‘গণহত্যা’র অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ ১০ জনের নামে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে আরেকটি মামলা
প্রকাশ | ১৫ আগস্ট ২০২৪, ২১:৪২
‘গণহত্যা ও নির্যাতন’ চালানোর অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আরও একটি মামলা দায়ের হয়েছে। মামলায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ আরও নয়জনকে আসামি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকালে বাদীর পক্ষে আইনজীবী অ্যাডভোকেট গাজী এম এইচ তামিম অভিযোগটি দাখিল করেন। কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে নিহত মুন্সীগঞ্জের মো. মেহেদীর বাবা মো. সানাউল্লাহ এ মামলার আবেদন করেছেন।
অ্যাডভোকেট গাজী এম এইচ তামিম জানান, অভিযোগটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ধানমন্ডিস্থ তদন্ত সংস্থার প্রধান কার্যালয়ে জমা দেওয়া হয় এবং সেটি রেকর্ড করা হয়েছে।
মামলার অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন- সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মাদ আলী আরাফাত, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাবেক ডিবি প্রধান হারুন আর রশিদ, ডিএমপির কাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমান ও র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক ব্যারিস্টার হারুন আর রাশিদ।
এছাড়া বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কয়েকজন অজ্ঞাতনামা অস্ত্রধারী নেতা-কর্মী ও সংগঠন হিসাবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও এর অঙ্গসংগঠন গুলোকেও আসামি করা হয়েছে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ২০ জুলাই বিকাল ৫টায় মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া এলাকায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারী ছাত্রজনতার সঙ্গে আন্দোলন করছিলেন মেহেদী। পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা নির্বিচারে তাদের ওপর গুলি চালায়। এসময় মেহেদীর মাথায় গুলি লেগে মগজ বের হয়ে যায় এবং সঙ্গে সঙ্গে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে মারা যান। এরপর লাশ বাড়িতে এনে দাফন সম্পন্ন করা হয়।
একইভাবে গত ১৬ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত কমপক্ষে ৪৩৯ জন আন্দোলনরত ছাত্র জনতাদের আসামি পুলিশ/র্যাব সদস্য ও আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতার গুলিতে করে ও কুপিয়ে গণহত্যা করা হয়।
এর আগে গতকাল বুধবার শেখ হাসিনাসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগে একটি মামলা হয়েছিল।
আরও পড়ুন>শেখ হাসিনাসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলা
ধানমন্ডিতে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার প্রধান কার্যালয়ের প্রধান কো-অর্ডিনেটর বরাবর এই আবেদন দায়ের করেন কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থী আরিফ আহম্মেদ সিয়ামের পিতা মো. বুলবুল কবির। তার পক্ষে আইনজীবী ছিলেন ব্যারিস্টার গাজী এম এইচ তামিম।
ঢাকাটাইমস/১৫আগস্ট/ইএস