নৈরাজ্যকারীদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স, বিএনপি কর্মীদেরও সতর্কবাতা শেখ রবিউলের

প্রকাশ | ১৫ আগস্ট ২০২৪, ২২:১৫ | আপডেট: ১৫ আগস্ট ২০২৪, ২২:১৭

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস

বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ রবিউল আলম রবি বলেছেন, ‘ছাত্র-জনতার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকেই অত্যন্ত সতর্ক রয়েছে বিএনপি। একদিকে নৈরাজ্যকারীদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স; অন্যদিকে সারাদেশে থানা-উপজেলা, ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন পর্যায়ে রাতদিন পাহারা বসিয়েছেন দলের নেতাকর্মীরা। যারাই অপকর্মের সঙ্গে জড়িত হবেন, তাদের বিরুদ্ধেই দল কঠোর ব্যবস্থা নেবে। এ ব্যাপারে সকলকে সতর্ক থাকতে হবে।’

শেখ রবিলউল বলেন, ‘সারাদেশে সংঘটিত নানা নৈরাজ্য, হামলা-ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, দখল, চাঁদাবাজির ঘটনা বন্ধে তারা নানা পদক্ষেপ নিয়েছেন এবং তা তীক্ষ্ণ নজরদারিতে পালনও করা হচ্ছে।’

বৃহস্পতিবার বিকালে দলের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাজধানীর সাইন্সল্যাব, ধানমন্ডি-৭ ও ৮, শুক্রবাদ, কলাবাগান, ধানমন্ডি-৩২ এবং ধানমন্ডি-২৭ হয়ে শংকর বাসস্ট্যান্ডে অবস্থান পরবর্তী পদযাত্রায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এই শান্তি পদযাত্রায় যোগ দেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সাবেক নেতা প্রকৌশলী ইশরাক হোসেন।

ঢাকা-১০ আসনে বিএনপির এই সাবেক প্রার্থী বলেন, ‘দলের নেতাকর্মীদের বিষয়ে রয়েছে আরও কঠোর সতর্কবার্তা। কারো ন্যূনতম সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিক বহিষ্কার করা হবে। দল ইতোমধ্যেই এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন শুরু করেছে, যা আপনারা দেখতে পাচ্ছেন।’

শেখ রবিউল আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নেতারা হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের নাগরিকদের সম্পদ ও ধর্মীয় উপাসনালয়কে বিশেষভাবে টার্গেট করেছে। সমাজকে বিভক্ত করাই এ মুহূর্তে তাদের ষড়যন্ত্র। তবে বিএনপি এ বিষয়ে সজাগ রয়েছে। ইতোমধ্যেই সাধ্যমতো সব পদক্ষেপ দলের পক্ষ থেকে গ্রহণ করা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘দলের নাম ব্যবহার করে কেউ যদি এ ধরনের অপতৎপরতায় জড়িয়ে পড়ে, তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ও আইনগতভাবে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত থাকবে।’

রবিউল আলম নেতাকর্মীদের কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘শৃঙ্খলা পরিপন্থি কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগের ভিত্তিতে ইতোমধ্যেই বিএনপি ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের শতাধিক নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। শোকজ করা হয়েছে আরও বেশ কয়েকজনকে।’

তিনি ঢাকা-১০ আসন (ধানমন্ডি, হাজারীবাগ, কলাবাগান ও নিউমার্কেট) এলাকায় ‘দলমত, ধর্ম-বর্ণ, পেশা নির্বিশেষে যে কোনো বিপদগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানো, সাধ্যানুযায়ী সহযোগিতা করা, ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায় এবং তাদের ধর্মীয় উপাসনালয়গুলো নিরাপদ রাখার সর্বোচ্চ ব্যবস্থা গ্রহণ এবং নিজ নিজ পাড়া-মহল্লায় দলীয় নেতাকর্মী ও ছাত্র-জনতাকে সঙ্গে নিয়ে সব ধরনের নৈরাজ্য প্রতিহত করার আহবান জানান।

পদযাত্রা শেষে নেতাকর্মীদের চব্বিশ ঘণ্টা সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে শেখ রবিউল আলম বলেন, ‘আওয়ামী লীগ আজ পতিত ও পরিত্যক্ত নাম। আ.লীগের ইতিহাসে সকল গুম-খুন ও অবৈধ হত্যাকাণ্ডের বিচারের পর দলটি রাজনীতিতে থাকবে কিনা, জনগণ তা ভেবে দেখবে। এখন আমরা দেশ গড়ব।

কর্মসূচিতে ধানমন্ডি, কলাবাগান, নিউমার্কেট ও হাজারীবাগ থানা বিএনপি এবং অঙ্গসংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মী অংশ নেন।’

(ঢাকাটাইমস/১৫আগস্ট/জেবি/এসআইএস)