবিপ্লব ঠেকাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সপ্তাহব্যাপী ‘রেজিস্ট্যান্স উইক’ কর্মসূচি ঘোষণা করে। কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে সতর্ক অবস্থান নেয় শিক্ষার্থীরা। বিকালে শাহবাগে জড়ো হয়ে রাতে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে অবস্থান নেয় আন্দোলনকারীরা।

বুধবার দিবাগত রাত সোয়া ১টার পরও শিক্ষার্থীদের স্লোগানে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। এর আগে রাত ১১টা থেকেই শিক্ষার্থীরা ধানমন্ডি ৩২ এলাকায় জড়ো হতে থাকেন। বৃহস্পতিবার সকালেও শিক্ষার্থীদের দখলে রয়েছে ৩২ নম্বর। 

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করা হয়। বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে সেদিন নিহত হন তাঁর সহধর্মিণী শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব, তিন ছেলে বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামাল, সেনা কর্মকর্তা শেখ জামাল ও ১০ বছরের শিশু শেখ রাসেল এবং নবপরিণীতা দুই পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজী জামাল। ওই সময় দেশের বাইরে থাকায় বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর দুই মেয়ে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা।

দীর্ঘ ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ। এরপর বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের পদক্ষেপ নেয় শেখ হাসিনা সরকার। ২০১০ সালের ২৭ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর পাঁচ হত্যাকারীর ফাঁসির রায় কার্যকর করা হয়। এর মধ্য দিয়ে বিচার প্রক্রিয়া শেষ হয়। পরে বিদেশে পলাতক আরও এক হত্যাকারীকে ফিরিয়ে এনে ফাঁসি কার্যকর করা হয়। তবে এখনও বিদেশে পলাতক রয়েছে আরও পাঁচ হত্যাকারী।


এ অবস্থায় কার্যত ছিন্নবিচ্ছিন্ন আওয়ামী লীগের আনুষ্ঠানিক কোনো কর্মসূচি নেই আজ। যদিও দলের পক্ষ থেকে গত ৩১ জুলাই প্রতি বছরের মতো এবারও শোকের মাস পালনের অংশ হিসেবে ১৫ আগস্টের বিস্তারিত কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছিল। 


অবশ্য গোপালগঞ্জ জেলা ও টুঙ্গিপাড়া আওয়ামী লীগ আজ বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদনসহ নানা কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে। পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন জেলায়ও আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীর বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুবার্ষিকী পালনের প্রস্তুতির খবর পাওয়া গেছে। 

বিভিন্ন সংগঠনের কর্মসূচি

বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ (বাকশাল) আজ সকাল ১০টায় ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ ও ফাতেহা পাঠ করবে বলে দলের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীও বিকেল সাড়ে ৫টায় রাজধানীর তোপখানা রোডে সংগঠনের কার্যালয়ের সামনে আলোচনা সভা করবে। 

(ঢাকাটাইমস/১৫আগস্ট/এফএ)