শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরানোর দাবি উঠলে উদ্যোগ নেবে অন্তর্বর্তী সরকার

প্রকাশ | ১৫ আগস্ট ২০২৪, ১৮:১৩ | আপডেট: ১৬ আগস্ট ২০২৪, ০০:৪৯

ঢাকা টাইমস ডেস্ক

ছাত্র আন্দোলনে সংঘটিত হত্যাকাণ্ড ঘিরে এরইমধ্যে একের পর এক মামলার আসামি হওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী, আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে ভারত থেকে দেশে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নিতে পারে অন্তর্বর্তী সরকার।

শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এমন আভাস দিয়েছেন।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে হত্যাসহ বিভিন্ন অভিযোগ ও মামলা হচ্ছে। এমন প্রেক্ষাপটে ভারতে আশ্রিত শেখ হাসিনাকে ফেরানোর বিষয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে প্রশ্ন ছিল রয়টার্সের।

তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘যদিও আমি এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য সঠিক ব্যক্তি নই, তবে স্বরাষ্ট্র এবং আইন মন্ত্রণালয়ের কোনো অনুরোধ এলে, যদি এমন কোনো দাবি ওঠে, তাহলে তা ভারত সরকারের জন্য বিব্রতকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করবে।’

‘সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অভিযোগ ও মামলার প্রেক্ষিতে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়া হতে পারে। আমি মনে করি ভারত সরকার এটি জানে এবং আমি নিশ্চিত তারা এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে’—যোগ করেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।

এছাড়াও ভারত থেকে যে ধরনের বিবৃতি আসছে তা নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস খুবই অসন্তুষ্ট উল্লেখ করে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘সেটা ভারতীয় হাইকমিশনারকে জানিয়েছি।’

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সেলের উপ-পরিচালক আতাউর রহমানকে উদ্ধৃত করে রয়টার্স বলেছে, সাম্প্রতিক ছাত্র বিক্ষোভের সময় হত্যা, নির্যাতন ও গণহত্যার জন্য শেখ হাসিনাসহ দশজনের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে।

শেখ হাসিনাসহ তার সহকারীদের বিরুদ্ধে গত দুদিনে ছয়টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে চারটি হত্যা মামলা, অন্যটি দায়ের হয়েছে অপহরণ ও নির্যাতনের অভিযোগে।

এসব মামলায় শেখ হাসিনার সঙ্গে তার সাবেক মন্ত্রিসভার বেশ কয়েকজন সদস্যের পাশাপাশি পুলিশের সাবেক প্রধানসহ ঊর্ধ্বতন কয়েকজন কর্মকর্তা আসামি হয়েছেন।

গেল ৫ আগস্ট প্রবল গণআন্দোলনের মধ্যে ক্ষমতা ছাড়ার পাশাপাশি দেশত্যাগ করে ভারতে আশ্রয় নেন শেখ হাসিনা। গেল  জানুয়ারিতে টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠনের ছয় মাসে ভয়াবহ পতন হয় সেই সরকারের।

দেশত্যাগের সময় শেখ হাসিনার সঙ্গে ছোট বোন শেখ রেহানা ও বেশ কয়েকজন সঙ্গী ছিলেন। ভারত থেকে অন্য দেশে যাওয়ার কথা শোনা গেলেও দেশ ছাড়ার পর থেকে এখনো প্রতিবেশী দেশটিতেই আছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী।

(ঢাকাটাইমস/১৫আগস্ট/এমআর)