কিনেছেন দামি গাড়ি, রয়েছে ফ্ল্যাট
শরীয়তপুর নির্বাচন কর্মকর্তার আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ
শরীয়তপুর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আবদুল মান্নানের বিরুদ্ধে আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ উঠেছে। তার বিরুদ্ধে উঠা এসব দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিয়ে ইতোমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন। তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ফরিদপুর আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা সাইফুল ইসলামকে।
লিখিত অভিযোগ ও নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, শরীয়তপুর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আবদুল মান্নান এর আগে দীর্ঘদিন বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার দায়িত্বে ছিলেন। তিনি সেখানে চাকুরিরত অবস্থায় জন্ম পরিচয় সনদ সংশোধন, ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত ও স্থানান্তর করে সাধারণ মানুষের নিকট থেকে অবৈধভাবে প্রচুর সম্পদ অর্জন করেন। বরিশাল শহরে বাড়ি করেছেন এবং কিনেছেন ব্যক্তিগত গাড়ি। অন্যদিকে তার সঙ্গে সচিব এবং নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের সুসম্পর্ক থাকায় ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
এ বিষয়গুলো উল্লেখ করে গত ৯ জুলাই বরিশাল সিটি কর্পোরেশন এলাকার জহিরুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি শরীয়তপুর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আবদুল মান্নানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্বাচন কমিশনের সচিব বরাবর একটি আবেদন করেন। তার আবেদনের ভিত্তিতে গত ২৯ জুলাই নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সহকারী সচিব (শৃঙ্খলা) মোহাম্মদ আল-মামুনের স্বাক্ষরিত একটি চিঠির মাধ্যমে ফরিদপুর আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা সাইফুল ইসলামকে সরেজমিন তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তবে অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন শরীয়তপুর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আবদুল মান্নান। জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি অভিযোগের কপিটি দেখেছি। এগুলো সব মিথ্যা এবং বানোয়াট। কারো সাজানো নাটক। আমার চাকুরি জীবনে কোনোদিন এক টাকাও ঘুষ খাইনি। তাছাড়া আমার গাড়ি বাড়ি কিংবা নগদ টাকাও নেই।
জানতে চাইলে ফরিদপুর আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, আমি এ সংক্রান্ত একটি চিঠি হাতে পেয়েছি। আমরা দ্রুতই বিষয়টি নিয়ে তদন্ত কাজ শুরু করব।
(ঢাকাটাইমস/১৫আগস্ট/পিএস)